ফটোগ্রাফি || সুন্দর একটি গ্রামের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তোলা কিছু ফটোগ্রাফি (পর্ব -০৩)
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম । আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে সুন্দর একটি গ্রামের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তোলা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।
কিছুদিন আগে অলরেডি দুটি পর্বের মাধ্যমে ঐ গ্রাম থেকে তোলা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। আজকের তৃতীয় পর্বে আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব ।
ফটোগ্রাফি -০১
গ্রামের কৃষক জমিতে ধানের চারা রোপন করছে, এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে উপরের ফটোগ্রাফিতে। এই দৃশ্য সামনে থেকে না দেখলে বোঝা যাবে না, দৃশ্যটা আসলে কত সুন্দর। এরকম দৃশ্য নিয়ে অনেক কবি কবিতাও লিখেছেন। আমি এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখে রাস্তায় চলার পথে দাঁড়িয়ে গেছিলাম এবং রাস্তার পাশে কিছু সময় বসে তাদের ধান রোপনের দৃশ্য উপভোগ করছিলাম। এই সময় তাদের সাথে আমি কথাও বলেছিলাম। ধানের চারা রোপনের সময় গ্রামের নারী পুরুষ সবাই একসাথে এই কাজে অংশগ্রহণ করে।
ফটোগ্রাফি -০২
ধানের চারা রোপনের দৃশ্য দেখে কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পর রাস্তার পাশে এই দৃশ্যটি চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে থাকা এই জমিতে বেশ কিছুদিন আগেই ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। এই চারাগুলো বেশ খানিকটা বড়ও হয়ে গেছে যেটা তোমরা ফটোগ্রাফিতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছ। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এরকম সবুজ ক্ষেত দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। এরকম দৃশ্য দেখলে চোখের যেমন শান্তি, তেমন মনেরও শান্তি।
ফটোগ্রাফি -০৩
এই ফটোগ্রাফিতে যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে তা সত্যিই মুগ্ধ করার মতো । আশা করি, তোমরাও আমার সাথে এ বিষয়ে একমত হবে। দূরে নীল আকাশ আর সামনে রয়েছে সুন্দর প্রকৃতি ও জলাশয়। বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছপালা দিয়ে ভরা থাকে গ্রামীণ প্রকৃতি । এরকম দৃশ্য দেখার সুযোগ হলে মুগ্ধ হয়ে দেখা ছাড়া আর অন্য কোন কিছু বলার থাকে না। এসব দৃশ্য সামনে থেকে দেখা সত্যি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। সেদিন গ্রামের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবো তা আমি কল্পনাও করিনি। তবে বাস্তবে সবকিছু অনেক কাছ থেকে উপভোগ করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি -০৪
গ্রামের মধ্যে দিয়ে অনেক দূর হেঁটে যাওয়ার পর একটু অন্যরকম দৃশ্য আমার চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে পুরনো একটি বাড়ি দেখেছিলাম। তবে এটি বাড়ি নাকি গোয়াল ঘর ছিল তাই নিয়ে আমি কনফিউশনে পড়ে গেছিলাম। বাড়িটি বসবাসযোগ্য ছিল না। আশেপাশে সবজির গাছ লাগানো ছিল। এই বাড়ির চালা টালি দিয়ে তৈরি ছিল। এই টালির চালার উপর আবার সবুজ ঘাসও দেখা যাচ্ছিল। এটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এখানে অনেক বছর হয়ে গেছে কেউ থাকেনা।
ফটোগ্রাফি -০৫
গ্রামের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে গরু ছাগল বেঁধে রাখার দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ে। এখানে তোমরা ছাগল বেঁধে রাখার দৃশ্য দেখতে পাচ্ছ। তাছাড়া অন্য আরেকটি ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো জমিতে জল দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের পাইপে করে। গ্রাম অঞ্চলে এই পাইপগুলোর মাধ্যমে মেশিনের সাহায্যে দূরের জমিগুলোতে জল দেওয়া হয়। আমি যেহেতু গ্রামে বড় হয়েছি তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি আগে থেকেই জানতাম।
ফটোগ্রাফি -০৬
গ্রামে মাটির রাস্তাই বেশি দেখা যায়। তবে কিছু কিছু জায়গায় ইটের রাস্তাও দেখা যায়। বিভিন্ন ডিজাইনের ইটের রাস্তা আমি অনেক জায়গায় দেখেছি। আমি যে ইটের রাস্তার উপর দিয়ে সেই দিন হেঁটে যাচ্ছিলাম সেই রাস্তার অনেকাংশই ভাঙ্গা ছিল। গ্রামীণ এমন পথ ধরে চলতে বেশ ভালো লাগছিল আমার সেই সময়। ইটের রাস্তার দুই পাশে ছিল ফসলের জমি। আমাদের বাড়ির এই দিকে ইটের রাস্তা তেমন দেখা যায় না । সেই দিন গ্রামের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অনেকদিন পর এমন ইটের রাস্তা দেখার সুযোগ হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি -০৭
গ্রামীন প্রকৃতি কতটা সুন্দর তার এক ঝলক দেখার সুযোগ পাবে এই ফটোগ্রাফিটিতে। সবুজে সবুজময় হয়ে থাকে গ্রামের রাস্তার দুই পাশ। গরমের দিনে এরকম জায়গা দিয়ে হাঁটলেও সূর্যের তাপ গায়ে লাগে না, প্রকৃতি সেটাকে আটকে দেয়। চলার পথে এই সবুজ সুন্দর প্রকৃতি দেখে মনটা আনন্দে ভরে উঠেছিল আমার সেই দিন।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বালিয়াড়ি গ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা সুন্দর একটি গ্রাম থেকে তোলা তৃতীয় পর্বের কিছু ফটোগ্রাফি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে
গ্রামের কৃষক জমিতে ধানের চারা রোপন করছে, এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে উপরের ফটোগ্রাফিতে। এই দৃশ্য সামনে থেকে না দেখলে বোঝা যাবে না, দৃশ্যটা আসলে কত সুন্দর। এরকম দৃশ্য নিয়ে অনেক কবি কবিতাও লিখেছেন। আমি এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখে রাস্তায় চলার পথে দাঁড়িয়ে গেছিলাম এবং রাস্তার পাশে কিছু সময় বসে তাদের ধান রোপনের দৃশ্য উপভোগ করছিলাম। এই সময় তাদের সাথে আমি কথাও বলেছিলাম। ধানের চারা রোপনের সময় গ্রামের নারী পুরুষ সবাই একসাথে এই কাজে অংশগ্রহণ করে।
ধানের চারা রোপনের দৃশ্য দেখে কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পর রাস্তার পাশে এই দৃশ্যটি চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে থাকা এই জমিতে বেশ কিছুদিন আগেই ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। এই চারাগুলো বেশ খানিকটা বড়ও হয়ে গেছে যেটা তোমরা ফটোগ্রাফিতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছ। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এরকম সবুজ ক্ষেত দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। এরকম দৃশ্য দেখলে চোখের যেমন শান্তি, তেমন মনেরও শান্তি।
এই ফটোগ্রাফিতে যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে তা সত্যিই মুগ্ধ করার মতো । আশা করি, তোমরাও আমার সাথে এ বিষয়ে একমত হবে। দূরে নীল আকাশ আর সামনে রয়েছে সুন্দর প্রকৃতি ও জলাশয়। বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছপালা দিয়ে ভরা থাকে গ্রামীণ প্রকৃতি । এরকম দৃশ্য দেখার সুযোগ হলে মুগ্ধ হয়ে দেখা ছাড়া আর অন্য কোন কিছু বলার থাকে না। এসব দৃশ্য সামনে থেকে দেখা সত্যি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। সেদিন গ্রামের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবো তা আমি কল্পনাও করিনি। তবে বাস্তবে সবকিছু অনেক কাছ থেকে উপভোগ করেছিলাম।
গ্রামের মধ্যে দিয়ে অনেক দূর হেঁটে যাওয়ার পর একটু অন্যরকম দৃশ্য আমার চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে পুরনো একটি বাড়ি দেখেছিলাম। তবে এটি বাড়ি নাকি গোয়াল ঘর ছিল তাই নিয়ে আমি কনফিউশনে পড়ে গেছিলাম। বাড়িটি বসবাসযোগ্য ছিল না। আশেপাশে সবজির গাছ লাগানো ছিল। এই বাড়ির চালা টালি দিয়ে তৈরি ছিল। এই টালির চালার উপর আবার সবুজ ঘাসও দেখা যাচ্ছিল। এটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এখানে অনেক বছর হয়ে গেছে কেউ থাকেনা।
গ্রামের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে গরু ছাগল বেঁধে রাখার দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ে। এখানে তোমরা ছাগল বেঁধে রাখার দৃশ্য দেখতে পাচ্ছ। তাছাড়া অন্য আরেকটি ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো জমিতে জল দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের পাইপে করে। গ্রাম অঞ্চলে এই পাইপগুলোর মাধ্যমে মেশিনের সাহায্যে দূরের জমিগুলোতে জল দেওয়া হয়। আমি যেহেতু গ্রামে বড় হয়েছি তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি আগে থেকেই জানতাম।
গ্রামে মাটির রাস্তাই বেশি দেখা যায়। তবে কিছু কিছু জায়গায় ইটের রাস্তাও দেখা যায়। বিভিন্ন ডিজাইনের ইটের রাস্তা আমি অনেক জায়গায় দেখেছি। আমি যে ইটের রাস্তার উপর দিয়ে সেই দিন হেঁটে যাচ্ছিলাম সেই রাস্তার অনেকাংশই ভাঙ্গা ছিল। গ্রামীণ এমন পথ ধরে চলতে বেশ ভালো লাগছিল আমার সেই সময়। ইটের রাস্তার দুই পাশে ছিল ফসলের জমি। আমাদের বাড়ির এই দিকে ইটের রাস্তা তেমন দেখা যায় না । সেই দিন গ্রামের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অনেকদিন পর এমন ইটের রাস্তা দেখার সুযোগ হয়েছিল।
গ্রামীন প্রকৃতি কতটা সুন্দর তার এক ঝলক দেখার সুযোগ পাবে এই ফটোগ্রাফিটিতে। সবুজে সবুজময় হয়ে থাকে গ্রামের রাস্তার দুই পাশ। গরমের দিনে এরকম জায়গা দিয়ে হাঁটলেও সূর্যের তাপ গায়ে লাগে না, প্রকৃতি সেটাকে আটকে দেয়। চলার পথে এই সবুজ সুন্দর প্রকৃতি দেখে মনটা আনন্দে ভরে উঠেছিল আমার সেই দিন।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বালিয়াড়ি গ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
গ্রামের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে দারুণ হয়েছে। ধানের ক্ষেত সহ ধান লাগানো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছে ধন্যবাদ।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনি তো দেখছি গ্রামের পথ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি করা প্রতিটিই ছিল অনেক সুন্দর। গ্রাম বাংলার প্রকৃতিও ছবি আপনার ফটোগ্রাফিতে তুলে এনেছেন দেখছি। সব মিলে দারুন একটি ফটোগ্রাফি পর্ব করেছেন দাদা।
চেষ্টা করেছি আপু, গ্রাম বাংলার প্রকৃতিটাকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রকাশ করার। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
শেষের ছবিতে যে গ্রামীণ পরিবেশের ঝলক দেখলাম সেটা এককথায় অসাধারণ এবং মনমুগ্ধকর। গ্রামের ইটের রাস্তা মাঠে ধান রোপনের দৃশ্য সবগুলো দারুণ ছিল। সত্যি গ্রামটা বেশ সুন্দর। এবং আপনি ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার করেছেন ভাই। সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আমার শেয়ার করা গ্রামীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে অসাধারণ এবং মনমুগ্ধকর লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সুন্দর দৃশ্য গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। সত্যি গ্রাম বাংলার এই দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। হেঁটে যেতেই সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো করেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করলেন সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।