নিউ ব্যারাকপুর এর "সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ৫ নং পার্ক" এর পুজো প্যান্ডেল।
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে আমি স্বাগতম জানাচ্ছি। |
---|
দুর্গাপুজোর ঘোরাঘুরি নিয়ে এর আগেও কয়েকটি ব্লগ তোমাদের সাথে শেয়ার করেছি আমি। সেইসব ব্লগে আমি বিভিন্ন দুর্গোৎসব প্যান্ডেলে ঘুরতে গিয়ে তোলা অনেক ফটোগ্রাফি এবং সেইসব প্যান্ডেলের বর্ণনা শেয়ার করেছিলাম তোমাদের সাথে। আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরত্বের একটি স্থানের দুর্গাপুজো দেখতে গিয়ে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি। আমাদের বাড়ি থেকে নিউ ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার হবে। নিউ ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে আধা কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি পুজো প্যান্ডেল করেছিল এ বছর সেইসব স্থানের দুর্গোৎসব কমিটি। আমি সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম ইউটিউব এর কয়েকটি ভিডিও দেখার মাধ্যমে। আমি পঞ্চমীর দিন কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছিলাম আর সপ্তমীতে আমাদের বাড়ির কাছাকাছি বারাসাতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছিলাম ।
আমি নিউ ব্যারাকপুরে পুজো গুলো দেখতে দুই দিন গেছিলাম। প্রথমে গেছিলাম অষ্টমীতে এবং পরে গেছিলাম দশমীতে। তোমাদের সাথে এর আগে দুটি ব্লগে নিউ ব্যারাকপুর এর দুটি পুজো প্যান্ডেল থেকে তুলে নিয়ে আসা কিছু ফটোগ্রাফি এবং সেই সম্পর্কে বর্ণনা শেয়ার করেছিলাম। সেই দুই দিনের ব্লগে আমি তোমাদেরকে অষ্টমীর রাতের দুটি প্যান্ডেল থেকে তুলে নিয়ে আসা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছিলাম । অষ্টমীতে যে ক্লাব দুটির পুজো প্যান্ডেল দেখেছিলাম সেই ক্লাব দুটি হল বিদ্রোহী সংঘ এবং শক্তি সংঘ । আজ শেয়ার করব "সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ৫ নং পার্ক" এর পুজো প্যান্ডেল থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি যা আমি দশমীর সন্ধ্যায় তুলেছিলাম।
🟠 "সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ৫ নং পার্ক" 🟠
এই জায়গার পুজো দেখতে আমি প্রায় পাঁচ বছর পর গেছিলাম। এতদিন না যাওয়ার কারণে নিউ ব্যারাকপুর নেমে কোন দিকে যেতে হবে আমি ঠিক খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তারপর ধীরে ধীরে মনে করে এই স্থানটিতে পৌঁছে যাই পুজো প্যান্ডেল দেখার জন্য। আমি যেহেতু দশমীর দিন এইখানে গেছিলাম তাই লোকজনের খুব একটা ভিড় ছিল না বললেই চলে। পুজোর শেষ দিন ছিল তাই সবকিছু অনেকটাই থেমে গেছিল । লোকজনের ভিড়ের ধাক্কাধাক্কি সেদিন খেতে হয়নি আর আমাকে। এই বছর এদের প্যান্ডেলটি অসাধারণ সুন্দর করেছিল। এবার তারা থিম করেছিল ভাঙ্গা গড়া । আমি থিমের সাথে প্যান্ডেলের ব্যাপারটা পুরোপুরি বুঝতে পারিনি তাই সে সম্পর্কে গভীর ধারণা দিতে পারলাম না। এর ভিতরে গিয়ে আমি শিল্পীদের হাতের কারুকার্য দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। তাদের নিখুঁত হাতে ছোঁয়ায় বিভিন্ন গল্পকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিল এখানে। আমাদের ধর্মীয় অনেক বিষয়গুলো প্যান্ডেলের বিভিন্ন জায়গায় তুলে ধরা হয়েছিল। পুজো পদ্ধতি থেকে শুরু করে করে অনেক পুরনো কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল যা আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে তোমরা বুঝতে পারবে। এরা প্যান্ডেলের বাইরে বিশাল বড় একটি শঙ্খ বানিয়ে রেখেছিল যা সবারই নজর করে নিচ্ছিল।
স্থান: নিউ ব্যারাকপুর , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
থিম: ভাঙ্গা গড়া।
ফটো তোলার তারিখ: ০৫/১০/২০২২
সময়: সন্ধ্যা সাতটা ।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: নিউ ব্যারাকপুর , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
ফটো তোলার তারিখ: ০৫/১০/২০২২
সময়: সন্ধ্যা সাতটা ।
স্থান: নিউ ব্যারাকপুর , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
ফটো তোলার তারিখ: ০৫/১০/২০২২
সময়: সন্ধ্যা সাতটা ।
স্থান: নিউ ব্যারাকপুর , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
ফটো তোলার তারিখ: ০৫/১০/২০২২
সময়: সন্ধ্যা সাতটা ।
তাহলে তো অনেক বছরের গ্যাপ ছিল মাঝখানে এই প্যান্ডেল দেখার। যদিও করোনা কালীন সময়ে প্রায় দুই বছরের মত পূজো ঠিকঠাক করে হয়নি।
আর ঠিকই বলেছ এই সকল পূজা প্যান্ডেলগুলোতে দশমীর দিন খুব বেশি একটা ভিড় হয় না।এই সময়ে ভিড় কলকাতার দিকে বেশি হয়। ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল।
করোনার জন্য তো গত দুই বছর যেতে পারিনি এবং তার আগের তিন বছর এখানে আর যাওয়া হয়নি।
দশমীর দিনে অনেক জায়গার পুজো প্যান্ডেল গুলো খুলে ফেলা হয়। এই জায়গার পুজো প্যান্ডেল সেদিন খুলে ফেলা হয়নি কিন্তু সেরকম আর কোন ভিড় ছিল না লোকের।