প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে

in আমার বাংলা ব্লগlast year
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি।

আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। গতকালকে প্রতিমা তৈরীর কাজ দেখতে গেছিলাম তাই নিয়ে আজকের ব্লগে কিছু কথা শেয়ার করব।

20230824_160527.jpg

20230824_160454.jpg20230824_160450.jpg

হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের সবথেকে বড় উৎসব হলো দুর্গা পুজো। এছাড়াও কালীপুজো এবং গণেশ চতুর্থী খুব বড় ভাবে উদযাপিত হয়ে থাকে । আমাদের কলকাতাতে এইসব পুজোর অনেক আগেই ঠাকুরের প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু হয়ে যায়। সামনে দুর্গাপুজো আসছে, দুই মাসেরও কম সময় রয়েছে এই দুর্গাপুজোর। তাছাড়া ১৯ সেপ্টেম্বর রয়েছে গণেশ চতুর্থী । সেই জন্য খুব দ্রুত পরিসরে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে বিভিন্ন স্থানে। গতকালকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম একটা ইম্পোর্টেন্ট কাজে। আমি বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজে গেছিলাম আমার এক বন্ধুর সাথে তার কোন একটা সার্টিফিকেট আনার ছিল সেইজন্যে । আমরা প্রথমে বাড়ি থেকে টোটো তে করে গিয়ে কলেজের সামনে নামি । সেখানে নামার পর তাকে আমি কলেজের ভিতরে গিয়ে তার সার্টিফিকেট আনার জন্য বলি এবং আমি বাইরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করবো সেই কথা জানাই।

20230824_160441.jpg

20230824_160434.jpg20230824_160431.jpg

এই কলেজের বাইরে অপেক্ষা করার সময় আমি চারপাশে একটু হাঁটাহাঁটি করছিলাম। হাঁটাহাঁটি করতে করতে আমি কলেজের পিছনের একটি রোডে চলে যাই । একদম বারাসাত কলেজের পাশেই ছিল এই জায়গাটি। আমি দুপুরের সময়টাতে গেছিলাম সেইজন্য রাস্তা বেশ ফাঁকা ছিল। সেখানে গিয়ে যখন আমি প্রতিমা তৈরির কাজ গুলো দেখতে পাই আমার খুবই ভালো লেগেছিল। দুপুরের সময় ছিল এজন্য প্রতিমা তৈরীর কারিগররাও বেশি সংখ্যায় সেখানে ছিল না। আমি দুই তিনজন কারিগরকেই সেখানে দেখেছিলাম যারা সেখানের কাজগুলো করছিল। এখানে আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করা ছিল কাজের জায়গা গুলো। এক এক জায়গায় এক এক রকমের প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছিল ।কোন প্রতিমার কাজ অনেকটা কমপ্লিট হয়ে গেছে, কোনটার কাজ শুরু হয়েছে আবার কোনটার কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে। পরিপূর্ণভাবে এই প্রতিমা গুলো করতে আরো অনেকটা সময়ের প্রয়োজন। সাধারণত পুজোর কয়েক দিন আগে পুরোপুরিভাবে এগুলো কমপ্লিট হয়ে যাবে।

20230824_160426.jpg

20230824_160416.jpg20230824_160410.jpg

কারিগররা খুবই নিখুঁতভাবে এই প্রতিমা গুলো তৈরি করে থাকে। তাদের এই নিখুঁত কাজ আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে। গতকালকে সত্যিই ভাবিনি এমন কিছু দেখার সুযোগ হবে আমার। তবুও একা একা হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে এরকম প্রতিমা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল ।আমি গতকালকে সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলো আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে অলরেডি শেয়ার করেছি। আমি প্রায় ৩০ মিনিটের মত সময় এই ছোট একটা রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশ ঘুরে ঘুরে প্রতিমা গুলো দেখছিলাম। প্রায় ৩০ মিনিট পর আমার সেই বন্ধুর ফোন চলে আসে এবং আমাকে বলে তার কাজটি সম্পন্ন হয়ে গেছে। সেজন্য আমি পুনরায় বারাসাত কলেজের সামনে যাই এবং তার সাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসি।

20230824_160351.jpg



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত, নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা, প্রতিমা তৈরীর কাজ দেখতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last year 

বাহ আপনাদের ওদিকে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে শুনে ভাল লাগলো।আর মাস দের পরেই পুজা শুরু। এক ধুম পরবে আনন্দের ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

হ্যাঁ ভাই আর দুর্গা পুজোর দেড় মাসের মত সময় বাকি আছে। আমাদের এইখানে পুজোর অনেক আগে থেকেই প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু হয়ে যায়।

 last year 

সামনে পূজা আর সেই উপলক্ষে তো অনেক অনেক প্রতিমা তৈরি করছে দেখছি। কতোটা নিখুঁত তাদের কাজ। তাদের দক্ষতার প্রশংসা করতেই হয়। তবে তারা যতোটা ক্রিয়েটিভ, ততোটা মূল্যায়ন তারা পায় না। বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

সেটা তো অবশ্যই ভাই এইসব প্রতিমা বানানোর কারিগরদের এই কাজের প্রশংসা অবশ্যই করতে হয় । তারা সত্যিই অনেক ক্রিয়েটিভ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56922.13
ETH 2347.73
USDT 1.00
SBD 2.43