দাদাদের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া

কয়েক মাস আগে ছোট দাদার গেমিং কম্পিউটার কিনতে ই -মল গিয়ে কেনাকাটার ফাঁকে সময় পেয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে একসাথে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম সেই গল্প শেয়ার করব আজ আপনাদের সাথে। কিছু কিছু কথা আমি এখানে রিপিট করে দিচ্ছি যেগুলো "ছোট দাদার গেমিং কম্পিউটার কিনতে বের হয়ে একদিন" ব্লগে আমি শেয়ার করেছিলাম। দিনটি ছিল ৭ই জুন ২০২২ । আমার আগে থেকে কোন প্রকার প্ল্যান ছিল না ছোট দাদার কম্পিউটার কিনতে দাদার সাথে যাব । আমি ছোট দাদার কাছে একটি বিষয়ে কাজ শিখতে গেছিলাম তখন গিয়ে দেখি ছোট দাদা ব্যস্ত ব্যস্ত হয়ে রেডি হচ্ছে কম্পিউটার কিনতে যাওয়ার জন্য। তখন ছোট দাদা আমাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি ফ্রি আছো এখন ? আমি বললাম হ্যাঁ দাদা ফ্রি আছি। তারপর ছোট দাদা বলল, তাহলে চলো আমি গেমিং কম্পিউটার কিনতে যাব একসাথে একটু ঘোরাও হয়ে যাবে। কিছু সময়ের মধ্যে ছোট দাদা রেডি হয়ে গেল । সেই দিন শুধুমাত্র আমি আর ছোট দাদা যায়নি আমাদের সাথে গেছিলেন মেজ দাদা ,মেজ বৌদি এবং মেজ দাদার ছেলে টিনটিন বাবু। আমরা মোটামুটি বিকাল পাঁচটার দিকে দাদাদের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম সবাই মিলে। দাদাদের গাড়িতে করেই আমরা রওনা করি।

যাওয়ার পথে আমাদের অনেকটা ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। আমাদের সেখানে পৌঁছাতে দেড় ঘন্টার মত সময় লেগে গেছিল বাড়ি থেকে। ই-মলে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে আমরা একটি ভালো দোকানে ছোট দাদার কম্পিউটার অর্ডার করি। কম্পিউটার দোকানের মালিক আমাদের কাছে ঘন্টাখানিকের মতো সময় চেয়েছিল কম্পিউটারের সমস্ত কিছু রেডি করার জন্য। আমরা ততটা সময় দোকানে বসে বোর হতে পারি সেজন্য দোকানদার আমাদের পরামর্শ দেয় বাইরে থেকে একটু ঘুরে ফিরে আসতে তার মধ্যে সবকিছু রেডি হয়ে যাবে। যাইহোক তখন আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম কোন একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসবো কিছু। ই-মলের কাছাকাছি অবস্থিত চাঁদনী চকের একটি বড় রেস্টুরেন্ট ছোট দাদার পরিচিত ছিল। ছোট দাদা আমাদের সবাইকে সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য বলে। যেহেতু এইসব জায়গায় অনেক রেস্টুরেন্ট থাকে কিন্তু কোন রেস্টুরেন্টের খাবারের কোয়ালিটি কেমন হবে তা আগে থেকে কোন কিছু বোঝা যায় না তাই ছোট দাদার পূর্ব পরিচিত সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা ভাবি আমরা। ই-মল থেকে পায়ে হেঁটে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত ছিল সেই রেস্টুরেন্টটি। তাই আমরা পায়ে হেঁটেই সেখানে গিয়ে পৌঁছাই।

রেস্টুরেন্টটি অনেক বড় ছিল কিন্তু রেস্টুরেন্টের যে ফ্লোরে আমরা গেছিলাম পুরোটাই ফাঁকা ছিল। যাইহোক ফাঁকা অথবা ভরা রেস্টুরেন্ট দিয়ে আমাদের কোন কাজ নেই আমাদের খাবারের কোয়ালিটি ভালো হলেই চলবে। তারপর মেজ দাদা খাবারের মেনু গুলো দেখে এবং আমাদের সবার পরামর্শ নিয়ে কয়েকটি খাবারের অর্ডার দেয়। তার মধ্যে চিকেন তান্দুরি , ভেজ পোলাও এবং ভেজ গ্রেভি ছিল। আমি সেদিন মেঝো দাদাকে বলেছিলাম আমি আমিষ খাব না ,নিরামিষ খাব সেই জন্যই দাদা আমার জন্য ভেজ পোলাও এবং ভেজ গ্রেভি স্পেশাল ভাবে অর্ডার করেছিল। যাইহোক খাবারের মান যথেষ্টই ভাল ছিল দাদাদের রিভিউ বেশ ভাল ছিল দেখলাম। সেইদিন আবার আমাদের টিনটিন বাবু তেমন কোন কিছুই খায়নি এমনকি কোন প্রকার জ্বালাতন করেনি একদম শান্ত ছেলের মত সবসময় আমার কাছেই ছিল। যাইহোক খাবার-দাবার শেষে অনেক টাকা বিল হয়েছিল যা মনে আছে কিন্তু কত বিল হয়েছিল এক্সাক্টলি তা আমার মনে নাই। আরেকটি কথা রেস্টুরেন্টের কি নাম ছিল সেটিও আমি ভুলে গেছি যেহেতু কয়েক মাস আগের কথা। খাওয়া-দাওয়া শেষে সেইখান থেকে বের হয়ে হেঁটে আবার আমরা সেই ই-মল চলে আসি ছোট দাদার কম্পিউটার রেডি হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য। এসে দেখি দাদার কম্পিউটার রেডি হয়ে গেছে তারপর সেটি নিয়ে সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।

বন্ধুরা আজকের শেয়ার করা ব্লগটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে পারেন । ধৈর্য সহকারে এত সময় ধরে আমার ব্লগিংয়ের সাথে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন ,হাসিখুশি থাকেন , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।