১৩ বছর পর হঠাৎ করে দুই বন্ধুর সাথে দেখা
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজ তোমাদের সাথে আমার দুই কৈশোরের বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার একটি ঘটনা শেয়ার করব। এই ঘটনাটি গতকাল ঘটেছিল দমদম মেট্রো স্টেশনে। কৈশোর কালের দুই বন্ধুর সাথে হঠাৎ করে দেখা হয়ে গেছিলো দমদম মেট্রো স্টেশনে। হঠাৎ করে এমন করে দেখা হবে তা আমার কল্পনাতেও কখনো আসেনি। দুই বন্ধুর মধ্যে এক বন্ধুর সাথে গত একমাস আগেও কথা হয়েছিল। সে একচুয়ালি তার পরিবারের সাথে অন্য রাজ্যে থাকে আমাদের এই কলকাতাতে থাকে না। মাসখানেক আগে যখন কথা হয়েছিল তার সাথে তার কাছ থেকে এরকমও কিছু জানতে পারেনি যে সে কলকাতাতে আসবে। তাই এটা আমার জন্য বেশ সারপ্রাইজিং ছিল ।
অন্য যে আরেক বন্ধু ছিল সে ছিল তার জ্যাঠাতো ভাই সেও আমার বন্ধু । আমরা সবাই একসাথে পড়তাম অনেক বছর আগে। দুই বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার পরে আমি তো অবাক। ১৩ বছর পর দেখা! সেই সময় দেখতে এক রকম ছিল ,এখন দেখতে এক রকম হয়ে গেছে কিন্তু ফোনে সব সময় তার ছবি দেখা হয় এই জন্য খুব সহজেই চিনতে পেরেছিলাম তাকে এবং সেও আমাকে খুব ভালো করেই চিনতে পেরেছিল। বিগত ১৩ বছর থেকে তার সাথে অনেকবার কথা হয়েছে কিন্তু সামনাসামনি দেখা হয় নি। দেখা হওয়ার যে অনুভূতি সেটা হয়তো যার সাথে ঘটে সেই ভালো বুঝতে পারে।
কৈশোর বয়সে স্কুলে থাকাকালীন সময় আমি এই দুই বন্ধুর সাথে কত মজা করেছি, একই বেঞ্চে বসতাম আমরা, একই সাথে কত মজার ঘটনা ঘটিয়েছি স্কুল লাইফে। একসাথে স্কুল পালানো থেকে শুরু করে টিফিন খাওয়া সবকিছুই করতাম আমরা একসাথে। বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ার পর এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছিলাম আমরা। তারা একচুয়ালি তাদের পরিবারের সাথেই ছিল । তাদের ঠাকুর দাদা এই কলকাতায় থাকে, তিনি একটু অসুস্থ তাই দেখা করার জন্যই হঠাৎ করে পরিবারের সাথে তারা এখানে এসেছে। যেহেতু মেট্রো স্টেশনে দেখা হয়েছিল তাই বেশি সময় পাইনি তার সাথে মন খুলে গল্প করার, কথা বলার। তাদেরও ব্যস্ততা ছিল তাছাড়া তাদের সাথে তাদের পরিবার ছিল সেজন্য বেশি সময় তাদের দাঁড় করিয়ে কথা বলারও সুযোগ পাইনি।
কিছু সময়ের জন্য তাদের পেয়েছিলাম তার মধ্যে যত গল্প করা সম্ভব হয় বন্ধুরা মিলে গল্প করেছিলাম। বেশ একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল এসবের মধ্যে। দমদম থেকে মেট্রোতে আমরা একসাথে উঠেছিলাম । সেখানে প্রায় দশ মিনিটের মতো সময় এক্সট্রা পেয়েছিলাম কথা বলার জন্য। কিন্তু মেট্রোর মধ্যে ভিড়ের কারণে সেই ভাবে আর বেশি কথা বলার সুযোগ হয়নি। এত বছর পর দেখা হওয়ার পর বন্ধুরা মিলে দুই একটি সেলফিও তুলে নিয়েছিলাম স্মৃতির পাতায় ফটোগুলো রেখে দেওয়ার জন্য। আর কবে দেখা হবে জানিনা তবে তারা আমাকে কথা দিয়েছে কলকাতা থেকে যাওয়ার আগে অবশ্যই আমার সাথে একদিন দেখা করবে। আমি সেই অপেক্ষায় বসে আছি।
আসলে আমারও দেখা করতে যাওয়া উচিত ছিল তার সাথে। তবে এত অসুস্থ শরীর নিয়ে তো আর যাওয়া যায় না। তবে সত্যিই বেশ খারাপ লাগছিল, না যেতে পেরে। বিশেষ করে ভালো কিছু সময় কাটিয়েছো তার সাথে এটা জেনে আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে। আমি সেই মজায় অংশগ্রহণই করতে পারলাম না।
মজায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পরে আবার আসবে চিন্তার কোন কারণ নেই।