জাপানিজ ফরেস্ট এর মধ্যে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি (পর্ব ১)
বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এই ফটোগ্রাফি গুলো কয়েক মাস আগে ইকো পার্কে ঘুরতে গিয়ে আমি তুলে এনেছিলাম। সেইবার ইকোপার্কে গেছিলাম দুইজন বন্ধুর সাথে। বন্ধুদের সাথে ইকো পার্কের সমস্ত জায়গায় খুব সুন্দর ভাবে ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। কিছুটা দুপুরের দিকে গেছিলাম সেখানে এবং ঘুরতে ঘুরতে অনেকটা সন্ধ্যা হয়ে গেছিল। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পর তো ইকোপার্ক থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তো বেরিয়ে যাওয়ার কিছুটা পূর্বে গেছিলাম জাপানিজ ফরেস্টে যা ইকো পার্কের মধ্যে একটি অংশ জুড়ে ছিল। যেহেতু অনেকটা সন্ধ্যা হয়ে গেছিল তাই প্রথমে আমরা কনফিউশনে পড়ে গেছিলাম সেখানে যাব কি যাব না এই নিয়ে। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম কিছুটা ঘুরেই যাই সেখানে। এই ফরেস্টের ভিতরে প্রবেশ মূল্য কোন কিছুই ছিল না। আমরা যে টিকিটের সাহায্যে ইকোপার্কে ঢুকেছিলাম সেই টিকিটেই এইখানে ঘুরে দেখা যাচ্ছিল। হাতে যেহেতু কম সময়ে ছিল তাই আমরা তাড়াতাড়ি করে ঢুকে গেছিলাম এর ভেতরে। এই অংশটি ছিল জাপানি থিমযুক্ত এলাকা। এটি ইকো পার্কের এক নাম্বার গেটের বেশ কাছাকাছি ছিল।
এটি ভগবান গৌতম বুদ্ধের স্ট্যাচু। জাপানিজ ফরেস্টের গেটের মধ্যে প্রবেশ করে কয়েক পা সামনে যাওয়ার পরেই এই মূর্তিটি সর্বপ্রথম চোখে পড়ে।
জাপানিজ ফরেস্টের গেটের বাইরে এরকম সিংহ এর মূর্তি করা ছিল , দুই পাশে দুটি করে সর্বমোট চারটি।
জায়গাটিতে ঢুকেই বেশ শান্ত লাগছিল । সেই সন্ধ্যার সময় সেরকম কোন লোকের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না সেখানে গিয়ে। জায়গাটি জাপানি বনের মতো করে তৈরি করা হয়েছিল। এর ভিতরে জাপানি সংস্কৃতির বিভিন্ন জিনিস প্রদর্শন করা ছিল। এটা আমাকে বলতেই হবে জাপানি সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সত্যিকারের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য সুন্দর একটি জায়গা এটি। কৃত্রিম পুকুর, কাঠের সুন্দর সেতু, বাঁশের বন এই স্থানটিকে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। এই এলাকাটির ভিতরে প্যাগোডাও বিদ্যমান ছিল। এর ভিতরে গিয়ে জাপানি স্টাইলের রেস্টুরেন্ট, মন্দির, লেক এবং সুন্দর জেন বাগান দেখতে পেয়েছিলাম। ফটোগ্রাফির জন্য জায়গাটি অত্যন্ত সুন্দর ছিল। এজন্য বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এখান থেকে আমি করে নিয়েছিলাম। দুটি পর্বের মাধ্যমে আমি সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করব যার আজ প্রথম পর্ব ।
এই গেটটির মধ্যে প্রবেশ করেই জাপানিজ ফরেস্টের ভিতরে গেছিলাম।
এই রেস্তোরাঁটি জাপানের রেস্তোরাঁর আদলে তৈরি করা হয়েছিল । এই রেস্তোরাঁটিতে কোনো জাপানি খাবার পাওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে যদিও আমি শিওর না কারণ এর ভিতরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি আমার।
বিভিন্ন সাইজের বাঁশ বেশ সুন্দর করে চক্রাকারে ঝোলানো ছিল যা জাপানি সংস্কৃতির একটি অংশ হবে।
এখানে ফুলের বাগান দেখা যাচ্ছে । গাছগুলোতে কোন ফুল না থাকায় কোন জাতের ফুলের গাছ লাগানো ছিল সেটা ঠিক বুঝতে পারিনি।
জাপানি সংস্কৃতির আদলে তৈরি করা একটি ঘর।
এইগুলো হলো বাম্বু লাইট । এগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল যদিও ফটোগ্রাফিতে অতটা ভালো বোঝা যাচ্ছে না তবে সামনে থেকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।
জাপানিজ ফরেস্ট খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মূর্তি ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। জাপানিজ ফরেস্টের পরিবেশ খুবই সুন্দর। রাত্রি বেলায় বাম্বু লাইট দুর্দান্ত লাগছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ অসাধারণ হয়েছে। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। এত সুন্দর করে আজকের পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। আগামী পর্বের জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হবে না ভাই দুই দিন এর মধ্যেই দ্বিতীয় পর্ব টি শেয়ার করবো।
হ্যাঁ ঠিক সবকিছুর মধ্যে জাপানি একটা ভাব রয়েছে, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য ডেকোরেশন গুলো সবকিছু জাপানের আদলেই তৈরি করা হয়েছে যেন ছোট্ট করে জাপান দেশটাকে নতুন করে আবিষ্কার করা চমৎকার ছিল জাপানি ফরেস্টের এই ফটোগ্রাফি গুলো সন্ধ্যাবেলা হওয়াতে হয়তো আমরাও অনেক কিছু মিস করে ফেলেছি।
জাপানি সংস্কৃতির ছোটো একটা অংশ সেখানে গিয়ে দেখার সুযোগ হয়েছিল ভাই।
ভাই দ্বিতীয় পর্বে আরো অনেক ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো কোনো কিছু মিস হবে না আশা করি।