ছোলে ভাটুরে খেতে
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
রেস্টুরেন্ট অথবা বাইরে থেকে খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। বাড়ির একই প্যাটার্নের খাবার খেতে খেতে যখন অনেকটা বোর হয়ে যায় তখন বাইরে গিয়ে অথবা কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসলে কিছুটা ভালো লাগা কাজ করে। বিভিন্ন খাবারের ক্ষেত্রে এখন রাজ্যভিত্তিক বা দেশভিত্তিক কোনো ব্যাপার নেই , সব জায়গায় সব রকমের খাবার পাওয়া যায়। স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি বাইরের খাবার গুলো খেতেও বেশ দারুন লাগে। সেই সুযোগটা এখন আমরা সবাই পাই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের কারণে। সময় ও সুযোগ হলে বাইরের এবং বিভিন্ন বিদেশী খাবারও ট্রাই করে থাকি সময় বিশেষ হিসেবে ।
এইতো কয়দিন আগেই নতুন একটি খাবার ছোলে ভাটুরে খেয়ে আসলাম। এটি আমার কাছে পুরোপুরিই নতুন ছিল। অন্য অনেকেই হয়তো খেয়েছে এই খাবারটি। মূলত এটি উত্তর ভারতীয় একটি খাবার যা চানা মশলা ও বাটোরার সংমিশ্রণ যা মূলত ময়দা থেকে তৈরি একটি তেলেভাজা রুটি। এই রুটির সাইজ আবার এক এক জায়গায় এক এক রকম হয়ে থাকে। আমি যেটি খেয়েছিলাম সেটি ছিল অনেকটা বড় । খাবারটির একটা আলাদা পাঞ্জাবি স্বতন্ত্র রয়েছে । এই খাবারটি বর্তমানে আমাদের এখানে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে তাই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টেও পাওয়া যায়। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এই খাবারটি খাব কিন্তু রেস্টুরেন্টে গিয়ে সাথে যারা থাকে তাদের কথাও শুনতে হয় সেই কারণেই খাবারটা এতদিন টেস্ট করা হয়নি। এটি একটি বেশ মুখরোচক খাবার। এই খাবারটি আবার অনেকের কাছে ছোলা বাটোরা নামেও পরিচিত।
কয়েকদিন আগে এই খাবারটি ট্রাই করার জন্য আমি গেছিলাম ফুড কোর্ট স্টার মলে। এটি একদম আমাদের বাড়ির কাছেই , পায়ে হেঁটেও এখানে যাওয়া যায় । সেইদিন আমি আমার একটি বন্ধুকে ফোন করি সন্ধ্যায় এবং তাকে আমার এই ইচ্ছার কথা জানাই। তাকে আমি আমার টাকা খরচ করে ছোলে ভাটুরে খাওয়াবো সেরকম ভাবে বলি। সেজন্য সে খুব খুশিও হয় এবং আমার সাথে যেতে রাজি হয়। তার বাড়িও আমার বাড়ির কাছে ছিল। আমি প্রথমে তার বাড়িতে থেকে তাকে ডেকে দুই বন্ধু একসাথে হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় ফুড কোর্টে এই খাবারটি খাওয়ার জন্য। সেখানে যাওয়ার পর আমরা একটি টেবিল নিয়ে দুইজনে বসে পড়ি। যেহেতু আমরা আগে থেকেই ঠিক করে গেছিলাম আমরা কি খাব তাই আমরা নির্দিষ্ট স্টলে গিয়ে খাবারটি অর্ডার করে আসি। এই খাবারের দাম খুব একটা বেশি নেয়নি, ১২০ টাকা করে প্লেট নিয়েছিল ।
আমরা দু প্লেট নিয়েছিলাম তাই দাম পড়েছিল ২৪০ টাকা। অর্ডার করার পর ১৮ থেকে ২০ মিনিটের মতো লেগেছিল আমাদের টেবিলে খাবারটা আসতে । যেহেতু খাবারটা ইনস্ট্যান্ট তৈরি করে দেয়, আগে থেকে তৈরি করা থাকে না এই জন্য একটু বেশি সময় লেগেছিল। গরম গরম যখন খাবারটি চলে আসে আমাদের টেবিলে আমার তো জিভে জল চলে আসে নতুন একটি খাবার টেস্ট করার জন্য । আমি তখন খাবারটি নিয়ে কয়েকটি ফটো তোলার পরেই রীতিমতো খাওয়া শুরু করে দি। নতুন একটি খাবার টেস্ট করে বেশ ভালই লেগেছিল। আমরা দুই বন্ধু সেখানে গল্প করতে করতে এই খাবারটা বেশি ইনজয় করেছিলাম। খাবার এর রেটিং দিতে গেলে আমাকে ১০ এর ভিতর ৮ দিতে হবে। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি আর আমার বন্ধু দুইজনে সেখানকার শপিংমলে টুকটাক একটু ঘোরাঘুরিও করেছিলাম। যদিও কোন কিছু কেনাকাটা করিনি । তারপর পুনরায় সেখান থেকে বের হয়ে আবার হাঁটতে হাঁটতে বাড়িতে ফিরে আসি আমরা।
আচ্ছা তাহলে এই ব্যাপার, বাইরে থেকে খেয়ে এসে ঘরের ভিতরে আর খাওয়ার রুচি থাকে না।
সাউথ ইন্ডিয়ান এই খাবার গুলো আমারও খুব ভালো লাগে। আর একশো কুড়ি টাকা দাম হিসেবে যথেষ্ট কম। দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে।
আমার কাছেও ইন্ডিয়ান অনেক খাবার ভাল লাগে। ছোলা বাটরা খুবই টেস্টি একটি খাবার। তবে আপনার শেয়ার করা ছবির মত এত সুন্দর বাটরা বাংলাদেশে পাই না। আপনি বন্ধু কে নিয়ে গিয়েছেন এবং তিনিও খুব খুশি ট্রিট পেয়ে। ফুড কোর্ট এর ইন্টেরিয়র আমার ভাল লেগেছে। আর খাবারের রেটিং ভাল দিয়েছেন তার মানে আপনার কাছে খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা।