সকালবেলা হাঁটতে বের হয়ে প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় (পর্ব -০২)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
কয়েকদিন আগে তোমাদের সাথে সকালবেলা হাঁটতে যাওয়া নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। সেখানে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম তার কিছু বিবরণও শেয়ার করেছিলাম। সত্যি কথা বলতে গেলে সকাল বেলায় সেদিন যে জায়গাটিতে হাঁটতে গেছিলাম সেই জায়গাটি বিশাল বড় এবং তিনটি অংশে বিভক্ত ছিল অর্থাৎ তিন জায়গায় তিন রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সুযোগ ছিল। প্রথম দিনের ব্লগে প্রথম যে অংশটিতে গেছিলাম সেই সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছিলাম । আজ দ্বিতীয় অংশটিতে যাওয়া নিয়ে কিছু বিবরণ এবং সেই সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । প্রথম অংশ থেকে দ্বিতীয় অংশে যাওয়ার দূরত্ব পায়ে হেঁটে এক মিনিটের ছিল। যদিও এক অংশ থেকে অন্য অংশ ঘন গাছ পালার কারণে দেখা যায় না। কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পরেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এই অংশটিতে যাওয়ার পর সবুজ ঘাসের পরিবর্তে কিছুটা হলুদ ঘাসের দেখা পাই যা দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। এই জায়গাটিতে যে সেদিন প্রথমবার গেছিলাম তা কিন্তু নয়। এর আগেও অনেকবার সেখানে গেছি। কয়েকবার বন্ধুদের সাথে এবং কয়েকবার একা একাই গেছি।
যাই হোক সেখানে পৌঁছানোর পর হালকা গরম লাগছিল তাই পাশের একটি গাছের নিচে আমি বসি। সকাল সকাল লোকজনের তেমন একটা দেখা মিলছিল না। তবে দুটি লোক দেখতে পেয়েছিলাম এই অংশটিতে যাওয়ার পর। যেখানে একটি লোক পটলের ক্ষেত্র থেকে পটল তুলছিল। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই লোকের পটল তোলা দেখছিলাম। আমি আগে কোন সময় পটলের ক্ষেত এতটা কাছ থেকে দেখিনি। এর আগে যখন গেছিলাম সেখানে অন্য ফসল লাগানো ছিল। এইবার গিয়ে দেখি পটল চাষ করেছে। পটল তুলতে দেখে সেই লোকটার কাছে আমি পটলের কেজি জিজ্ঞেস করি। আমার ইচ্ছা করছিল সেখান থেকে পটল কিনে নিয়ে আসতে কিন্তু আমার কাছে টাকা খুচরো ছিল না সেইজন্য আর কিনতে পারিনি। সেখানে কিছু সময় একটু হাঁটাহাঁটি করার পর দেখি অন্য আরেকটি লোক সাইকেল নিয়ে সবজি কিনতে এসেছে। বাজারের তুলনায় ক্ষেত থেকে সবজি কিনলে অনেকটা কম দামে কেনা যায় এবং যা ক্রেতার জন্য অনেক লাভজনক।
সেখানে দাঁড়িয়ে সামনে যতদূর চোখ যাচ্ছিল শুধু সবুজ গাছপালা ও ফসল দেখা যাচ্ছিল । এমন প্রকৃতির মাঝে সময় কাটিয়ে সত্যি অনেক ভালো লাগে। পটল ক্ষেত থেকে সেই কৃষক যাওয়ার পর আমি একা একাই বসে ছিলাম সেখানে। এই অংশটিতে লোক বসতি একেবারে ছিল না বললেই চলে । নিরিবিলি এরকম জায়গায় গিয়ে অনেক শান্তি লাগে, সেই সাথে হালকা ভয় ভয়ও করে। তবে এখানে গিয়ে সতেজ নিঃশ্বাস নেওয়া যায় । মনটা একদম ফ্রেশ হয়ে যায় এরকম জায়গায় গিয়ে সময় কাটাতে পারলে। আমি একা একা সেখানে গেলেও আমার বোরিং লাগছিল না। প্রকৃতির মাঝে মিশে যেতে ইচ্ছা করছিল । প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে অনেকটা সময় আমি ওইখানে কাটাই। তারপরে সেখান থেকে একটা সরু গলি হয়ে অন্য একটা অংশে চলে যাই যেটা আমার সবথেকে প্রিয় জায়গা ছিল । পরবর্তী পর্বে তোমরা সেই অংশের ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা দেখে ব্যাপারটা বুঝতে পারবে সেই জায়গাটা কেন আমার এত প্রিয় ছিল।
পোস্ট বিবরণ
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, নর্থ ২৪ পরগনা। |
আপনার কয়েকদিন আগে পোস্ট করা সকালবেলা হাঁটতে যাওয়ার পর্বটি ,আমার পড়া হয়নি। তবে এই গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। তিনটি জায়গায় তিন রকম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ ছিল এটা তো খুবই ভালো ব্যাপার। আর আপনি পটল খেত কাছ থেকে এর আগে কখনো দেখেননি। আর আমি কাছ থেকে কি !দূর থেকেও কখনো দেখিনি।😐
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য। সব জায়গায় এই পটলের ক্ষেত দেখা যায় না ,এই জন্য হয়তো কখনো আপনি দেখতে পাননি। আমিও এই প্রথমবারেই দেখেছিলাম এতটা কাছ থেকে।
ভাই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর তাই সব সময় ইচ্ছে করে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। আজ আপনি সকালবেলা হাঁটতে বের হয়ে প্রকৃতির মাঝে যে সময় অতিবাহিত করেছেন তা খুবই সুন্দর ছিল। কেননা আপনার প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলোই বলে দিচ্ছে আপনার সময়টা কত ভালো কেটেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, সকালবেলা হাঁটতে বের হয়ে প্রকৃতির মাঝে কাটানো সুন্দর সময়টুকু আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের সবারই ভালো লাগে এবং আমরা সবাই হারিয়ে যাই এর মধ্যে। এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন ভাই, ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেকটা ভালো সময় কাটিয়েছিলাম সকালে হাঁটতে বের হয়ে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটানো বেশ ভালো ভাইয়া। আপনি তো দেখছি প্রকৃতির মাঝে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আর আমাদের জন্য বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে কতটা সুন্দর ছিল সকালের প্রকৃতি।
আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিন কিছু না কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে গিয়ে কাটানো। প্রকৃতির মাঝে সুন্দর সময় কাটাতে কাটাতে এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম আপু। ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
প্রথম পর্ব পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লেগেছিলো ভাইয়া। এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলোও দারুণ লেগেছে। আসলে এমন নিরিবিলি জায়গায় সময় কাটাতে আমারও খুব ভালো লাগে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। সৃষ্টিকর্তার অপরুপ সৃষ্টি দেখে সত্যিই চোখ জুড়িয়ে যায়। আপনি ঠিক বলেছেন ক্ষেত থেকে সবজি কিনতে পারলে টাটকা সবজি পাওয়া যায় এবং তুলনামূলক কম দামে ক্রয় করা যায়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরিবিলি এরকম জায়গায় সময় কাটিয়ে মনের ভিতর আলাদা একটা শান্তি লাগে। টাটকা সবজি অনেকটা কম দামে কিনতে হলে ক্ষেত থেকেই কেনা উচিত কিন্তু সব সময় এরকম সুযোগ পাওয়া যায় না কারণ আমরা যেসব জায়গায় বসবাস করি সেসব জায়গা থেকে ক্ষেতের দূরত্ব অনেক দূরে হয়।