সুভাষ মেলায় ঘুরাঘুরি (পর্ব -০২)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার সবাইকে,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

সুভাষ মেলায় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজকের দ্বিতীয় পর্বে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। মেলায় ঘোরাঘুরি নিয়ে গত পর্বে তোমাদের সাথে কিছু কিছু বিষয় শেয়ার করেছিলাম। আজ অন্যান্য আরো কিছু বিষয় তুলে ধরলাম। মেলায় ঘোরাঘুরি করার একটা পর্যায়ে আমি এবং আমার বন্ধু গেছিলাম নাগরদোলা এবং ব্রেক ডান্স সেকশনে। গত বছর এই মেলায় গিয়ে আমি নাগরদোলায় চড়েছিলাম । বেশ অদ্ভুত রকমের একটা ফিলিংস হয়েছিল। একটু ভয় ভয় করছিল যখন উঠেছিলাম কিন্তু ওঠার পরে বেশ মজাই লেগেছিল। গত বছর আমার এই বন্ধু আমার সাথে ছিল না তাই তাকে এই বিষয়টা আমি জানাই । নাগরদোলায় চড়ে অনেক মজা হয় আমি আমার বন্ধুকে এই কথা বলি। আমার কথায় আমার বন্ধু আগ্রহী হয়ে নাগরদোলায় চড়ার জন্য আমাকে বলে। তারপর আমরা দুই বন্ধু নাগরদোলায় ওঠার জন্য টিকিট কাটি। প্রত্যেকেরই ৬০ টাকা করে নিয়েছিল টিকিট কাটতে। মেলাতে এই দাম স্বাভাবিক, আমি অন্যান্য মেলায় গিয়েও দেখেছি নাগরদোলায় চড়তে এরকম দামই নেয়। খুব একটা ভিড় না থাকায় আমরা তাড়াতাড়ি নাগরদোলায় ওঠার সুযোগ পেয়ে যায়।

20230205_173732.jpg

20230205_173735.jpg

নাগরদোলায় ৫ মিনিট ঘুরপাক খাওয়ার পর আমাদের সামনে সবকিছুই ঘুরছিল এমনটা মনে হচ্ছিল। আমি এবং আমার বন্ধু দুজনে অনেক হাসাহাসি, চিৎকার করেছিলাম নাগরদোলায় চড়ার সময়। কিছু সময় পর আমরা মেলার সেই অংশ থেকে গেছিলাম একটু খাবারে সেকশনে। বিভিন্ন রকমের খাবার আমরা দেখতে পেয়েছিলাম মেলায় গিয়ে। আমরা এই মেলায় গিয়ে ফুসকার স্টল থেকে ফুচকাও খেয়েছিলাম। মেলাতে ফুচকার একটু বেশি দাম। অন্যান্য জায়গায় ১০ টাকায় ছয়টি থেকে আটটি পর্যন্ত দিয়ে থাকে কিন্তু এই মেলায় গিয়ে ১০ টাকায় আমাদের তিনটি ফুচকা খেতে হয়েছিল। আমরা প্রত্যেকে কুড়ি টাকার করে খেয়েছিলাম ফুচকা। মেলার ফুচকা আমার খুব একটা ভালো লাগেনি খেয়ে । ফুচকা খাওয়ার পরে আমি ও আমার বন্ধু নতুন একটি খাবারের দেখা পাই । খাবারটি মাইকে অ্যাকাউন্স করে করে বলছিল। খাবারটির নাম হল "মথুরার কেক"। এটি সম্পূর্ণ একটি নিরামিষ খাবার ছিল। এই কেক তৈরি করতে কোন ডিম ব্যবহার করা হয় না। শুধুমাত্র ময়দা, চিনি, কাজু, কিসমিস এবং অন্যান্য শুকনো ফ্রুট ব্যবহার করা হয় এই কেক তৈরি করতে ।

20230205_175842.jpg

20230205_175837.jpg

কেক তৈরির উপকরণ গুলোর নাম মাইকে যখন এনাউন্স করে বলছিল আমি সেখান থেকেই শুনেছিলাম। আমরা সেখানে গিয়ে প্রত্যেকে একটি করে ছোট কেক খেয়েছিলাম। এই কেক খেতে সত্যিই আমাদের খুব ভালো লেগেছিল। এটি পুরোপুরিভাবে আমার কাছে এবং আমার বন্ধুর কাছে নতুন ছিল । এই ধরনের কেক আমাদের এখানে সাধারণত পাওয়া যায় না । এই মেলায় গিয়েই এই কেক খাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। কেক খাওয়া শেষ করে আমরা গেছিলাম "টয়" সেকশনের দিকে। আমাদের কেনারও উদ্দেশ্য ছিল এই টয় কারণ এটা বাচ্চাদের গিফটের জন্য খুব ভালো একটা জিনিস। তবে এগুলোর দাম দেখে মাথায় হাত পরল আমার। অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানের টয় গুলোর দাম অনেকটাই বেশি ছিল। সেই জন্য আমি কিনি নি আর এখান থেকে। সেগুলো দেখেও কোয়ালিটির দিক থেকে খুব একটা ভালো মনে হচ্ছিল না। মেলায় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি।

20230205_174251.jpg

20230205_173858.jpg

ক্যামেরা: স্যামসাং

মডেল: SM-M317F

ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: চৌমাথা ,মধ্যমগ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 2 years ago 

খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। নাগরদোলায় ওঠার জন্য ৬০ টাকা করে টিকিট কেটেছেন জেনে ভালো লাগলো । আসলে নাগরদোলায় উঠার অনুভূতি খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। মেলাতে কাটানো মুহূর্তগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই নাগরদোলায় ওঠার অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম ছিল। আমার যদিও আগে নাগরদোলায় উঠতে খুবই ভয় করত কিন্তু এখন আর করেনা।

 2 years ago 

রাজশাহী পার্কে নাগরদোলায় উঠে আমারও ঠিক এমনটাই মনে হয়েছিল। মনে হচ্ছিল যেন আমি আর আমি নেই ঘুরছি আমার জগত ঘুরছে। তবে যাই হোক আপনি এবার থেকে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আর বিস্তারিত বর্ণনা আলোচনা আমার পড়তে ভালো লাগলো

 2 years ago 

জগৎ ঘোরার অনুভূতি পাওয়া যায় নাগরদোলার থেকে নামার পর।

 2 years ago 

দাদা নমস্কার
যদিও আমি প্রথম পর্ব টি পড়ি নি তারপরেও আপনার দ্বিতীয় পর্ব তে দেখছি অনেককিছু দেখলাম ৷ তবে দাদা একটা জিনিস ভালো ভাবেই বুঝলাম ৷ যে ভারত বর্ষ মানেই মেলা আর মেলা ৷ আপনি অনেক আনন্দ করেছেন ৷নাগরদোলায় উঠেছেন ৷ তবে সত্যি বলতে আমি তো নাগরদোলায় উঠতেই পারি না ৷
যা হোক ভালো লাগলো দাদা আলোকচিত্র গুলো দেখে ৷

 2 years ago 

প্রথম প্রথম আমিও নাগরদোলায় উঠতে ভয় পেতাম কিন্তু অনেক পরে গিয়ে এই ভয় কেটে গেছে। এখন নাগরদোলায় উঠতে আর ভয় করে না।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 63047.55
ETH 2690.45
USDT 1.00
SBD 2.54