ফটোগ্রাফি || ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । আমিও বেশ ভালো আছি।

আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে আমি তোমাদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। বন্ধুরা, তোমরা সবাই জানো যে আমি ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। কোথাও গিয়ে ফটোগ্রাফি করি না, এরকমটা হয় না। আমি যেখানেই যাই না কেন, প্রচুর পরিমানে ফটোগ্রাফি করে রাখি এবং বিভিন্ন সময় তোমাদের সাথে তা শেয়ার করে থাকি। এই ফটোগ্রাফি করা এখন শখের কাজ আমার। পরবর্তীতে যখন এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি দেখি, আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি সব সময় নিখুঁতভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। আমাদের এই কমিউনিটিতে যোগদানের পর থেকেই এই ফটোগ্রাফি করার নেশা হয়েছে আমার এবং এই কাজটা আমি বেশ ভালোভাবেই করতে পারি এখন। যাইহোক, তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এক এক করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।



🍂 ফটোগ্রাফি -০১🍂

InShot_20240211_162212159.jpg

স্থান : বারাসাত, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

প্রথমে ফটোগ্রাফিতে তোমারা যে লেখাটা দেখতে পাচ্ছো এটাকে "ওম" বলা হয়। আমাদের ধর্মে এর অনেক মাহাত্ম্য রয়েছে। এটাকে ইউনিভার্সেল সাউন্ড মনে করা হয়। আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টি থেকে "ওম" রিলেটেড অনেক মেডিটেশনও রয়েছে। এই ফটোগ্রাফিটি দুর্গা পুজোর সময় বারাসাতের একটি পুজো প্যান্ডেল থেকে আমি তুলেছিলাম। সেখানে "ওম" লেখাটা উল জাতীয় কোন কিছু দিয়ে প্যান্ডেলের একটা অংশে করা ছিল। লেখার চারপাশে খুব সুন্দর করে লাইটিংও দেওয়া ছিল যা তোমরা চিত্রটি খেয়াল করলেই দেখতে পাবে।

🍂ফটোগ্রাফি -০২ 🍂

InShot_20240211_162141575.jpg

স্থান : বারাসাত, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল ।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটিও আমি দুর্গা পুজোর সময় তুলেছিলাম। আমাদের বারাসাতে অনেক বড় করেই এই দুর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গা পুজোর সময় চারপাশে খুব সুন্দর লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়। এই লাইটিং দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসও তৈরি করা হয়। তার মধ্যে ঘোড়া, পোকা, হাতি,সাপ,ব্যাঙ বিভিন্ন ধরনের জিনিসও থাকে। এখানে যেটা তোমরা দেখতে পাচ্ছো, এটাকে এক প্রকার পোকার মত করে করেছিল লাইটিং এর সাহায্যে। পুজোয় ঘোরাঘুরির সময় পুজো প্যান্ডেলের বাইরের একটা অংশ থেকে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৩ 🍂

InShot_20240211_161717939.jpg

স্থান : বারাসাত, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল ।

এটা হচ্ছে নাগরদোলার ফটোগ্রাফি। দিনের বেলায় সব নাগরদোলা অতটা সুন্দর না লাগলেও, রাতের বেলায় কিন্তু দারুন লাগে যেসব নাগরদোলায় লাইটিং এর ব্যবস্থা করা থাকে সেগুলো দেখতে। সাধারণত পুজোর সময় যে মেলাগুলো বসে, সেই মেলাগুলোতে যে নাগরদোলা দেখা যায় সেগুলো খুব সুন্দর করে লাইটিং দিয়ে সাজানো থাকে। প্রতি বছর দুর্গা পুজোর সময় বারাসাত পাওনীয়র পার্কে মেলা বসে। এই বছর এই মেলাতে বেশ সুন্দর একটি নাগরদোলা আমি দেখতে পেয়েছিলাম। লাইটিং এর কারণে আরো বেশি সুন্দর লাগছিল এটি দেখতে। নাগরদোলা যখন ঘুরা অফ ছিল আমি সেই সময় এই ফটোগ্রাফিটি করে নিয়েছিলাম।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৪ 🍂

InShot_20240211_162049979.jpg

স্থান : বারাসাত, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল ।

এই ব্লু কালারের লাইটিংএ ফটোগ্রাফি খুব একটা ভালো আসে না। দুর্গা পুজোর সময় যেসব পুজো প্যান্ডেলে এই লাইটের ব্যবহার দেখেছিলাম, সেখান থেকে ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। কারণ এই আলোর কারণে পুজো প্যান্ডেলগুলো স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় না। তাছাড়া নিজেদের ফটোগ্রাফি করতে গেলেও ভালো ফটো আসে না। এই ফটোগ্রাফিটি আমি ব্লু লাইটিং এর আশেপাশের একটা অংশ নিয়ে তুলেছিলাম। এজন্য একটু অন্যরকম লাগছিল দেখতে। অনেকদিন পরে এই ফটোগ্রাফিটি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো তাই ভাবলাম তোমাদের সাথে শেয়ার করি।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৫ 🍂

InShot_20240211_161833826.jpg

স্থান : খুলনা, বাংলাদেশ ।

এই ফটোগ্রাফিটি আমি বাংলাদেশের খুলনা থেকে তুলেছিলাম। বাংলাদেশের খুলনায় যখন আমি ঘুরতে গেছিলাম, সেখানকার কয়েকটি ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্টেও আমি ঘুরতে গেছিলাম। এটি তার মধ্যে একটি ক্যাফে ছিল। এখানে বেশ ভালো ফালুদা পাওয়া যায় এমন তথ্য পেয়ে, আমি আমার এক দূর সম্পর্কে ভাইয়ের সাথে এখানে গেছিলাম ফালুদা খাওয়ার জন্য। আমি যখন এখানে গেছিলাম ক্যাফে টি প্রায় পুরোটাই ফাঁকা ছিল। সেই ফাঁকা অবস্থায় আমি এই ফটোগ্রাফিটি তুলে রেখেছিলাম যা এখন শেয়ার করলাম তোমাদের সাথে।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৬ 🍂

InShot_20240211_161459361.jpg

স্থান : মধ্যমগ্রাম , নর্থ চব্বিশ পরগনা।

আমাদের বাড়ির কাছাকাছি যে বড় শপিং মলটি রয়েছে, সেটি হলো স্টার মল। স্টার মলের ভেতরটা খুব সুন্দর। এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র, জামা-কাপড় থেকে শুরু করে সবকিছুই পাওয়া যায়। আমি স্টার মলে ঢুকে, ম্যাক্স এর পোশাক সেন্টারে গেছিলাম কিছুদিন আগে। সেখানে গিয়ে উপর থেকে নিচে নামার সময় সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। এই ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে বেশ ভালই লাগছিল তোলার পরে।

🍂 ফটোগ্রাফি -০৭ 🍂

InShot_20240211_161924996.jpg

স্থান : নড়াইল, বাংলাদেশ।

এই ফটোগ্রাফিটি আমি যখন বাংলাদেশ ভ্রমণে ছিলাম তখনই তুলেছিলাম। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমি ঘুরেছিলাম গিয়ে‌। বাংলাদেশে গিয়ে আমি যখন নড়াইলের একটি গ্রামে ছিলাম, তখন কয়েক জায়গা থেকে নিমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। গ্রামের দিকে বড় বড় নিমন্ত্রন অনুষ্ঠানে খেতে দেওয়া হয় মাটিতে বসিয়ে। আমি নিমন্ত্রণে গিয়ে খেতে বসার আগে, অন্যান্য যারা খাওয়ার জন্য বসেছিল তাদের এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। গ্রামের এই দৃশ্য বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। তোমরা যারা গ্রামের সাথে পরিচিত আছো, তারা সাধারণত এগুলো দেখে থাকবে ।


🍂🍂পোস্ট বিবরণ🍂🍂

শ্রেণীফটোগ্রাফি
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা সাতটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Sort:  
 5 months ago 

দাদা আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। নাগরদোলার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। লাইটিং করাতে দেখতে আকর্ষণীয় লাগতেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আমার শেয়ার করা নাগরদোলার ফটোগ্রাফি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গেছেন জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই।

 5 months ago 

বাহ অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। খুব ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আসলে এই ধরনের ফটোগ্রাফি ল দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে খুব ভালো লেগেছে, জেনে আমারও ভালো লাগলো ভাই।

 5 months ago 

দাদা আপনার তোলা ভিন্ন ভিন্ন সময়ের ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের সকল ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। একই সাথে আপনার তোলা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির খুবই সুন্দর সুন্দর বর্ণন উপস্থাপন করেছেন। যেগুলো পড়ে আমি অত্যন্ত মনোতৃপ্তি অনুভব করেছি।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো এবং ফটোগ্রাফি গুলোর বর্ণনা আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

 5 months ago 

দাদা, আপনার ফটোগ্রাফি পোষ্ট টি বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। এই ওম লেখা প্যান্ডেল টি আগেও বিভিন্ন ভিডিওতে দেখেছি, তাই ভীষণ পরিচিত লাগলো। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো সবশেষ ছবিটা। গ্রামের দাওয়াতে গিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে মাটিতে বসে পাত পেতে খাওয়ার যে কী আনন্দ! যারা খেয়েছে, তারাই বুঝবে৷ আমাদের গ্রামের বাড়িতেও দশমীতে ভাসানের পর এভাবে আগে সবাই মাটিতে বসে ভোজ খেতো! আমার তো সেই দিনগুলো মনে পড়ে গেলো দাদা! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

গ্রামের দাওয়াতে গিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে মাটিতে বসে পাত পেতে খাওয়ার যে কী আনন্দ! যারা খেয়েছে, তারাই বুঝবে৷

হ্যাঁ দিদি, ঠিক বলেছেন। আমি জীবনে গ্রামের অনেক নিমন্ত্রণ এইভাবে খেয়েছি। এই জন্য এর মজাটা আমি খুব ভালোভাবেই জানি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64867.61
ETH 3451.61
USDT 1.00
SBD 2.55