অনেকদিন আগে বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি মোটামুটি ঠিক আছি তবে এখনো সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে পারিনি। |
---|
খাওয়া-দাওয়া করতে আমরা মোটামুটি সবাই অনেক ভালোবাসি। আমরা বন্ধু-বান্ধবরা সবাই যখন কাছাকাছি থাকতাম তখন প্রায় সময় প্ল্যান করে কোথাও না কোথাও গিয়ে খেয়ে আসতাম। এ বিষয়টা বেশ আনন্দের আমাদের কাছে। যাইহোক অনেক দিন আগে আমরা বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে গেছিলাম আমার এক বন্ধুর বাড়ি । তার বাড়ি ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে একটু দূরে ছিল। সেই বন্ধুর বাড়ি মূলত খাবারের নিমন্ত্রণ ছিল আমাদের সবার। বন্ধু-বান্ধব মিলে আমরা সাতজনের একটি গ্রুপ ছিলাম ।
সবারই নিমন্ত্রণ ছিল সেই বন্ধুর বাড়ি কিন্তু সে বন্ধুর মা অসুস্থ থাকার কারণে রান্নাবান্নার ব্যবস্থা করতে পারে না। তাই বন্ধুর মা বন্ধুকে টাকা দেয় ব্যারাকপুরের বিখ্যাত দাদা বৌদি রেস্টুরেন্ট থেকে আমাদের খাইয়ে নিয়ে আসার জন্য । যদিও এই ব্যাপারে আমরা সবাই অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম কারণ দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কথা শুনলে সবাই একটু খুশি হয়। সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে আমরা বন্ধুবান্ধবরা একসাথে বসে খেতে পারব, এটাই মজা। যাইহোক তারপর বন্ধুর বাড়ি থেকে আমরা সবাই দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে চলে আসি টোটো ভাড়া করে।
দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে এসে আমরা সিটও পেয়ে যাই আমাদের বসার জন্য। অনেক সময় এরকম হয়, বসার সিট পেতে একটু সময় লেগে যায় কিন্তু সেই দিন আমাদের সিট পাওয়ার জন্য আর ওয়েট করতে হয়নি । যাই হোক বসার পর সবাই সবার মত খাবার অর্ডার করে। আমার অন্যান্য বন্ধু-বান্ধব সবাই তাদের জন্য বিরিয়ানি অর্ডার করেছিল কিন্তু আমি আমার জন্য এগ ফ্রাইড রাইস এবং চিলি পনির অর্ডার করেছিলাম। সব জায়গা গিয়ে আমার খাবারটা একটু আলাদা থাকে এই বিষয়টা নিয়ে সবাই হাসাহাসি করলেও এই বিষয়টা আমি বেশ এনজয় করি। সেদিন একসাথে আমরা বন্ধু-বান্ধব অনেক অনেক আনন্দ করি । হঠাৎ করে শান্ত রেস্টুরেন্ট অনেকটা অশান্ত হয়ে যায় আমাদের কারণেই। আমরা সাতজন ছিলাম আর সবাই হাসাহাসি করছিলাম বিভিন্ন টপিক্স নিয়ে যার ফলে গমগম পরিবেশ তৈরি হয়ে যায় রেস্টুরেন্টের মধ্যে।
আমাদের এই মুহূর্তগুলো অনেক ইম্পরট্যান্ট ছিল কারণ তারপরেই বন্ধু-বান্ধব যে যার মত করে চারিদিকে আলাদা হয়ে যাচ্ছিল বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে। তাই সেই দিন আমরা অনেক অনেক আনন্দ করি। এই আনন্দ করা মুহূর্তগুলো অনেক দিন আগেই পার হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই ফোনের গ্যালারিতে এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বন্ধুদের সাথে কাটানো সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল । পুরনো ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। কিছু সময়ের জন্য অতীতে ফিরে যাওয়া যায়। সেই সুন্দর মুহূর্তগুলো হয়তো ফিরে পাওয়া যায় না, তবে সে সুন্দর মুহূর্ত গুলো মনে করে মনের ভেতর ভালো লাগে।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: ব্যারাকপুর , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা মানে এটা খুবই অনুভূতির একটা জিনিস সবাই একত্রিত হতে পারছে, আন্টি অসুস্থ শুনে খানিকটা খারাপ লাগলো। তবে দাদা বৌদির রেস্তোরাঁর কথা কিন্তু এপার বাংলাও জানে এটা খুবই বিখ্যাত। বোঝাই যাচ্ছে আপনারা অনেক বেশি পরিমাণ এনজয় করেছেন।
তাহলে তো অনেক বড় ব্যাপার ভাই। কোনো দিন আমাদের এইখানে ঘুরতে আসলে অবশ্যই দাদা বৌদির বিখ্যাত বিরিয়ানি খেয়ে যাবেন ভাই।
বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত গুলো বেশ চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নিশ্চয়ই বন্ধুদের সাথে খাওয়া-দাওয়া মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। সবাই মিলে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন। আসলে বন্ধুদের সাথে এমন মুহূর্তের অনুভূতি কখনো ভুলা যায় না। বন্ধুদের সাথে কাটানো অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন । আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে দুর্দান্ত পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য। আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার খুব ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।