ছোট একটি ঝর্ণার দেখা পাওয়া গেলো।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ছোট একটি ঝর্ণা দেখা সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করবো।

20230224_145417.jpg

20230224_145350.jpg

পাহাড়ের গা বেয়ে জলের ধারাগুলোর নিচে নামতে দেখার দৃশ্য বেশ অসাধারণ। এই ঝর্ণার দৃশ্য সব সময় আমাদের মুগ্ধ করে থাকে। ঝর্ণাগুলোর আকার যদি অনেক বড় হয় তাহলে সেটা তো অনেক বেশি ভালো লাগে, তবে সবসময় বড় ঝর্ণাগুলো দেখা যায় না। এই বড় ঝর্ণাগুলো বর্ষাকালের সময় দেখা যায় বেশি। আমি কয়েক মাস আগে বন্ধুদের সাথে যখন ঘাটশিলা ভ্রমণে গেছিলাম তখন সেখানে গিয়ে এই ছোট ঝর্ণাকে দেখেছিলাম। আমি যে সময় গেছিলাম তখন গরমের সময় চলছিল সেই জন্য ঝর্ণার জলের ধারা খুব একটা বড় ছিল না। এই ঝর্ণা গুলো সৃষ্টি হয় পাহাড়ের উপরে জমে থাকা জল থেকে। জমে থাকা জল প্রবাহিত হওয়ার মাধ্যমে যেহেতু ঝর্ণার সৃষ্টি হয় আর গরমকালে বেশি পরিমাণে জল উপরে সংরক্ষিত থাকে না সেজন্য এই ঝর্ণাগুলো আকারে বড় হয় না। অন্যদিকে বর্ষাকালের সময় পাহাড়ের উপরে অনেক জল জমে থাকতে দেখা যায় সেই জন্য বড় ঝর্ণার সৃষ্টি হয় তখন ।

20230224_145345.jpg

20230224_145423.jpg

আমরা যে ঝর্ণাটির কাছে গেছিলাম সেই ঝর্ণাটি বর্ষাকালে অনেক বড় হয় যা সেখানের স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছিলাম। ঘাটশিলা ভ্রমণে গিয়ে আমাদের শেষ গন্তব্যস্থল ছিল রাতমোহনা। রাতমোহনার একদম ডান পাশে ছিল এই ঝর্ণাটি । এটি বেনাসল ফলস নামে পরিচিত। আমরা রাতমোহনায় সময় কাটানোর সময় সেখানের একটি লোক আমাদের এই ঝর্ণার কথা জানিয়েছিল। সেজন্য আমরা এই ঝর্ণাটি দেখার জন্য এখানে ছুটে এসেছিলাম । আমরা আশা করেছিলাম ঝর্ণা থেকে আরও বড় জলপ্রবাহ দেখতে পাব কিন্তু গিয়ে দেখি একদম আস্তে আস্তে জলের ধারাগুলো নিচে নেমে আসছে । আমার যেহেতু প্রচন্ড গরম লাগছিল তাই সাথে ছাতা নিয়ে আমি সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় বসে থাকি ।

20230224_145310.jpg

20230224_145305.jpg

এই ঝর্ণাধারার নিচে যে জলের প্রবাহ ছিল সেখানে ছোট ছোট মাছ এবং ব্যাঙ্গাচি দেখতে পেয়েছিল আমরা। আমার সাথে আমার যে বন্ধুরাও ছিল তারা এই মাছ এবং ব্যাঙ্গাচি ধরার কাজে নেমে পড়েছিল সেখানে গিয়েই। আমি তাদের এই কর্মকাণ্ড গুলো দেখতে দেখতে সেইখানের দৃশ্যগুলো উপভোগ করছিলাম। এখানে জলের গভীরতা খুব একটা ছিল না সেই জন্যই তারা নেমে পড়েছিল ।আমাকে নামার জন্য বলেছিল কিন্তু আমি সেখানে নামিনি। আমি জাস্ট সেখানের জলে একটু পা ভিজিয়ে ছিলাম এই গরমের মধ্যে। ঠান্ডা জলে পা ভিজিয়ে রাখতে বেশ ভালো লাগছিল তখন সেই গরমে। এখানে আমরা বেশি সময় কাটাইনি তবে যতটুক সময় কাটিয়েছিলাম পাহাড়ের এবং ছোট একটি ঝর্ণার সৌন্দর্য খুব ভালোভাবেই উপভোগ করেছিলাম।

20230224_145318.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ ও ফটোগ্রাফি
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনবেনাসল ফলস , ঘাটশিলা, ঝাড়খণ্ড, ভারত।

বন্ধুরা, আজকের ব্লগে শেয়ার করা ছোট একটি ঝর্ণা দেখা সম্পর্কে কিছু কথা তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last year 

বর্ষা ছাড়া অনেক ঝর্নাই শুকিয়ে যায়। বৃষ্টি আসলে আবার সেই ঝর্না গুলো জারি হয়। আপনারা যে ঝর্ণাটা দেখলেন সেটা দিয়ে অল্প অল্প পানি পড়ছে। তারপরও দেখতে খুবেই সুন্দর লাগছে। আপনার ভ্রমন কাহিনীতে অনেক জায়গার কথা জানতে পেলাম। ধন্যবাদ।

 last year 

সত্যি কথা বলতে ঝর্ণার প্রকৃত সৌন্দর্য বর্ষার সময়ই দেখা যায় । আমরা যে সময়টাতে গেছিলাম সেটা গরমের সময় ছিল তাই ঝর্ণা দিয়ে অল্প অল্প জলই পড়ছিল।

 last year 

ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এগুলো গরমের সময়ে তোলা। সূর্যের আলোর তেজ যেন ছবির মধ্যেও বোঝা যাচ্ছে। বর্ষার সময়ে যে কোন ঝরণা বা নদী তার পূর্ণ যৌবল পায়। তাই গরমের সকয় গিয়েছিলেন বলে হয়তো তেমন একটা জলধারা দেখতে পান নি।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

হ্যাঁ দিদি, এই ছবিগুলো গরমের সময়ই তোলা হয়েছিল ।কয়েক মাস আগে ঘুরতে গেছিলাম তখনই তুলেছিলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59378.58
ETH 2646.25
USDT 1.00
SBD 2.46