বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা এবং রথের মেলায় বৃক্ষ কিনতে যাওয়া
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা এবং রথের মেলায় বৃক্ষ কিনতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো।
বৃক্ষরোপন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য অন্যতম উপায়। বৃক্ষরোপণ করে আমরা নতুন বৃক্ষ গড়ে তুললে পরিবেশে আরও অতিরিক্ত অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়বে। বৃক্ষগুলির ফলে বাতাসে অক্সিজেন পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস পায়। আর বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য উপযোগী হবে। বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সংস্কার করতে পারি। বৃক্ষরোপণ করে আমরা জঙ্গল এলাকা প্রতিরোধ করতে পারি, ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিতে নতুন মাটি সৃষ্টি করতে পারি, মহাসাগরের মাঝে নতুন দ্বীপ গড়ে তুলতে পারি। বৃক্ষগুলি জল শোষণ করে এবং মাটি ধরে রাখে যা বন্যার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এছাড়াও বৃক্ষরোপণ স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করে । প্রাণীদের আবাসস্থল, খাদ্যের উৎস ও প্রকৃতিতে তাদের সংরক্ষণের উপায় সরবরাহ করে।
বৃক্ষ রোপনের আরো হাজারো উপকারী দিক রয়েছে ।সেগুলো আজ আর তুলে ধরলাম না। এবার আসি রথের মেলায় বৃক্ষ কিনতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথায়।
কিছুদিন আগে গেছিলাম রথ তলায় রথের মেলায়। এই মেলাটি আমাদের বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই হয়ে থাকে। খুব একটা বেশি দূরে না আমাদের বাড়ি থেকে। আমি উল্টো রথের দিন গেছিলাম কিছু বৃক্ষ কেনার জন্য এই রথের মেলাতে। রথের মেলায় প্রবেশ করার আগেই রাস্তার পাশে হাজার হাজার গাছ নিয়ে এই বৃক্ষ মেলা। সেখানে ফুল গাছ, ফল গাছ এবং সৌখিন শত প্রকারের গাছ ছিল। আমি যেহেতু আমাদের ছাদ বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকি তাই আমি ফুল গাছ কিনতেই সেদিন গেছিলাম।
সেখানে গিয়ে নানা ধরনের নতুন নতুন কিছু গাছও দেখতে পেয়েছিলাম যেগুলো আমাদের ছাদ বাগানে নেই। ছাদে ফলের গাছ লাগানো গেলেও ফল খুব একটা ভালো উৎপাদন করা যায় না। তবে ছাদে ফুল বেশ সুন্দরভাবে উৎপাদন করা যায়। আমি প্রথমে সেখানে গিয়ে ঘুরে ঘুরে মেলার এপাশ থেকে ওপাশ দেখি । অনেক গাছই পছন্দ হয়েছিল তবে পছন্দ হলেই তো সব কেনা সম্ভব নয়। যাই হোক আমি সিদ্ধান্ত নি চারটি ফুলের গাছ কিনব। এখানে গাছগুলোর দাম কম চাইছিল সেরকমও কোন ব্যাপার ছিল না, বেশ ভালই দাম চাইছিল।
আমি প্রথমে দর কষাকষি করে একটি দোকান থেকে একটি বেলি ফুল গাছ কিনি। বেলি ফুল আমার খুবই প্রিয় একটি ফুল। তারপর ঘুরে ঘুরে অন্য আরেকটি দোকান থেকে তিন ধরনের ফুলের গাছ কিনি। তার মধ্যে সাদা কালারের গোলাপ, লাল গোলাপ এবং সাদা জবা ফুলের গাছ ছিল। সবগুলো গাছ কিনতে আমার মোটামুটি ৮০০ টাকার মত খরচ হয়েছিল। সেই দিন গাছগুলো কেনার পর একটি ভ্যান ঠিক করে গাছগুলো নিয়ে বাড়ি চলে আসি। তাই গাছ গুলো কেনার পর আর ফটো তোলা হয়নি। গাছগুলো যেদিন কিনে এনেছিলাম তার পরের দিনই ছাদে গিয়ে টবে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। গাছগুলোতে যখন নতুন ফুল আসবে সেই ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি তোমাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবো।
আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের বৃক্ষরোপন করার জরুরি। আমাদের উচিত প্রতিনিয়ত বৃক্ষরোপন করা। আপনি দেখছি রথের মেলা থেকে অনেক সুন্দর কিছু গাছ কিনছেন। সত্যি আমরা প্রতিটি গাছে অনেক সুন্দর ফুল ধরবে।আশাকরি পরবর্তীতে ফুল গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন?আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু কিনে না ফুল গাছগুলোতে যখন ফুল ফুটবে অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ভাই বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এটা বলেও শেষ করা যাবে না। যাইহোক ছাদ বাগানের জন্য ৮০০ টাকা দিয়ে কয়েকটি ফুল গাছ কিনেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার মতো আমারও বেলি ফুল খুব প্রিয়। আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করা। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।