পেটুক ফুড ফেস্টিভ্যালে
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। গতকাল সন্ধ্যায় গেছিলাম পেটুক ফুড ফেস্টিভ্যালে। তাই নিয়ে আজকের ব্লগে কিছু কথা শেয়ার করব।
গতকাল দুপুরের সময় হঠাৎ করে আমার এক কাকার কল আসে আমার ফোনে । সে আমাকে কল করে বিকালের সময়টাতে তার সাথে একটু বের হওয়ার জন্য বলে। আমার এই কাকার বয়স খুব একটা বেশি না, আমার সমবয়সী হবে। যদিও এই কাকা আমার নিজের কাকা না, তবে একই বংশের আমরা। আমার এই কাকা বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পড়ে তাই তাকে বর্ধমানে থাকতে হয়। মাঝে মাঝে সে আমাদের বারাসাতে ঘুরতে আসে তার এক মাসি বাড়িতে। সে যখন তার মাসি বাড়িতে ঘুরতে আসে তখন মাঝে মাঝে আমার সাথে দেখা করে নেয়। আমাদের দেখা হলে আমরা একসাথে একটু শপিংমলে ঘুরি, টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করি এভাবে একসাথে সময় কাটাই। যাই হোক সে যখন আমাকে বের হওয়ার কথা বলেছিল বিকালে আমি তার সাথে বের হতে রাজি হই।
আমরা ঠিক করি, আমরা দুজন একসাথে স্টার মলের সামনে দেখা করব । এই স্টার মল আমাদের এইখানের সবথেকে বড় শপিংমল। এখানে ঘোরাঘুরি করার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। আমাদের বিকালে বের হওয়ার কথা থাকলেও বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে যায় আমাদের। অবশেষে সন্ধ্যায় আমাদের একসাথে দেখা হয় স্টার মলের সামনে। প্রথমে আমাদের স্টার মলের ভিতরে ঢোকার কথা ছিল কিন্তু স্টার মলের বাইরের অংশটি দেখে আর ভিতরে ঢোকা হলো না আমাদের। স্টার মলের বাইরে দেখি "পেটুক ফুড ফেস্টিভ্যাল" নামে একটা মেলার মতো আয়োজন করেছে স্টার মল কর্তৃপক্ষ। এই মেলা সম্পর্কে যদিও আমার আগে একদমই ধারণা ছিল না ।
যাই হোক , গিয়ে যখন এই "পেটুক ফুড ফেস্টিভ্যাল" টা দেখতে পাই আমরা তখন আর মলের মধ্যে না ঢুকে আমরা এর মধ্যে চলে যাই। মলের সামনে খুব বেশি জায়গা ছিল না, অল্প জায়গাই ছিল। এই অল্প জায়গার মধ্যেও অনেকগুলো ফুড ও অন্যান্য জিনিসের স্টল বসেছিল । সেই সময়টাতে এই অল্প জায়গার মধ্যে এত পরিমাণ ভিড় দেখে আমি তো বেশ অবাক হয়ে গেছিলাম। এর মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়া অনেক কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। অনেক ধাক্কাধাক্কি করতে হচ্ছিল এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য। আমি কোন রকম ধাক্কাধাক্কি করে এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাই। মূলত কি কি স্টল বসেছে এখানে সেগুলোই দেখার ইচ্ছা ছিল আমার।
স্টল গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি স্পেশাল লেগেছিল ব্যারাকপুরের বিখ্যাত দাদা-বৌদি বিরিয়ানির স্টল দেখে। এই ফেস্টিভ্যাল থেকে অনেক রকম খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছিল । তবে এত বেশি ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে খাওয়াও অসম্ভব ব্যাপার ছিল আমার জন্য। কোন স্টলের সামনে একটু বসার জায়গা ছিল না , এমনকি দাঁড়ানো অনেক কষ্টকর ব্যাপার লাগছিল। যাইহোক কোন রকম করে একবার এই পুরো জায়গাটি ঘুরে দেখি আমরা। এই জায়গায় ঘুরতে গিয়ে অনেকটা গরমও লেগে গেছিল আমাদের। এই ধরনের আয়োজনে সন্ধ্যার সময়টাতে মানুষের ভিড় সাধারণত বেশি দেখা যায় । যাই হোক, গতকাল সবকিছু মোটামুটি দেখে কিছু সময় পর বের হয়ে পড়ি আমরা । আজ আবার সেখানে যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে আমাদের কারণ গতকালকে গিয়ে কোনো খাবার খেতে পারিনি আমার অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে। তাই আজ আবার পুনরায় সেখানে গিয়ে টুকটাক খাবার টেস্ট করার ইচ্ছা রয়েছে আমাদের।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: স্টার মল, মধ্যমগ্রাম , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
Upvote thank you for supporting witness @jack98
ধন্যবাদ আপনাকে সাপোর্ট করার জন্য।
এরকম ফেস্টিভ্যাল গুলোতে ছুটির দিন ছাড়া গেলে কিছুটা ফাঁকা পাওয়া যায়। তাছাড়া বিকাল থেকে সন্ধ্যা টাইমটায় বেশি ভিড় থাকে। বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় জন্যই দোকানগুলোতে এত ভিড় থাকে। এত ঘোরাঘুরি করেও কোন খাবারের দোকান ফাঁকা পেলেন না। যাই হোক আজ নিশ্চয়ই গিয়ে কিছু খাবার খেতে পারবেন আশা করি।
হ্যাঁ আপু অনেক বেশি ভিড় ছিল তাই কিছু খেতে পারি নি এই ফেস্টিভ্যালে গিয়ে। আজ আবার যাব বিকালের একটু আগে। আজ গিয়ে অবশ্যই কিছু খেয়ে আসবো।
দাদা আমি এর আগেও দেখেছি যে কলিকাতায় এ ধরনের প্রোগ্রামগুলো একটু বেশীই চলে। আজও আপনার পোস্টের মাধ্যমে এমন একটি প্রোগ্রাম দেখতে পেলাম । দেখাই যাচেছ যে সেখানে প্রচুর ভিড়। তবে বেশ ইনজয়ও করেছেন বুঝা যাচ্ছে।
হ্যাঁ আপু ঠিক কথা বলেছেন। গতকাল এমন একটা ফুড ফেস্টিভ্যাল প্রোগ্রামে গিয়ে বেশ ভালোই লেগেছিলো আমার।
আমি প্রথম এই ধরনের ফুড ফেস্টিভ্যাল দেখলাম।আমাদের এখানে পিঠা উৎসব হয় কিন্তু এগুলো হয়না।শপিং মলে না গিয়ে ফুড ফ্যাস্টিভ্যালে গিয়ে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ।
আমাদের এইখানেও পিঠা উৎসব হয় ভাই তবে সেগুলো শীতকালে বেশি হয়ে থাকে। হ্যাঁ ভাই ফুড ফ্যাস্টিভ্যালে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছিলাম।
সন্ধ্যার সময় এমন জায়গায় ভিড় হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত ভিড় হলে হাঁটাহাঁটি করতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। আর খাওয়া দাওয়া করতে হলে তো অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আমার মনে হয় জায়গাটা আরো বড় হলে বেশি ভালো হতো। যাইহোক অনেক কষ্টে ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আবার গিয়ে যেন খাওয়া দাওয়া করতে পারেন সেই কামনা করছি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই এটি শপিং মলের সামনের একটি জায়গা ছিল। এই জন্য খুব বেশি বড় জায়গা ছিল না সামনে। সেটা তো অবশ্যই ভাই বড় জায়গা হলে অনেক ভালো হতো।
যতদিন যাচ্ছে মানুষ যেন বাইরের খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ছুটির দিনে মানুষ যেন আরও বেশি চেষ্টা করে বাইরে যেয়ে ঘোরাঘুরি করতে এবং এই সমস্ত খাবারগুলো খেতে। হয়তো যেদিন ছুটি থাকে না ওই মুহূর্তে গেলে কিছুটা হালকা ফাকা পাওয়া যায়। অনেক ভালো লেগেছে আজকের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে নতুন কিছু ধারনা দিয়েছেন দেখে।
এটা কিন্তু একদম ঠিক কথা বললেন ভাই, দিন দিন মানুষের বাইরে খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। আমার শেয়ার করা পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই।
মেলার নামটা তো দারুণ ভাই। খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন দেখা যায়। আসলে এই ধরনের মেলায় ভালো লাগে খুব। কাকার সাথে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালোই লাগলো। নিশ্চিত ওখানে বেশির ভাগ পেটুক মানুষ গুলোই গিয়েছে। হাহাহা।