শৈশবের স্মৃতিচারণ : খেলাধুলা (পর্ব -০২)
প্রিয় বন্ধুরা ,
তোমরা সবাই কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে আমি স্বাগতম জানাচ্ছি। আজকের ব্লগে আমি তোমাদের সাথে খেলাধুলা নিয়ে শৈশবের কিছু ঘটনা শেয়ার করব।
শৈশবের খেলাধুলা নিয়ে অনেক অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার যেগুলো এক পর্বে তোমাদের সাথে সব কিছু শেয়ার করে পারবো না, তাই দুটি পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করবো ।
আজ তোমাদের সাথে দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করবো।
শৈশবে অনেক খেলাধুলা করেছি এই জন্য গত পর্বে সবগুলো খেলাধুলা সম্পর্কে শেয়ার করতে পারিনি। আজ দ্বিতীয় পর্বে আমার শৈশবে ইনজয় করা বাকি খেলাধুলা সম্পর্কে শেয়ার করলাম।
ছোটবেলায় আমার গায়ে অনেক শক্তি থাকার কারণে আমাকে কাবাডি খেলায় সবার আগে টিমের গ্রুপ ক্যাপ্টেন ডেকে নিতো। আমাদের বাড়ির পাশের একটি জমিতে মাটি কুপিয়ে আমরা কাবাডি খেলার ছক কেটে বন্ধুরা সবাই মিলে কাবাডি খেলায় মেতে উঠতাম। এই কাবাডি খেলতে গিয়ে অনেকবারই শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে গেছে। সেই কাটা অংশের দাগ গুলো এখনো শৈশবের সেই মেমোরি গুলোকে মনে করিয়ে দেয়।
আমার শৈশবে আমি লুকোচুরিও খেলেছি। এই লুকোচুরি দিনে তো খেলতামই এছাড়া গরমের সময় যখন কারেন্ট চলে যেত রাতে বেলা আমরা বন্ধুরা মিলে সবাই এই লুকোচুরি খেলতাম । বাড়ির বড়রা সব সময় রাতের বেলায় এভাবে লুকোচুরি খেলতে না করত কারন গ্রামে সাপের একটা ভয় সবসময় থাকত। তখন হয়তো আমাদের এই সাপের ভয় ছিল না কিন্তু এখন সেই বিষয়গুলো মনে করলে ভয় লাগে।
মার্বেল খেলার জন্য বাড়িতে অনেক মার খেতাম । আমার বোতল ভরা ভরা অনেক মার্বেল সবসময় বাড়িতেই থাকতো। আর মাঝে মাঝে মা সেইগুলো পুকুরের জলে ফেলে দিত। কষ্ট করে জমানো মার্বেল গুলো ফেলে দিলে আমার অনেক কষ্ট হতো তখন। তারপরে আবার কোন না কোন উপায় বের করে এই মার্বেল জোগাড় করে ফেলতাম।
এছাড়া বাকি কিছু খেলা যেমন রাম-শ্যাম-যদু-মধু,চোর-ডাকাত-পুলিশ ,লুডু, ক্যারম, তাস,দাবা সবকিছু খেলার ই কমবেশি অভিজ্ঞতা আমার শৈশব জীবনে ছিল। তখন এইসব খেলা ইনজয় করার সময় কখনোই ভাবি নি এইসব খেলা সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যাবে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবকিছু কেমন জানি হারিয়ে গেছে।
আমরাই হয়তো লাস্ট জেনারেশন যারা এইসব খেলা ইনজয় করার সুযোগ পেয়েছি। বর্তমান জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা হয়তো সব খেলার নামও ঠিক করে জানেনা। তারা এখন মোবাইলের গেম এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বাইরের বিভিন্ন গেম সম্পর্কে কম ধারনাই তাদের রয়েছে ।
আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো আসলে শৈশবের খেলাধুলার অনুভূতি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পোস্টটি পড়ে আমার শৈশবের অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। আসলে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর ছিলো। আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমানে ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা সম্পর্কে অবগত নয়। পরবর্তী পর্বে জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
প্রত্যেকের জীবনে এই শৈশবের খেলাধুলার অনুভূতিগুলো রয়েছে। মাঝে মাঝে শৈশবের এই অনুভূতি গুলো মনে পড়লে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।