পুজোর আগে আগে দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে একদিন
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি তেমন একটা ভালো নেই কারণ আমার কয়েকদিন ধরে জ্বর। |
---|
আজ শুভ ষষ্ঠীর দিন। মহালয়ার পর থেকেই পুজোর ঘুরাঘুরি সবার শুরু হয়ে গেছে আর এদিকে আমি জ্বর নিয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে হোয়াটসঅ্যাপে সবার স্ট্যাটাস দেখে সময় কাটাচ্ছি । এই কয়দিন জ্বরের প্রভাব একটু বেশি থাকলোও আজ থেকে কাশির প্রভাব বেশি দেখা দিয়েছে। তবে জ্বর অনেকটা কমেছে এটাই বড় ব্যাপার আমার জন্য। বাড়ি বসে অন্য কোন কাজ না থাকায় ফোনের ছবিগুলোই দেখছিলাম। এই পুজোর আগে আগে ব্যারাকপুরে বন্ধুদের সাথে দাদা বৌদির রেস্টুরেন্টে খেতে গেছিলাম। সেই দিনের ছবি গুলো হঠাৎ চোখে পড়ল তাই ভাবলাম সেই দিনের সব বিষয়গুলো নিয়ে আজকে তোমাদের সাথে শেয়ার করি।
কয়েকদিন আগে তিন বন্ধু মিলে গেছিলাম এই ব্যারাকপুরে। এই প্ল্যান আমরা হঠাৎ করেই করেছিলাম। আমরা জাস্ট একটু বেরিয়েছিলাম ঘোরাঘুরি করার জন্য তারপর হঠাৎ প্ল্যান করেই চলে যাই দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে। দাদা বৌদি রেস্টুরেন্ট ব্যারাকপুরে দুটি রয়েছে। একটি পুরনো এবং একটি নতুন । আমরা পুরনোটিতেই গেছিলাম কারণ এর আগেও বেশ কয়েকবার আমরা পুরনোটাতেই গেছি। এই জায়গা আমাদের কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। যাই হোক ব্যারাকপুর ফেমাস কিন্তু দাদা বৌদির মটন বিরিয়ানির জন্য। আমার বন্ধুরা মূলত সেই মটন বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য গেছিল আর আমি আগে থেকে কোন কিছু ঠিক করে যায়নি।
আমি সেখানে গিয়েই কি খাব সেটা ঠিক করব এমন প্ল্যান করেছিলাম। যাইহোক সেখানে যাওয়ার পর আমার বন্ধুরা তাদের পছন্দের মটন বিরিয়ানি অর্ডার করে এবং আমি আমার জন্য এগ ফ্রাইড রাইস এবং পনির মাঞ্চুরিয়ান অর্ডার করি । এই দুটো আইটেমই আমি প্রথমবার দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে গিয়ে অর্ডার করেছিলাম । এর আগে অনেকবার এখানে গিয়ে থাকলোও এই মেনু আগে কখনো ট্রাই করা হয়নি। সেই দিন রেস্টুরেন্টে মোটামুটি ভালই ভিড় ছিল । আমাদের অর্ডার করার পরে অনেকটা সময় লেগে গেছিল আমাদের অর্ডারগুলো আমাদের টেবিলে আসতে । তবে সর্বপ্রথমে আমার অর্ডার এসেছিল তার দশ মিনিট পরেই আমার বন্ধুদের অর্ডারগুলো টেবিলে এসেছিল।
দাদা বৌদির রেস্টুরেন্টের একটা বিশেষত্ব রয়েছে তা হল তারা প্লেটের উপর কলা পাতা দিয়ে তার উপর খাবার দেয় যা খাবারের এনজয়মেন্ট অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। যাই হোক সেদিনের খাবারটা বেশ ভালো করেই ইনজয় করেছিলাম। প্রথমবার পনির মাঞ্চুরিয়ান খেয়ে বেশ ভালোই লেগেছিল। তবে অনেকটা পরিমাণে বেশি দিয়েছিল যা আমি পুরোপুরি সেদিন খেয়ে উঠতে পারিনি। তাই কিছু পরিমাণ সেদিন বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম খাবার শেষে প্যাকিং করে। সেদিন আমাদের খাবারের বিল মোটামুটি এক হাজার টাকার মত হয়েছিল। আমরা তিন বন্ধুই শেয়ার করে সমস্ত টাকা দিয়েছিলাম এবং কিছু টাকা সেই দিন টিপসও দিয়ে এসেছিলাম। । টিপস দিলে কর্মচারীরা যে অনেক খুশি হয় সেটা তাদের হাসি দেখলেই বোঝা যায় । যাই হোক এই ছিল সেদিনের পুরো ঘটনা।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: ব্যারাকপুর , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
প্রথমেই দোয়া করি আপনি যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। আসলে ভাইয়া এখন সিজন পরিবর্তন তাই বেশির ভাগ মানুষই অসুস্থ। দাদা বৌদির রেষ্টুরেন্টে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। যাইহোক আমাদের বললে হয়তো যেতে পারতাম। আপনি না খেতে পেরে প্যাকেট করে নিয়ে এসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আমার জন্য সুস্থতার প্রার্থনা করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক খাবার দিয়েছিল আপু, সব খেয়ে পারিনি এজন্য কিছু অংশ প্যাকিং করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম।
দাদা শারদীয় শুভেচ্ছা। আপনি দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা এবং সব বিষয়গুলি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন যেন খুশি হলাম। দাদা মাটন বিরিয়ানি তো অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি টেস্ট করেছেন জেনে খুশি হলাম। কিন্তু মাঝখানে শুনলাম আপনি অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন নিউজটা সত্যি খারাপ অনেক খারাপ লাগলো শুনে
অসুস্থতার খবর শুনলে খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক ভাই। আপনার জন্যও শারদীয় শুভেচ্ছা রইল ।
দাদা, আপনার অসুস্থতার কথা জেনেছিলাম। তবে এখন বেশ কিছুটা সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আপনি বেশ লোভনীয় খাবার গুলোই খেয়েছেন। দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টের বিশেষত্ব হচ্ছে, কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা, যা দেখে আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে। খাবারের ডেকোরেশন ও পরিবেশন যদি ভালো হয় তাহলে তা খেয়েও তৃপ্তি পাওয়া যায়। আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা,যারা খাবার পরিবেশন করে তাদের যদি টিপস দেয়া যায়, তাহলে তারা ভীষণ আনন্দদিত হয়। আর তাদের হাসি মাখা মুখ দেখলে বোঝা যায়, তারা কতটা খুশি হয়েছে। যাইহোক দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খেয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কোনরকম সুস্থ আছে আর কি ভাই ,খুব বেশি ভালো এখনো হয়ে পারিনি। হ্যাঁ ভাই, যারা খাবার পরিবেশন করে তাদের টিপস দিলে সত্য অনেক খুশি হয়। তাদের হাসিটা দেখতে বেশ ভালো লাগে তখন।
দাদা-বৌদি রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশটা দেখতে মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর। যাহোক, দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়েছেন। দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে কলার পাতায় খাবার দেওয়ার বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে কলার পাতায় খাবার দেওয়ার বিষয়টা আমাদের সবারই অনেক বেশি ভালো লাগে ভাই।