শৈশবের স্মৃতিচারণ: সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে ( পর্ব -০১)

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও ওকে আছি।

bicycle-7876692_1280.png

ইমেজ সোর্স

অনেক ছোটবেলা থেকেই আমার সাইকেল চালানোর শখ ছিল। তবে ছোট কোন সাইকেল আমার ছিল না। ছোটবেলায় গ্রামে বড় হয়েছি আর গ্রামে ছোট ধরনের সাইকেল সাধারণত সেই সময়ে দেখা যেত না। গ্রামে সাইকেল একটি প্রয়োজনীয় জিনিস । গ্রামের দিকে অনেক বাড়িতেই সাইকেল থাকে তবে সে সাইকেল গুলো অনেক বড় বড় হয় । গ্রামের ছেলেরা এই বড় বড় সাইকেল দিয়েই সাইকেল চালানো শেখে। প্রথম প্রথম যদিও এই কাজটা অনেক কঠিন তবে গ্রামের ছেলেরা এই কাজটা ভালো ভাবেই করতে পারে । ছোট সাইকেল হলে সিটের উপর বসে সাইকেল চালানো শেখা যায় কিন্তু বড় সাইকেল হলে উপরের রড ধরে, সাইকেলের সামনের তিন রডের মাঝে পা দিয়ে প্যাডেলিং করে তারপর সাইকেল চালানো শিখতে হয়।

এভাবে সাইকেল চালানো শেখা সত্যি অনেক কঠিন একটা কাজ কারণ সাইকেলের একদিকে সব সময় টান থাকে এভাবে সাইকেল চালালে । এমনিতেই প্রথম অবস্থায় সাইকেল চালানো সবার জন্য অনেক কঠিন কাজ। যাইহোক আমার যেহেতু সাইকেল চালানো শখ ছিল তাই আমার এক কাকা আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিল তার বড় সাইকেল দিয়ে। সাইকেলের রড ধরে এই সাইকেল চালানো আমি অনেক দিনে শিখেছিলাম ।স্টেপগুলো খুব মজাদার। সাইকেল চালাতে চালাতে হঠাৎ করেই পড়ে যেতাম। সাইকেল চালানো আমি যে স্কুলে পড়তাম সেই স্কুলের বড় মাঠে শিখেছিলাম।

এই সময় চালাতে চালাতে মাটিতে পড়ে যেতাম, মাটিতে পড়ে গেলে খুব একটা সমস্যা হতো না। তবে দুই একবার মাটিতে পড়ে হালকা হাত পা কেটে গেছিল কিন্তু তাই নিয়ে কোন সমস্যা ছিল না। তবে আমি যখন রড ধরে সাইকেল চালানো পরিপূর্ণভাবে শিখে যাই তখন আমি সেই কাকার সাইকেল নিয়ে সকাল বিকাল সবসময় সাইকেলিং করে বেড়াতাম । ছোটবেলা থেকেই সাইকেলের প্রতি আমার একটা আলাদা টান ছিল । এই সাইকেল চালালে অনেক ভালো লাগতো আমার ।

সাইকেল চালানো যখন অনেকটা শিখে যাই তখন আমি মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে সাইকেলিং করতাম। এখন বুঝি এসব বোকামি কাজ ছিল। তবে এই কাজগুলো আমি করতাম। সামনের কিছুটা রাস্তা দেখে নিতাম তারপর চোখ বন্ধ করে প্যাডেল করে সাইকেল চালাতাম। তারপর আবার কিছু দূর গিয়ে চোখ খুলে দিতাম । এই কাজগুলো করে আমি একটা আলাদা আনন্দ পেতাম। একবার হয়েছিল কি, এরকম করে সাইকেল চালানোর সময় চোখ বন্ধ করে একটু বেশি সময় থাকা হয়ে গেছিল আর সেই সময় সামনের একটি ছোট ইটের দেয়ালে সাথে এক্সিডেন্ট করে ফেলি।

চলবে..

বন্ধুরা, শৈশবে সাইকেল চালানো শিখতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা এই ব্লগটির প্রথম পর্ব তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 8 months ago 

সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে যে কত ভয় পেয়েছি আর কী বলব ভাই। তবে আমি কিন্তু ঐ বড় সাইকেল না একেবারে ছোট সাইকেলে সাইকেলটা চালানো শিখেছি হা হা। এটা বেশ মজার ছিল। আর আমিও প্রথম প্রথম সাইকেল চালানো শিখে এইরকম চোখ বুঝে সাইকেল চালানোর চেষ্টা করতাম। এর জন্য অবশ‍্য বিপদে কম পড়িনি। আপনার এক্সিডেন্ট করার ব‍্যাপার টা পরেরদিন লিখবেন কিন্তু।।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে যে কত ভয় পেয়েছি আর কী বলব ভাই।

সবার সাথেই এমনটা হয় ভাই, অনেক ভয় লাগে প্রথম প্রথম সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে।

 8 months ago 

আপনার শৈশবে সাইকেল চালানোর অনুভূতিগুলো পরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে শৈশবে যদি সবাই বুঝতো তাহলে শৈশব কেন হবে। শৈশবে তো শৈশবি শৈশবের স্মৃতি মনে পড়লে আসলে হাসি পায়। যাইহোক ভাইয়া চোখ বন্ধ করে সাইকেল চালানোর পরে এক্সিডেন্ট হলো দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়? ধন্যবাদ আপনাকে।

 8 months ago 

চোখ বন্ধ করে সাইকেল চালাতে গিয়ে এক্সিডেন্টটে যা হয়েছিল সেটা পরের পর্বেই জানতে পারবেন আপু।

 8 months ago 

আপনার শৈশবের সেই সাইকেল চালানো শিখার কথাগুলো পড়ে আমার শৈশবের সাইকেল চালানোর কথাগুলো সত্যি খুবই মনে পড়ে গেল। তবে আপনার মত আমি শৈশবে চোখ বন্ধ করে কখনোই সাইকেল চালাই নি। চোখ বন্ধ করে সাইকেল চালানো আসলে এসবই হলো আমাদের ছোটবেলার এক ধরনের মধুর স্মৃতি যেগুলো এখন মনে হলে নিঃসন্দেহে বোকামি ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।

 8 months ago 

সেটা তো অবশ্যই ভাই, এভাবে সাইকেল চালানো এক ধরনের বোকামি। তবে শৈশবে সেই সময়টাতে এই ব্যাপার গুলো বুঝতাম না।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 67232.91
ETH 3240.43
USDT 1.00
SBD 2.64