ভ্রমন: রঙ্কিনী দেবীর মন্দির (পর্ব -০১)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম । আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ভ্রমণ মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করব।

20230224_113917.jpg

20230224_113919.jpg

কয়েক মাস আগে আমরা বন্ধুরা অল্প সময় হাতে নিয়ে গেছিলাম ঘাটশিলা ভ্রমণের জন্য । এই অল্প সময়ের মধ্যে সেইখানের নিকটবর্তী এত জায়গা আমরা দেখতে পাবো তা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। যাইহোক ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন গালুডি ব্যারেজ হয়ে আমাদের পরবর্তী ঘোরার জায়গাটি ছিল রঙ্কিনি দেবীর মন্দির। গালুডি ব্যারেজ থেকে অনেকটা পথ অতিক্রম করে যেতে হয়েছিল আমাদের সেখানে। এই জায়গাটি জামশেদপুর এর মধ্যে পড়ে যায়। এখানে যাওয়ার পথে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম ভারতের সবথেকে পুরনো ইউরেনিয়াম খনির জায়গাটি। এখানেই প্রথম ভারতের ইউরেনিয়াম খনির সন্ধান মিলে এবং এখান থেকে ইউরেনিয়ামের উত্তোলন শুরু হয়। যদিও এই ইনফরমেশনটি আমার জানা ছিল না। আমাদের অটো চালক আমাদের সবকিছু বলতে বলতে যাচ্ছিল। যাই হোক এভাবে অনেকটা পথ অটোতে করে অতিক্রম করার পর আমরা সবশেষে পৌঁছে যাই এই রঙ্কিনী দেবীর মন্দিরে।

20230224_114029.jpg

20230224_114032.jpg

যে মন্দিরটি ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পারবে সেটি পূর্বে এমন ছিল না । এই মন্দিরের ইতিহাস আরো অনেক অনেক আগের। ১৯৬৪ সালে এই মন্দিরটি পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই মন্দিরের সামনে যাওয়ার পর প্রথমে আমার চোখে পড়েছিল প্রবেশদ্বারের উপর মহাদেবের বিভিন্ন অবতারের মূর্তি। তার ঠিক নিচে মা দুর্গা তার সন্তানদের নিয়ে রয়েছে এমন দৃশ্যের মূর্তি। মূলত দুর্গাপুজোর সময় পুজো প্যান্ডেলে মা দুর্গার যে দৃশ্যটি দেখা যায় সেই দৃশ্যের মূর্তি করা ছিল। পিলারে দেখতে পেয়েছিলাম বিষ্ণুর দশ অবতারের মূর্তি । এগুলো আমি সামনে থেকেই সব দেখেছিলাম। এই মন্দিরের মধ্যে যে পাথর ছিল সেটি মা কালী রূপে পূজিত হয়। লোকমুখে শোনা যায় এই পাথরটি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পাথরটি নাকি জীবন্ত এবং জাগ্রত লোকমুখে এমনটাও শোনা যায়।

20230224_114036.jpg

20230224_114048.jpg

এখানে গিয়ে একটা বিষয় ভালো লেগেছিল যে, এখানের লোকজন বাংলায় কথা বলতে পারে ।এখানে উড়িষ্যা ও বাংলা থেকে অনেক বেশি দর্শনার্থী ঘুরতে আসে। এদের সাথে বাংলায় কথা বলে বেশ কমফোর্ট ফিল করা যাচ্ছিল। এখানে প্রচলিত রয়েছে কেউ যদি মনে প্রানে এই মন্দিরে মা কালীর কাছে যে কোন মনোকামনা নিয়ে আসে তা পূর্ণ হয়ে যায়। এই মন্দিরের মধ্যে আরো কিছু মন্দির প্রতিষ্ঠিত করা ছিল । যেখানে শিব পরিবার, রাধা কৃষ্ণ, রাম সিতা পরিবার সবকিছুই ছিল। কিছুদিন আগেই নাকি এখানে নতুন একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল যা সেই খানের এক পুরোহিত মশাই আমাকে বলেছিল। মানুষ এখানে মা রঙ্কিনী দেবীর দর্শন করার পাশাপাশি পিকনিক করতেও আসে। দেবীর পুজো এবং দর্শন শেষে পাহাড়ের একটি জায়গায় গিয়ে তারা নিজেদের মতো করে পিকনিক করে থাকে। আমরা এখানে যদিও পিকনিকের জন্য যায়নি, দেবীর দর্শন করার জন্য গেছিলাম এবং দর্শন করে আমরা সেখানে পুজো দিয়েছিলাম।

চলবে...

20230224_114219.jpg

20230224_114319.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনরোহিনীবেরা, জাদুগোড়া ,জামশেদপুর , ঝাড়খণ্ড , ভারত।

রঙ্কিনী দেবীর মন্দির যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62311.03
ETH 2443.26
USDT 1.00
SBD 2.69