নদীর একটি ঘাট থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি ||২৬ অক্টোবর ২০২৩
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম । আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। অনেকদিন আগে মনিরামপুর ফেরিঘাট নামে একটি জায়গায় গেছিলাম, সেই ঘাটে গিয়ে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে করতে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেগুলোই আজকের ব্লগে তোমাদের সামনে তুলে ধরবো।
ফটোগ্রাফি -০১
নদীর ঘাটে গেলে সুন্দর এক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ হয়। অনেক অনেক দিন আগে আমি মনিরামপুর ফেরিঘাট নামে একটি ঘাটে গেছিলাম। ব্যারাকপুর হয়ে আমাকে এখানে যেতে হয়েছিল। আমার এক বন্ধুর বাড়ি নিমন্ত্রণ পেয়ে অনেকটা দূর যেতে হয়েছিল আমাকে। সেখানে যাওয়ার জন্য প্রথমে আমাকে এই ঘাট পার করে যেতে হয়েছিল। এই ঘাটে গিয়ে আমি বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করেছিলাম ফেরির জন্য কারণ সব সময় ফেরি ঘাটে থাকে না। এই অপেক্ষা করার সময় নদীর কূলে দাড়িয়ে এমন সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
ফটোগ্রাফি -০২
সময়টা বর্ষার সময় ছিল তাই চারপাশের গাছপালা গুলো সবুজ থেকে আরও সবুজ হয়ে উঠেছিল । নদীর কূলে থাকা এসব গাছগুলো সত্যিই নদীর কূলের সৌন্দর্যকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্ষার জল এতটাই ছিল কূলের অনেকটা উপরে উঠে গেছিল। এই কূলে বিভিন্ন ধরনের গাছ ছিল। যদিও গাছগুলো ব্যক্তি মালিকানায় লাগানো ছিল না , প্রাকৃতিক ভাবেই জন্ম নিয়েছিল এই সব জায়গায়।
ফটোগ্রাফি -০৩
মনিরামপুর ঘাটে গিয়ে অনেকটা সময় ফেরির জন্য অপেক্ষা করেছিলাম আমি। তারপর যখন ফেরি এসেছিল আমাকে ছোট্ট একটা ব্রিজের মতো জায়গা পার করে ফেরিতে উঠতে হয়েছিল। অধিকাংশ ফেরি ঘাটেই এরকম ছোট ব্রিজ থাকে কারণ ফেরিগুলো একদম নদীর কূলে আসতে পারে না । সেজন্য এরকম ছোট ব্রিজের মত করে দেওয়া হয় যার উপর দিয়ে অনেকটা হেঁটে গিয়ে তারপর ফেরিগুলোতে উঠতে হয়। আমাদের কলকাতায় আমি যতগুলো ফেরি ঘাটে গেছি সব জায়গায় এরকম দৃশ্যই দেখতে পেয়েছি।
ফটোগ্রাফি -০৪
নদীর ঝলমলো জলরাশি আর আকাশে সূর্য সবকিছু মিলে দারুন এক পরিবেশ। যেহেতু ফটোগ্রাফিটি সূর্যের দিকে করে তুলছিলাম তাই নদীর অন্য কূলে যা যা ছিল তা কালো হয়ে গেছে। এই ছবিটি তোলার সময় সূর্যের আলো আমার চোখে সরাসরি ভাবে পড়ছিল তখন খুব ভালো ভাবে আমি দেখতেও পাচ্ছিলাম না। আমি বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং দেখেছি যেগুলোতে নদীর এরকম দৃশ্যই খুব সুন্দর করে অঙ্কন করে। এই ছবিটি দেখতে অনেক টা আর্ট করা দৃশ্যের মতোই লাগছে।
ফটোগ্রাফি -০৫
অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পর কাঙ্খিত সেই ফেরি এসে হাজির হয়। ফেরিঘাটে আসার পরে ফেরি থেকে লোকগুলো এক এক করে নেমে পড়ছিল আর আমি ফেরিঘাটের একটা অংশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম ফেরি খালি হওয়ার জন্য। কারন ফেরি খালি হলেই আমি ফেরিতে উঠে অন্য ঘাটে যেতে পারবো। এগুলো খুব বড় মাপের ফেরি ছিল না। ছোট ফেরি ছিল তবে এসব ফেরিতে মোটরসাইকেল, স্কুটি নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: মনিরামপুর ফেরিঘাট, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা নদীর একটি ঘাট থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে
নদীর ঘাটে গেলে সুন্দর এক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ হয়। অনেক অনেক দিন আগে আমি মনিরামপুর ফেরিঘাট নামে একটি ঘাটে গেছিলাম। ব্যারাকপুর হয়ে আমাকে এখানে যেতে হয়েছিল। আমার এক বন্ধুর বাড়ি নিমন্ত্রণ পেয়ে অনেকটা দূর যেতে হয়েছিল আমাকে। সেখানে যাওয়ার জন্য প্রথমে আমাকে এই ঘাট পার করে যেতে হয়েছিল। এই ঘাটে গিয়ে আমি বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করেছিলাম ফেরির জন্য কারণ সব সময় ফেরি ঘাটে থাকে না। এই অপেক্ষা করার সময় নদীর কূলে দাড়িয়ে এমন সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
সময়টা বর্ষার সময় ছিল তাই চারপাশের গাছপালা গুলো সবুজ থেকে আরও সবুজ হয়ে উঠেছিল । নদীর কূলে থাকা এসব গাছগুলো সত্যিই নদীর কূলের সৌন্দর্যকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্ষার জল এতটাই ছিল কূলের অনেকটা উপরে উঠে গেছিল। এই কূলে বিভিন্ন ধরনের গাছ ছিল। যদিও গাছগুলো ব্যক্তি মালিকানায় লাগানো ছিল না , প্রাকৃতিক ভাবেই জন্ম নিয়েছিল এই সব জায়গায়।
মনিরামপুর ঘাটে গিয়ে অনেকটা সময় ফেরির জন্য অপেক্ষা করেছিলাম আমি। তারপর যখন ফেরি এসেছিল আমাকে ছোট্ট একটা ব্রিজের মতো জায়গা পার করে ফেরিতে উঠতে হয়েছিল। অধিকাংশ ফেরি ঘাটেই এরকম ছোট ব্রিজ থাকে কারণ ফেরিগুলো একদম নদীর কূলে আসতে পারে না । সেজন্য এরকম ছোট ব্রিজের মত করে দেওয়া হয় যার উপর দিয়ে অনেকটা হেঁটে গিয়ে তারপর ফেরিগুলোতে উঠতে হয়। আমাদের কলকাতায় আমি যতগুলো ফেরি ঘাটে গেছি সব জায়গায় এরকম দৃশ্যই দেখতে পেয়েছি।
নদীর ঝলমলো জলরাশি আর আকাশে সূর্য সবকিছু মিলে দারুন এক পরিবেশ। যেহেতু ফটোগ্রাফিটি সূর্যের দিকে করে তুলছিলাম তাই নদীর অন্য কূলে যা যা ছিল তা কালো হয়ে গেছে। এই ছবিটি তোলার সময় সূর্যের আলো আমার চোখে সরাসরি ভাবে পড়ছিল তখন খুব ভালো ভাবে আমি দেখতেও পাচ্ছিলাম না। আমি বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং দেখেছি যেগুলোতে নদীর এরকম দৃশ্যই খুব সুন্দর করে অঙ্কন করে। এই ছবিটি দেখতে অনেক টা আর্ট করা দৃশ্যের মতোই লাগছে।
অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পর কাঙ্খিত সেই ফেরি এসে হাজির হয়। ফেরিঘাটে আসার পরে ফেরি থেকে লোকগুলো এক এক করে নেমে পড়ছিল আর আমি ফেরিঘাটের একটা অংশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম ফেরি খালি হওয়ার জন্য। কারন ফেরি খালি হলেই আমি ফেরিতে উঠে অন্য ঘাটে যেতে পারবো। এগুলো খুব বড় মাপের ফেরি ছিল না। ছোট ফেরি ছিল তবে এসব ফেরিতে মোটরসাইকেল, স্কুটি নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: মনিরামপুর ফেরিঘাট, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বর্ষার সময়ে প্রকৃতি টা আরও চিরসবুজ হয়ে যায় কথাটা ঠিক ভাই। মনিরামপুর ফেরিঘাটের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করেছেন দাদা। আলোর ঝলকানি রোদ ঝলমলে আকাশ আর জলরাশি সবকিছুই অসাধারণ লাগছে। অনেক সুন্দর করেছেন নদীর ফটোগ্রাফি গুলো। দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।