গণেশ পূজা দেখতে একটু বের হওয়া

🙏নমস্কার সবাইকে🙏

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক ভাল আছি। আমার আজকের নতুন ব্লগে সবাইকে আমি স্বাগতম জানাচ্ছি।

১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ,আমি গনেশ পূজা দেখতে বেরিয়েছিলাম আমার এক বন্ধুর সাথে সেই সম্পর্কে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আজকের ব্লগে। প্রথমেই এই পূজা সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করে নি।
ভগবান গণেশের জন্ম হয়েছিল ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে। হিন্দু সংস্কৃতি বিশ্বাসী মানুষেরা ভাদ্রপদ মাসে অমাবস্যার পর চতুর্থ দিনে গণেশ চতুর্থী উদযাপন করে থাকে।
হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলির মধ্যে গণেশ চতুর্থীও একটি। এই উৎসব সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। গণেশ চতুর্থী উদযাপন ৩১ শে আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল এই বছর ।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্য যেমন মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ , কর্ণাটক ইত্যাদি জায়গায় সবথেকে বেশি বড় করে এই উৎসব পালন করা হয় ।এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অংশে মোটামুটি ভাবে এই উৎসব পালন করা হয়। আমাদের ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় গনেশ পূজা খুব বড় করে করা হয়। আমাদের নিকটবর্তী বারাসাতের বিভিন্ন জায়গায় এই পূজা খুব বড় করে না করা হলেও মোটামুটি ভাবে উদযাপন করা হয় । যেদিন থেকে পূজা শুরু হয়েছিল তার পরের দিন সন্ধ্যার দিকে আমি বেরিয়েছিলাম এই পূজা দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে। বারাসাত স্টেশনের খুব কাছাকাছি আমার এক বন্ধুর বাড়ি ছিল আমি সন্ধ্যার দিকে বেরিয়ে প্রথমে তার বাড়িতে যাই এবং সেখানে গিয়ে তার সাথে পূজা দেখতে বের হওয়ার প্লান করি । বারাসাত স্টেশন থেকে নিকটবর্তী এক কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে কয়েক জায়গায় এই পূজা উদযাপন করা হচ্ছিল। আমরা দুইজনে সেসব স্থানের পূজা প্যান্ডেল গুলো সব ঘুরে ঘুরে দেখব সেই প্ল্যান করি।

আমরা দুই বন্ধু পূজা দেখতে বেরিয়ে প্রথমে বন্ধুর বাড়ির পাশে যে পূজার প্যান্ডেল করেছিল সেখানে পূজা দেখতে যাই। তারপর এক এক করে আশেপাশে যতগুলো পূজা প্যান্ডেল ছিল সবগুলোতে যাই। সেই দিন চারপাশে প্রচুর পরিমাণে মাইকের আওয়াজ হচ্ছিল। গান-বাজনা, মন্ত্র পাঠের শব্দ চারদিক থেকে ভেসে আসছিল সেই সময়। পূজা উদযাপিত এলাকার চারপাশে লাইটিং দিয়ে সাজানো ছিল খুবই সুন্দর করে। এই লাইটিংগুলো আমাদের এইসব এলাকাতেই দুর্গাপূজার সময় প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তার এক ঝলকের দেখা মিলেছিল এই গনেশ পূজোতেও । যাই হোক দুই বন্ধু যতদূর পারি আশেপাশে ঘুরে পূজা দেখেছিলাম । আমি পূজা দেখার সময় কিছু ফটোগ্রাফিও করে নি সুযোগ বুঝে যেগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশেপাশের পূজার প্যান্ডেল গুলো ঘোরাঘুরি শেষ করে নিকটবর্তী বাজারে গেছিলাম বন্ধুর কিছু কেনাকাটির উদ্দেশ্যে। আমার সেই বন্ধু পরের দিন জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে যাবে তাই টুকিটাকি কিছু শপিং করার ছিল। শপিং শেষে তাকে তার বাড়ি এগিয়ে দিয়ে এসে আমি আমার বাড়ির পথে রওনা করি। এভাবে আমার গণেশ পূজা দেখার দিনটি কাটে সেই দিন।

ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা , ওয়েস্ট বেঙ্গল।

ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা , ওয়েস্ট বেঙ্গল।

ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা , ওয়েস্ট বেঙ্গল।

বন্ধুরা আজকের শেয়ার করা গণেশ পূজা দেখা নিয়ে ব্লগটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে পারেন । ধৈর্য সহকারে এত সময় ধরে আমার ব্লগিংয়ের সাথে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন ,হাসিখুশি থাকেন , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

♤♤ধন্যবাদ♤♤