ভ্রমন: সিদ্ধেশ্বর পাহাড় ও শিব মন্দির (পর্ব -০১)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম । আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ভ্রমণ মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করব। কয়েক মাস আগে ঘাটশিলা ভ্রমণে গিয়ে সিদ্ধেশ্বর পাহাড় চড়ে শিব মন্দিরে যাওয়ার গল্পটা অনেকটাই বড়। তাই কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে সেখানে যাওয়ার গল্পটা তোমাদের সাথে শেয়ার করব। ঘাটশিলা ভ্রমণে আমরা বন্ধুরা দুই দিনের জন্য গেছিলাম কিন্তু সেখানে গিয়ে এত এত জায়গা ঘুরে দেখেছিলাম সেই দুই দিনের মধ্যেই যা সত্যিই অবাক করার মত বিষয় ছিল।

20230224_130706.jpg

20230224_124553.jpg

ঘাটশিলা ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন আমরা রঙ্কিনী দেবীর মন্দির থেকে বেরিয়ে পুনরায় গালুডিহ ব্যারেজের দিকে রওনা করি। প্রথমে আমরা গালুডিহ ব্যারেজ হয়ে রঙ্কিনী দেবীর মন্দিরে গেছিলাম। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়, এই রাস্তার পাশের একটি রাস্তা হয়ে সিদ্ধেশ্বর পাহাড় ও শিব মন্দিরে যাওয়া যায়। আমরা প্রথমে যাওয়ার সময় এই মন্দিরে যায়নি। ফেরার পথে আমরা এই সিদ্ধেশ্বর পাহাড় চড়ে সেই শিব মন্দিরে গেছিলাম। যদিও এই জায়গাটির নাম চলতে চলতে আমরা আমাদের অটোচালকের কাছ থেকে শুনেছিলাম। এই পাহাড় এবং মন্দির সম্পর্কে আমাদের আগে থেকে কোনো ধারণা ছিল না। সত্যি কথা বলতে আমরা শুধু ঘাটশিলা এই নামটুক জেনেই ঘাটশিলা ভ্রমণে গেছিলাম। সেখানে গিয়ে কি কি দেখার জায়গা ছিল আগে থেকে দেখে যাইনি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল গিয়ে সব কিছু নতুন নতুন দেখব তাই আগে থেকে ফোনে দেখে যাই নি । সেই জন্য সবকিছু আমাদের কাছে নতুন ছিল সেখানে গিয়ে।

20230224_124558.jpg

20230224_124828.jpg

যাইহোক রঙ্কিনী দেবীর মন্দির থেকে আমাদের অটো আসতে আসতে রাস্তার পাশের একটি জায়গায় থামিয়ে দেয়। আমরা সেখানের একটি দোকান থেকে কিছু খাবার খেয়ে নি। খাবার খাওয়ার সময় আমরা আমাদের খাবারের কিছু অংশ আমাদের অটোচালকের সাথে শেয়ার করে খাই। আমাদের অটোচালক সব সময় আমাদের সাথে ভ্রমণে ছিল, এই সময়টাতে সে আর আলাদা করে কোন কিছু কিনে খাইনি তাই আমরা আমাদের সব খাবার শেয়ার করেই খেয়েছিলাম তার সাথে। দিনটি বেশ গরমের একটি দিন ছিল। অতিরিক্ত গরমে আমরা সবাই কোলড্রিং কিনে খেয়ে গাছের নিচে বসে কিছু সময় রেস্ট করি। তারপর আবার ভিতরের একটি রাস্তা হয়ে আমরা ছুটে চলি সিদ্ধেশ্বর পাহাড়ের দিকে। অটো নিয়ে পাহাড়ে ওঠা সম্ভব নয় তাই পাহাড়ের পাদদেশের একটি জায়গায় এই অটোটি গিয়ে দাঁড়াবে আর আমরা সেখান থেকেই ট্রেকিং করে সেই শিব মন্দিরে পৌঁছাব অটোচালক আমাদের এমনটাই জানিয়েছিল।

20230224_125235.jpg

20230224_125238.jpg

20230224_131335.jpg

অটোচালক সিদ্ধেশ্বর পাহাড়ের কাছাকাছি একটি জায়গায় আমাদের কিছু সময় পর নামিয়ে দেয়। তারপর একটি রাস্তা দেখিয়ে পাহাড়ের উপরে উঠে যাওয়ার জন্য বলে । সেই সময়টাই সে আমাদের সাথে যেতে চাইনি কারণ সে এই জায়গাটিতে অনেকবারই এসেছে এবং পাহাড়ের উপরে উঠেছে । তার কাছে এই জায়গাটি নতুন ছিল না। যাই হোক সে আমাদেরকে এক ঘন্টা সময় দেয় সেই জায়গাটা সম্পূর্ণভাবে ঘুরে আসার জন্য। এই পাহাড়টা অনেকটা উঁচু এবং এর একদম উপরে যে শিব মন্দিরটি রয়েছে সেখানে পায়ে হেঁটে পৌঁছানো মোটামুটি সময় সাপেক্ষ কাজ। আমাদের অটো চালক জানিয়েছিল পাহাড়ের একদম উপরে উঠতে মোটামুটি কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিট সময় লাগবে। আমাদের সবাইকে টাইম হিসাব করে চলতে হচ্ছিল কারণ এই জায়গাটি ঘোরাঘুরি করে আমাদের অন্য একটি জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল। দুপুরের সময় ছিল তাই আমরা সঙ্গে ছাতা নিয়ে বন্ধুরা মিলে রওনা করি এই সিদ্ধেশ্বর পাহাড় বেয়ে শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে।

চলবে ...

20230224_131345.jpg

20230224_124817.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনগালুডিহ ব্যারেজ, কুমির্মুরি, ঝাড়খণ্ড, ভারত।

সিদ্ধেশ্বর পাহাড় ও শিব মন্দির ভ্রমণের প্রথম পর্বটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66914.48
ETH 3341.32
USDT 1.00
SBD 2.72