আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে আমি তোমাদের সাথে এলোমেলো ভাবে তোলা সাতটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। বন্ধুরা, তোমরা সবাই জানো যে ফটোগ্রাফি করতে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। কোথাও গেলে আমি প্রচুর পরিমাণে ফটোগ্রাফি করে রাখি। তবে সব ফটোগ্রাফি সব সময় শেয়ার করা হয় না। কিছু কিছু ফটোগ্রাফি থেকে যায় ফোনের গ্যালারিতে, পরে যেগুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে সেরকম কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এই ফটোগ্রাফি গুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময় তোলা হয়েছিল। ফটোগ্রাফির সাথে ফটোগ্রাফির বর্ণনাও আমি শেয়ার করেছি এখানে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে ফটোগ্রাফি গুলো নিচে দেখে নেওয়া যাক।

_{^{স্থান : হাবড়া ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

প্রথম এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো কাঁঠালের ফুল। কাঁঠাল হওয়ার পূর্বে এইগুলো গাছে যখন থাকে দেখতে বেশ ভালই লাগে। এই ফটোগ্রাফিটিও আমি হাবড়ার এক বন্ধুর বাড়ি থেকেই তুলেছিলাম। তাদের বাড়ি গ্রামে হওয়ার কারণে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা লাগানো ছিল। বেশ কিছুদিন আগে তাদের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে তাদের একটি কাঁঠাল গাছে অসংখ্য কাঠালের ফুল আমি দেখতে পাই। আর সেখান থেকে তখন আমি এই ফটোগ্রাফিটি করি।

_{^{স্থান : হাবড়া, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল ।}}

এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো জমিতে ধানের চারা লাগানো রয়েছে আর দূরের সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং তার মাঝখানে রয়েছে বৈদ্যুতিক বড় এক পিলার। এই ফটোগ্রাফিটিও অনেকদিন আগে আমার সেই হাবড়ার বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে তুলেছিলাম। তাদের বাড়িতে যাওয়ার পর সে একদিন আমায় তাদের জমি দেখাতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে এই দৃশ্যটি আমি দেখতে পাই এবং এই ফটোগ্রাফিটি করি।

_{^{স্থান : এলিয়ট পার্ক, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল ।}}

তোমরা এই ফটোগ্রাফিতে যে ফুলটি দেখতে পাচ্ছো সেই ফুলের নাম হলো ক্যালেন্ডুলা ফুল। ফুল আমরা সবাই কম বেশি ভালোবাসি এবং ফুলের সৌন্দর্যে আমরা সবাই মুগ্ধ হই। যাইহোক,এই ফুলের ফটোগ্রাফিটি আমি কলকাতার একটি পার্ক থেকে তুলেছিলাম। কিছুদিন আগে আমি এলিয়ট পার্ক নামক একটি পার্কে গেছিলাম ঘুরতে। সেখানে গিয়ে অসংখ্য ফুল দেখতে পেয়েছিলাম আমি। তার মধ্যে এই ফুলটি অন্যতম ছিল। এই ফুলের সৌন্দর্যটা জাস্ট অসাধারণ লাগছিল। সেদিন অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম, সেখান থেকে একটি ফটোগ্রাফি তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম আজ ।

_{^{স্থান : খুলনা, বাংলাদেশে ।}}

এই ফটোগ্রাফিতে যে ফুলটি দেখা যাচ্ছে, প্রথম অবস্থায় দেখে অনেকে না চিনতেও পারে। যাইহোক, আমিই বলে দিচ্ছি এই ফুলটির নাম। এটি হলো ডালিমের ফুল। যারা বাড়িতে ডালিম গাছ লাগিয়ে থাকে তারা এই ফুলটি অবশ্যই চিনতে পারবে। এই ফটোগ্রাফিটি আমি যখন বাংলাদেশ ভ্রমণে ছিলাম এবং খুলনাতে ছিলাম, সেই সময়ে আমার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে তুলেছিলাম।

_{^{স্থান : নড়াইল, বাংলাদেশ ।}}

এই ফটোগ্রাফিতে গ্রামীণ প্রকৃতির এক ঝলক দেখা যাচ্ছে । গ্রামীণ প্রকৃতি আমাদের সবারই অনেক ভালো লাগে। গ্রামীণ প্রকৃতির মধ্যে গেলে একটা আলাদা রকম শান্তি পাওয়া যায়। তোমরা সবাই জানো যে, বেশ কিছুদিন আগে আমি বাংলাদেশ ভ্রমণে ছিলাম। তখন গ্রাম, শহর সব জায়গাতেই ঘুরেছিলাম। আর গ্রামে থাকাকালীন অনেক ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। তার কিছু কিছু যদিও তোমাদের সাথে শেয়ার করেছি আগের কিছু ব্লগে। যাইহোক, গ্রামে থাকা অবস্থায় কোন একদিন এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া সময়।

_{^{স্থান : বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছ পাতাবাহার গাছ। পাতাবাহার গাছের সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ। বিভিন্ন কালারের এবং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এই পাতাবাহার গাছগুলো। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মানুষ বাড়িতে, পার্কে, অফিসে লাগিয়ে থাকে এই গাছগুলো। যাইহোক, আমি বারাসাতের একটি নার্সারিতে গিয়ে এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম কিছু দিন আগে। সেখানে অনেক রকমের পাতাবাহার গাছ ছিল। তার মধ্যে এই সবুজ রঙের পাতাবাহার গাছ আমার কাছে একটু স্পেশাল লেগেছিল। সেদিন সে ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম তা আজকে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম।

_{^{স্থান : মধ্যমগ্রাম , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।}}

এই ফটোগ্রাফিটি কালী পুজোর সময় তোলা। কালী পুজোর সময় প্রচুর পরিমাণে ঘোরাঘুরি করা হয় আমার। ২০২৩ সালের কালী পুজোতে মধ্যমগ্রামের স্টেশনের পাশে এই পুজো প্যান্ডেলটি করা হয়েছিল। কেদারনাথ মন্দিরের থিম করে করা হয়েছিল এই পুজো প্যান্ডেল টি। যদিও আমি কেদারনাথ মন্দির সামনে থেকে কোনোদিন দেখিনি, তবে টিভিতে যতদূর দেখেছি একদম সেরকমই লাগছিল এটি দেখতে। পুজোর সময় এই প্যান্ডেলের মধ্যে প্রবেশের পূর্বে আমি প্যান্ডেলের বাইরে থেকে এই ফটোগ্রাফিটি তুলেছিলাম।