ইন্ডিয়ান কফি হাউসে একদিন
নমস্কার সবাইকে ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। |
---|
গত দুইদিন ধরে আমি একটু অসুস্থ। গতকালকের একটি ব্লগে আমি আমার অসুস্থতার কথা আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম। গতকাল ভোররাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর পর্যন্ত হয়েছিল আমার। যাই হোক সেই তুলনায় এখন একটু সুস্থ আছি। সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হতে আর হয়তো কিছুদিন সময় লেগে যাবে। এখন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের নতুন ব্লগ শুরু করা যাক।
নর্থ কলকাতা ঘুরতে যাওয়া নিয়ে গতকাল আপনাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। সেই ব্লগে আমি আপনাদের জানিয়েছিলাম যে, কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করার জন্য নর্থ কলকাতায় আমি গেছিলাম। সেই দিনই ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায় আমরা ইন্ডিয়ান কফি হাউজে গিয়ে পৌঁছায়। এই কফি হাউস চেনে না এমন লোক কলকাতায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রথমে এই কফি হাউজ সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করে নি।
নর্থ কলকাতার বইপাড়ার কলেজ স্ট্রিটে এই কফি হাউজ অবস্থিত । এটি কলকাতার একটি প্রাচীনতম কফি হাউস। বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী কফি হাউস এটি। অবসর সময়ে এসে সময় কাটানোর জন্য অথবা বন্ধুবান্ধব, প্রিয়জন , পরিবারের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য বেশ নামকরা একটি জায়গায় এটি। সময়ের সাথে এটি কলকাতার সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে । অনেক আগে থেকেই এটি বুদ্ধিজীবীদের আড্ডার স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
এটি আমার কাছে পূর্ব পরিচিত একটি স্থান। এইখানে আমি এর আগেও কয়েকবার গেছি। আমি যতবারই গেছি সব সময় বন্ধু-বান্ধবের সাথেই গেছি। নর্থ কলকাতা ঘুরতে যেহেতু বন্ধুবান্ধব সবাই একসাথে গেছিলাম তাই ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে এসে আমরা সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নিই আমরা এই ইন্ডিয়ান কফি হাউসেই যাব এবং কিছু সময় বসে আড্ডা দিয়ে নেব। আমরা যখন এই কফি হাউসে পৌঁছালাম গিয়ে দেখি কফি হাউজের মধ্যে প্রচন্ড ভিড়। বসার কোন জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থা।
আমরা নিচতলায় ,উপর তলায় সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু বসার কোন জায়গা খুঁজে পেলাম না। কয়েক জায়গায় দু একটা সিট খালি পেয়েছিলাম কিন্তু আমরা যেহেতু ছয় জন ছিলাম তাই কোথাও দু একটি সিট খালি থাকলেও আমরা সেখানে গিয়ে বসতে পারছিলাম না। আমাদের জন্য এমন একটি জায়গার দরকার ছিল যেখানে গিয়ে আমরা ছয় জন একসাথে বসতে পারি। অবশেষে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর এরকম একটি জায়গা পেলাম যেখানে গিয়ে আমরা সবাই একসাথে বসতে পারি। বসার জায়গা পাওয়ার আগে যখন আমরা উপরে নিচে ঘোরাঘুরি করছিলাম তখন কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আমি সেগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এইখানে সেই দিন গিয়ে আমাদের যা যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেগুলো আপনাদের সাথে পরবর্তী কোনো ব্লগে শেয়ার করব।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: ১৫, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, প্রেসিডেন্সি কলেজের কাছে, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা ।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: ১৫, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, প্রেসিডেন্সি কলেজের কাছে, কলেজ স্ট্রিট, কলকাতা ।
ইন্ডিয়ান কফি হাউসে যাওয়া নিয়ে আজকের শেয়ার করা ব্লগটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন। এতটা সময় দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন ,হাসিখুশি থাকেন , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন সেই প্রত্যাশাই করি। সুস্থতা মানুষের জন্য অনেক বড় নেয়ামত। যাইহোক, বন্ধুদের সাথে এর আগে দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলেন ইন্ডিয়ান কফি হাউসে। বন্ধুদের সাথে কফির আড্ডায় মেতে ওঠা সত্যিই অনেক আনন্দমুখর সময়। আমিও মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে কফি খাওয়ার আড্ডায় মেতে ওঠি অনেক ভালো লাগে।
আমার সুস্থতা কামনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার ব্যাপারটি শুনে ভালো লাগলো। বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দেওয়ার মজাটাই আলাদা।
এই সেই কফি হাউজ যেটার গান আমরা শুনে আসি।আর আসলেই জায়গাটা আড্ডা দেওয়ার জন্য উত্তম।আর এত মানুষের ভিড়ে জায়গা পাওয়াটা খুবই কষ্ট সাধ্য।তবে বেশিক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে হয় নি এটাই কপাল।
ছোটবেলা থেকে আমিও এই গানটা শুনে আসছি। আড্ডা দেওয়ার জন্য ভালো একটি জায়গা ছিল এটি কিন্তু আড্ডা দেওয়ার পরিবেশ এখন নষ্ট হয়ে গেছে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে। কোলাহল যুক্ত একটি স্থান হয়ে গেছে এখন এটি ।
আশা করি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন দাদা।এটাই কি মান্না দের সেই বিখ্যাত গানের কফি হাউজ? কাল রাতেই গানটি শুনছিলাম আর ভাবছিলাম জায়গা টি কেমন।আজ আপনার কল্যানে সেটা দেখাও হয়ে গেল।ধন্যবাদ পোস্ট করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাই এটিই সেই জায়গা। মান্না দের সেই বিখ্যাত কফি হাউজ নিয়ে লেখা গান "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই" এই জায়গাকে কেন্দ্র করেই লিখেছিলেন।
আশা করি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন দাদা।এটাই কি মান্না দের সেই বিখ্যাত গানের কফি হাউজ? কাল রাতেই গানটি শুনছিলাম আর ভাবছিলাম জায়গা টি কেমন।আজ আপনার কল্যানে সেটা দেখাও হয়ে গেল।ধন্যবাদ পোস্ট করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ভাই মনে হয় ভুল করে একই কমেন্ট দুইবার হয়ে গেছে আপনার।
হ্যা তখন নেটের সমস্যা ছিল তাই হয়ে গেছে।কেমেন্ট ডিলেট করে কিভাবে?
একটা সময় পার হয়ে যাওয়ার পর আর ডিলিট করা যায় না । কোন ব্যাপার না ভাই আমি বুঝতে পেরেছি ব্যাপারটা। নেট প্রবলেমের কারণে মাঝে মাঝে আমার সাথেও এরকম ঘটনা ঘটে।
ডিলিট করা যায় ৭ দিন এর ভিতর তবে শর্ত হচ্ছে ওই কমেন্ট এ কোনো আপভোট/ডাউনভোট পরা যাবেনা। কোনো রিপ্লাই থাকতে পারবেনা । তাইলেই ডিলিট করা যায়।
ও তাহলে তো আর ওই কমেন্টটি ডিলিট করা যাবে না কারণ সেখানে অলরেডি কমেন্ট এর রিপ্লাই করা হয়ে গেছে।
কলকাতার এই কফি হাউসটি অনেক বিখ্যাত হওয়ার কারণে আমিও একবার গিয়েছিলাম। এখানে সব সময় মনে হয় প্রচন্ড রকম ভিড় থাকে। দুই একজন বসারই জায়গা পাওয়া যায় না, সেখানে তো আপনারা ছয়জন। তাও ভালো যে ১৫ মিনিট অপেক্ষা কর বসতে পেরেছেন। এই কফি হাউজে গিয়ে একটা বিষয় আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। এখানে বয়স্ক লোকরা এসেও দেখলাম যে বেশ আড্ডা দিচ্ছে। যাই হোক সবশেষে দ্রুত আপনার পুরো পুরি সুস্থতা কামনা করছি।
হ্যাঁ আপু সব সময়ই এখানে প্রচন্ড রকমের ভিড় থাকে। একসাথে অনেক জন গেলে বসতে একটু কষ্ট হয়। এলোমেলোভাবে দু একটা করে সিট খালি থাকে সেক্ষেত্রে এক দুজন গেলে সমস্যা হয় না বসার। কিন্তু একসাথে পাঁচ ছয় জনের বেশি গেলে বসার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
অল্প বয়সী ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে বয়স্ক সব ধরনের বয়সের লোকরা এখানে আসে আড্ডা দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনার আজকের পোস্ট দেখে গানটা মনে এলো। আমি ইন্ডিয়া গিয়েছি কিন্তু কফি হাউজ আমার যাওয়া হয়নি। খুব ভাল লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আপু মান্না দের সেই বিখ্যাত গান "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই" এই কফি হাউজকে কেন্দ্র করেই সৃষ্টি করেছিলেন।
মান্নাদের গাওয়া কফি হাউজের সেই আড্ডাটা গানটা কত শুনেছি। আচ্ছা এটাই কী সেই কফিহাউজ। কফিহাউজটা বেশ জনপ্রিয় সেটা ভীড় দেখে বোঝা যাচ্ছে। বেশ ভালো লাগল এইরকম একটা ঐতিহ্যবাহী কফি হাউজ দেখে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হ্যাঁ ভাই আপনি যে গান অনেক অনেক বার শুনেছেন সেই গান এই কফি হাউস কে কেন্দ্র করেই মান্না দে সৃষ্টি করেছিলেন। সব সময় এখানে প্রচণ্ড ভিড় থাকে।
আমারও বেশ কয়েকদিন জ্বর ছিলো।এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর জ্বর কমলো।এখন কিছুটা সুস্থ। আপনার ও সুস্হ্যতা কামনা করছি।এর আগে ও বৌদি ও ছোট দাদার পোস্টে এই ক্যাফে সম্পর্কে জেনেছিলাম। যাই হোক ১৫ মিনিট পরে হলেও ছয়জন একসাথে বসতে পেরেছিলেন।বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো হচ্ছে সবচেয়ে সেরা সময়।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু আপনাকে আমার সুস্থতা কামনা করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ১৫ মিনিট পর ঠিকই বসতে পেরেছিলাম কিন্তু বেশি সময় সেখানে থাকতে পারিনি তাই নিয়ে বিস্তারিত পরের ব্লগে শেয়ার করব।
সবাই দেখছি কিছু না কিছু রোগে পড়েছে। আমার সেই মঙ্গলবার রাত থেকে জ্বর। সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষা হয়ে সব যেন গড়বড় করে গেলো। আশা করছি তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।
কফি হাউস বড্ড ওভার রেটেড লাগে আমার। শুধুই নস্টালজিয়া। আর দাম অনুযায়ী খাবারের মান ভালো না।
দাদা এখন জ্বর হয়ে সেরে গেলেই ভালো।পুজোর সময় জ্বর হওয়ার আর ভয় থাকবে না। এমন একটা সময় চলছে যেখানে পুরোপুরি সাবধান থাকলোও সবারই জ্বর হচ্ছে তাই আগেভাগে হয়ে যাওয়াই ভালো।
হ্যাঁ দাদা কফি হাউজ এখন নামে চলে এদের খাবারের কোয়ালিটি একদমই ভালো না।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, এই গানটি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি আজ সেই কফি হাউজের ছবি দেখে গান শোনার স্বার্থকতা হলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই কফি হাউজের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো তুলে ধরার জন্য। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে আমার সুস্থতা প্রার্থনা করার জন্য।
এটি জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।