স্বরচিত একটি কবিতা " রোদ্দুর "
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে স্বরচিত একটি কবিতা শেয়ার করব। আজকের কবিতার বিষয়বস্তু রোদের উত্তাপ নিয়ে। দিন দিন সূর্যের উত্তাপ বেড়েই চলেছে। এই গরমকালে সূর্যের উত্তাপে আমাদের সবার জীবনই প্রভাবিত হয়। এই গরমে বাড়ি থেকে বের হলেই মনে হয় যেন কেউ আমাদের আগুনের গোলার মধ্যে ঠেলে ফেলে দিয়েছে। সূর্যের এই উত্তাপ থেকে বাঁচার যেন কোন উপায় আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। এই রোদের উত্তাপের কারণে মাথা ঘুরে ঘুরে পড়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। আগে গরমকাল আসলে অধিকাংশ সময় আমাদের এইখানে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রি থাকতো কিন্তু এখন গরমকাল আসলেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী উর্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সূর্যের উত্তাপ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে এখন সবাই। স্নিগ্ধ রোদে প্রেম বিলাস করা যায় কিন্তু তীব্র রোদে সবকিছু বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যায় । সূর্যের এই তীব্র উত্তাপ তা আমাদের উপর কি প্রভাব ফেলছে সেই সব নিয়েই আমার আজকের কবিতা। যদিও আজকের কবিতাটি খুব একটা বড় কবিতা না , মোটামুটি ছোট সাইজের কবিতা। ছান্দের মিল রেখে কবিতা লেখা বেশ কঠিন একটা কাজ। যাইহোক তারপরও চেষ্টা করেছি ছন্দের মিল রেখে কবিতাটি লেখার। আশা করি, আজকের শেয়ার করা কবিতাটি তোমাদের ভালো লাগবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে কবিতাটি দেখে নেওয়া যাক।
রোদ্দুর
রোদ্দুর সে যে প্রেম বিলাস
স্নিগ্ধ রোদে প্রেমের বহিঃপ্রকাশ।
কিন্তু ভেবেছো কি কভু রোদ বিপর্যয়?
প্রখর রোদে সবার ভেজা শার্ট
প্রমাণ দেয় তার।
তপ্ত রোদে স্নিগ্ধ প্রতিজন
লোকালয় যেন তেলের কড়াই,
সূর্যের রশ্মি কাজ করছে
দিতে কড়াইয়ে অগ্নি দহন।
তপ্ত রোদে আসছে জ্বর,
ঘুরছে মাথা ভনভনিয়ে
ইচ্ছে করছে বন্দুক নিয়ে
গুলি মারি সূর্যের পানে।
তাতে কি আর হয়!
সূর্য দিয়েই যাচ্ছে তপ্ত রশ্নি
৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।
যে সময় বৃষ্টিময় দিনে আবদ্ধ থাকার কথা সেই সময় মরুভূমির মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আসলে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব যেটা নিজেদের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করছে। যাই হোক নিজেকে টিকিয়ে রাখতে এই উত্তপ্ত পরিবেশে সবাই শীতলতা খোঁজে ।আপনি রোদ্য পরিবেশ নিয়ে দারুন কবিতা লিখেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে।
ওয়াও! খুবই সুন্দরভাবে কথাগুলো বললেন তো ভাই। বেশ ভালো লাগলো কথাগুলো পড়ে।
বর্তমানে পৃথিবীর সব দিকে তাকালেনই যেন উত্তাপের কথা। সব দিকেই কিন্তু উত্তাপ বেড়েই চলছে। আমার মনে হচ্ছে এই উত্তাব যেন আর কখনো কমবেনা দিন দিন বেড়েই চলছে। তার মানে কষ্ট করে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে আবহাওয়া বেশ সুন্দর। কবিতাটি অসাধারণ লিখেছেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
গরমের পরিমাণ দিন দিন এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের অনেক কষ্ট করেই বেঁচে থাকতে হবে আপু। এখন আমাদের এই দিকে খুব একটা বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। মাঝে মাঝে একটু হচ্ছে কিন্তু তাতে ওয়েদার ঠান্ডা হচ্ছে না।
চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন দাদা। আপনার এই কবিতার মধ্যে তীব্র গরম এবং তীব্র তাপদহের কারণে এক অস্বস্তিকর মনের অবস্থা ফুটে উঠেছে। আসলে এরকম অস্বস্তিকর গরমে সূর্যের দিকে গুলি করার ইচ্ছা করাটাই স্বাভাবিক।
হ্যাঁ ভাই এগুলো আমার মনের কথা যেগুলো আমি কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছি।
ঠিক এরকমই অনুভূতি হচ্ছে, প্রতিদিন।
পুরোনো বছরগুলোর তুলনায়, প্রতি বছর বছর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। এটা হয়তো আমাদের সকলেরই কারণে। কবিতা লেখা খুব একটা সহজ কাজ নয়, তুমি বেশ সুন্দর করে ছন্দের সাথে মিল রেখে, দারুন একটি কবিতা লিখেছ ভাই।
প্রচুর পরিমাণে গাছ কাটা হচ্ছে সেই জন্য এই গরমের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে দিন দিন। এসব কারণ আমাদের দ্বারাই গঠিত হচ্ছে দিদি। যাই হোক আমার শেয়ার করা কবিতাটির প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি তোমাকে।