কিছুদিন আগে ভিসা অফিসে
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
কলকাতার বাইরে আমি সাধারণত তেমন কোন জায়গায় যাই নি। যত ঘুরাঘুরি আমি এই ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যেই সাধারণত করে থাকি। আমাদের ইন্ডিয়াতে ঘোরার অনেক জায়গা থাকলেও আমি রাজ্যের বাইরেও খুব একটা যাই নি। আমার পাসপোর্ট অনেক বছর আগেই করানো, যদি কোনো দিন বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ হয় তাই আগেভাগেই করে রেখেছিলাম। দেশের মধ্যে না ঘুরলেও বাইরে ঘুরার অনেক ইচ্ছা আমার আগে থেকেই ছিল। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ি থেকে প্ল্যান হয় আমরা ঘুরাঘুরি করতে একটু দেশের বাইরে যাব। দেশের বাইরে মানে বলতে বাংলাদেশেই যাব। সেখানে আমার পরিবারের দূর সম্পর্কের কিছু আত্মীয়রা থাকে।
প্রথমে আমি যাব না সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । আমার ইচ্ছা ছিল পাহাড় দেখতে পুরুলিয়া যাব। তারপরে বাড়ির সবাই বলল একটু অন্য পরিবেশে গিয়ে ঘুরে আসা যাক, অন্য দেশের অনুভূতি নেওয়া যাক সেই জন্য সবার কথায় রাজি হয়ে গেছিলাম। কিন্তু যাব বললে তো আর চলে যাওয়া যায় না। দেশের বাইরে যেতে গেলে অনেক প্রসেস মেইনটেইন করে যেতে হয়। সেজন্য প্রথমে পাসপোর্টে ভিসা লাগাতে দিতে হয়, ভিসা অফিস থেকে ভিসা দিলেই তবেই যাওয়া যায় বাইরে। কিছুদিন আগে অসুস্থ শরীর নিয়ে গেছিলাম এই ভিসা অফিসে। অসুস্থ থাকা অবস্থায় যাওয়ার কারণ হলো তার কিছুদিন আগে ভিসার জন্য ফরম ফিলাপ করেছিলাম। এই ফরম ফিলাপটা যখন করেছিলাম তখন সুস্থ ছিলাম আর ফরম ফিলাপ করার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভিসা অফিসে ফরম জমা করতে হয় । মূলত সেই কারণে শরীর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও গেছিলাম ভিসা অফিসে ভিসা লাগানোর জন্য।
ভিসা অফিসে যাওয়ার জন্য প্রথমে নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিধাননগর রেল স্টেশনে গিয়ে নামি। সেখান থেকে অটো ধরে কলেজ মোড় নেমে কিছুটা হাঁটার পরেই পেয়ে যাই বাংলাদেশী এই ভিসা অফিস। বেশ বড়ই ছিল এই অফিসটি। কয়েক বছর হল এই অফিসটি এখানে করেছে। সেখানে যাওয়ার পর আমি ভেবেছিলাম হয়তো লোকের কিছুটা ভিড় হবে আর আমি যে সময়টাতে গেছিলাম সেটা ছিল দুপুরের দিকে, গিয়ে দেখি তেমন কোন ভিড় নেই। আমি বাড়ি থেকে যে ফরম ফিলাপ করে নিয়ে গেছিলাম সেই ফর্ম ফিলাপের উপর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো লাগিয়ে এবং নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস এবং পাসপোর্ট আমি সেই অফিসে জমা করে আসি। সেখানে সবকিছু জমা করার পর তারা জানায় মোটামুটি ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে ভিসা হয়ে পাসপোর্ট হাতে পেয়ে। তারা একটি স্লিপ দিয়ে দিয়েছিল। ভিসা হওয়ার পর পাসপোর্ট কালেক্ট করার সময় এই স্লিপ আর আধার কার্ড দেখাতে হবে সেটাও তারা জানিয়ে দিয়েছিল। যেহেতু শরীর সেই সময়টাতে খারাপ ছিল তাই কাজ শেষ হওয়ার পর ভিসা অফিসে বেশি সময়ই দাঁড়ায়নি। তবে আসার সময় ভিসা অফিসের মধ্য থেকে এবং ভিসা অফিসের বাইরে থেকে কিছু ফটো তুলে নিয়েছিলাম । সবকিছু কমপ্লিট করে সেখান থেকে পুনরায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।
এক দেশ থেকে অন্য কোন দেশে যেতে পাসপোর্ট ভিসা প্রসেসিং গুলো করে নিলে আর কোন ঝামেলাই থাকে না। যাইহোক তবে আমাদের দেশে পাসপোর্ট ভিসার জন্য একটু ঝামেলা পোহাতেই হয়। কারণ এগুলো প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে অনেকটা সময় নেয়। তবে যাই হোক আপনাদের বাংলাদেশ ভ্রমণ হবে সেটাই তো বড় কথা। তবে আপনার দাদার কাছে ও শুনেছিলাম বাংলাদেশে আসার কথা, বাংলাদেশ ভ্রমণ শুভ হোক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমাদের বাংলাদেশ ভ্রমনের জন্য শুভ কামনা করার জন্য।
আপনার ভাবি তো মনে হয় আপনাকে ইনভাইট করেছে চলে আসবেন। আমার তরফ থেকেও দাওয়াত রইলো।