লাইফ স্টাইল || বারাসাতে কালী পুজোয় ঘোরাঘুরি (জাগৃতি সংঘের পুজো প্যান্ডেল)।
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে বারাসাতের কালীপুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। প্রথমেই আন্তরিকভাবে দুঃখিত সবার কাছে কারণ ২০২৩ সালের কালীপুজো নিয়ে এখন পর্যন্ত তোমাদের সাথে একটি পোস্টও আমি শেয়ার করিনি। যদিও দুর্গাপুজো নিয়ে বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম তোমাদের সাথে। যাইহোক, কালীপুজো হয়ে গেছে অনেকদিন হয়ে গেছে আর ফোনের গ্যালারিতে অনেক ফটোগ্রাফিও করা রয়েছে এই পুজোর। তাই ভাবলাম সেই সম্পর্কে তোমাদের সাথে একটু শেয়ার করা যাক।
আমাদের এই বারাসাতের কালীপুজো কিন্তু ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে বিখ্যাত। প্রতিবছর বারাসাতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের পুজো প্যান্ডেল করা হয়। এই প্যান্ডেলগুলো নতুন নতুন ভাবনা থেকে করা হয়। অর্থাৎ এই পুজো প্যান্ডেল গুলোর থিম এত সুন্দর করে করা হয়, যা সব মানুষকে আকৃষ্ট করে। প্রতিবছর পুজোর দুই থেকে তিন দিন আগে থেকেই এই পুজো প্যান্ডেল গুলো দেখা শুরু হয় আমার। পুজোর কিছুদিন আগে থেকেই এই পুজো প্যান্ডেল গুলো দেখা শুরু করতে হয়, না হলে সব পুজো প্যান্ডেল দেখে শেষ করা যায় না, এত পরিমাণ পুজো প্যান্ডেল করা হয় আমাদের এই বারাসাতে।
আজকের যে পুজো প্যান্ডেল ঘোরাঘুরি নিয়ে তোমাদের সাথে শেয়ার করব, এই পুজো প্যান্ডেলটি ছিল বারাসাতের জাগৃতি সংঘের পুজো প্যান্ডেল। এই বছরে তাদের পুজোর থিম ছিল "মুখ ও মুখোশ"। বারাসাত ইভিনিং কলেজ থেকে পাঁচ মিনিট হেঁটে গেলেই এই পুজো প্যান্ডেলটি চোখে পড়ে। প্রতিবছরই আমি এই পুজো প্যান্ডেলে এসে পুজো দেখি। অনেক বড় করে প্রতিবছর করে সেটা বলবো না। মোটামুটি সাইজের পুজো প্যান্ডেল করা হলেও, খুব সুন্দর হয় এখানের পুজো প্যান্ডেল । এই পুজো প্যান্ডেলের পাশে মেলাও বসে। পুজো প্যান্ডেলের পাশে বড় একটি মাঠ রয়েছে মূলত সেই মাঠেই বড় করে মেলা বসে। যাইহোক, আমি আমার এক বন্ধুকে নিয়ে সম্ভবত পুজোর দুই দিন আগে এই পুজো প্যান্ডেলটি দেখার জন্য গেছিলাম। যেহেতু জায়গাটা আগে থেকেই চিনতাম তাই খুব সহজেই সেখানে চলে গেছিলাম পায়ে হেঁটে। এখানে যাওয়ার পর, বাইরে থেকেই পুজো প্যান্ডেলটি দেখে আমার কাছে অনেক আকৃষ্ট মনে হয়েছিল। পুজো প্যান্ডেলের বাইরে বিভিন্ন ধরনের মুখ এবং মুখোশ দিয়ে সাজানো ছিল। চারিদিকে বেশ সুন্দর করে এই ব্যাপার গুলো ফুটে উঠেছিল।
এই পুজো প্যান্ডেলটিতে সেই সময় অনেক বেশি ভিড় ছিল সেটা বলবো না, তবে মোটামুটি ভিড় ছিল এবং সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে পুজো প্যান্ডেলটি দেখছিল। প্যান্ডেলটির বাইরে দেখা শেষ করে আমি পুজো প্যান্ডেলের ভেতরে চলে যাই। ভিতরে গিয়ে দেখতে পাই, বড় বড় মুখোশ এবং মুখ করা রয়েছে সব জায়গায়। কাঠেরও অনেক কাজ করা ছিল এই পুজো প্যান্ডেলটিতে। তাছাড়া লাইটিং দিয়ে পুজো প্যান্ডেলটি বেশ অসাধারণ করে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। কত রকমের যে মুখের আকৃতি ও মুখোশ হতে পারে তা আমি এই পুজো প্যান্ডেলটিতে গিয়েই দেখতে পেয়েছিলাম। আমি তো অবাক দৃষ্টিতে চারপাশের সবকিছু উপভোগ করেছিলাম। আমার সাথে আমার বন্ধুও খুব মন দিয়ে সবকিছু দেখেছিল।
প্যান্ডেল দেখার পাশাপাশি আমি সবকিছুর ফটোগ্রাফি করায়ও বেশ ব্যস্ত ছিলাম সেদিন। চারপাশ থেকে যতদূর সম্ভব সব ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। যেগুলো তোমরা এই ব্লগটিতে দেখতে পেয়েছো । বারাসাতের পুজো প্যান্ডেলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকার কারণে পুজো প্যান্ডেলের মধ্যে সাধারণত বেশি সময় দাঁড়াতে দেয় না। তবে এই প্যান্ডেলে যেহেতু তুলনামূলক কম ভিড় ছিল, তাই একটু বেশি সময় নিয়ে পুজো প্যান্ডেলটি মন ভরে দেখে নিয়েছিলাম। এই পুজো প্যান্ডেলটিতে মা কালীর যে প্রতিমা করা হয়েছিল, সেটাও বেশ অসাধারণ হয়েছিল। যেটা তোমরা প্রতিমার ফটোগ্রাফি দেখলেই বুঝতে পারবে, অসাধারণ দক্ষতায় করা হয়েছিল আর কি। শিল্পীর নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছিল মা কালীর সুন্দর প্রতিমাটি।
ওভারঅল এই পুজো প্যান্ডেলটি ঘুরে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। তাদের এই বছরের ভাবনাটা বেশ ইউনিক ছিলো। পুজো প্যান্ডেল থেকে বাইরে বের হয়েই আমি এইখানের মেলায় গেছিলাম। এই মেলায় গিয়ে যদিও আমরা কোন কিছু কেনাকাটি করিনি, জাস্ট আশেপাশে একটু ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। বিভিন্ন ধরনের রাইডার এখানে এসেছিল। তাছাড়া এখানে অন্যান্য অনেক দোকানও বসেছিল, যেমনটা মেলায় বসে। যাইহোক, মেলায় ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা অন্য আরেকটি পুজো প্যান্ডেল দেখার জন্য চলে যাই, যা নিয়ে পরে কোন একদিন শেয়ার করবো।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত , ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
https://twitter.com/ronggin0/status/1753653145174245409?t=a0BWB51S5jpL48X6y1I7tw&s=19