ভিডিওগ্রাফি || মায়াপুর গিয়ে হাতি দেখা
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করব। এই ভিডিওগ্রাফিতে মূলত তোমরা দুটি হাতি দেখতে পাবে।
বেশ কিছুদিন আগে মায়াপুরে গিয়ে এই ভিডিওগ্রাফিটি আমি ধারণ করেছিলাম। আমাদের এই ওয়েস্ট বেঙ্গলের মায়াপুরে পৃথিবীর সব থেকে বড় মন্দির অবস্থিত। এটি ইসকনের দ্বারা নির্মিত একটি মন্দির। তবে শুধু এখানে একটি মন্দির না, বেশ কয়েকটি মন্দিরই রয়েছে এবং বিভিন্ন নামে তা পরিচিত। মায়াপুর কিন্তু আমাদের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত। কিছু দিন আগে আমি আমার পরিবারের সাথে সেখানে ঘুরতে গেছিলাম। এইখানে সারাদিন ঘোরাঘুরির পরে বিকেলের একটা সময়ে আমরা দেখতে পাই, এইখানের একটি মন্দিরের পাশের জায়গায় দুটি হাতিকে বের করা হয়েছিল সাজানোর জন্য। মূলত এই হাতি দুটিকে সাজিয়ে, সন্ধ্যায় শত শত মানুষ সহ কীর্তন করতে করতে র্যালি আয়োজনের কথা ছিল।
যাইহোক, হাতি দুটিকে মোটামুটি বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় বের করা হয়েছিল। এই হাতি দুটিকে বের করার পরে মানুষের কৌতুহল অনেক বেড়ে যায় এবং শত শত মানুষ এসে সেখানে জমা হয়ে যায়। এই হাতিগুলোকে মানুষ খুশি হয়ে টাকাও দিচ্ছিল। যদিও জোর করে টাকা আদায় করার কোন ব্যাপার ছিল না। স্ব -ইচ্ছায় যে যা দিচ্ছিল তাই গ্রহণ করছিল এরা। যদিও হাতি দুটির পিঠে দুই জন মানুষ বসে এইসব কন্ট্রোল করছিল। এই হাতিগুলো দেখে কেউ ভয় পাচ্ছিল সেরকম ব্যাপার ছিল না বরং মানুষ অনেকটা হাতির কাছেই চলে যাচ্ছিল । সন্ধ্যার সময় কৃষ্ণ নামের কীর্তন করতে করতে একটা র্যালিরও দেখা পাওয়া যায়। যা তোমরা ভিডিওগ্রাফিটির শেষের অংশটাতে দেখতে পাবে। এগুলো দেখতে আমার কাছে তো প্রচন্ডই ভালো লাগছিল তখন। কয়েকটি অংশে করা ছিল এই ভিডিওটি। পরে সবগুলো অংশ একসাথে করে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করেছি ।
ভিডিওটি দেখতে নিচে ক্লিক করুন...
◾▪️◾পোস্ট বিবরণ◾▪️◾
শ্রেণী | ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ভিডিওগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | মায়াপুর , ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
মায়াপুর গিয়ে হাতি দেখা বাহ্ দারুন। মায়াপুর জায়গাটার নাম অনেক সুন্দর। ছোট বেলায় এভাবে যখন হাতি টাকা নিতো দেখতাম ভীষণ ভালো লাগলো। এখন আর আগের মতো তেমন দেখা যায় না। অনেক দিন পরে হাতির টাকা তোলার ভিডিও দেখে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ভাই, হাতির দ্বারা টাকা তোলা হচ্ছিল এমন ব্যাপার ছিল না যদিও, ওই টাকা গুলো খুশি হয়েই সবাই দিচ্ছিল।
আমার কাছে হাতি দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। আর দাদা আপনার হাতির ভিডিওগ্রাফি দেখে তো আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মায়াপুর হতে বেশ সুন্দর করেই হাতির ভিডিওগ্রাফি করেছেন দেখছি। ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর করে আমাদের মাঝে হাতির ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা হাতির এই ভিডিওগ্রাফি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গেছেন জেনে খুশি হলাম আপু।
এখন মাঝে মাঝে রাস্তায় হাতি দেখা যায়। তবে আমার কিন্তু বেশ ভয় লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই ভিডিওগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। দারুন হয়েছে আপনার পোস্ট।
আপু, সত্যি কথা বলতে রাস্তার মাঝে এই রকম হাতি দেখলে আমারও খুব ভয় করে।
আমাদের এখানে অনেকগুলো মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে। ছোট্টবেলায় দেখতাম এভাবে রাস্তা দিয়ে হাতি যেত। যেটা দৌড়ে গিয়ে দেখার জন্য অপেক্ষা করতাম। আপনার সেই ভিডিওগ্রাফি দেখে মনে পড়ে গেল। অনেক বড় হাতি অনেক লোক একসঙ্গে দেখছে খুব ভালো একটা মুহূর্ত ছিল।
ছোটবেলায় রাস্তা দিয়ে হাতি যেতে দেখলে আমিও আপনার মত দৌড়ে গিয়ে দেখতাম । হ্যাঁ ভাই, ভিডিওগ্রাফির হাতি দুটি অনেক বড়ই ছিল।
হাতির দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই হাতিগুলো অনেক পোষা, যার কারণে হাতিগুলোকে দেখে কেউ ভয় পায়নি। হাতিগুলোকে আরো টাকা দিয়েছে। আপনার হাতের এই ভিডিওটি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আশা করছি সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন। আর ভিডিওটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বিষয়টা একদম ঠিক ধরেছেন ভাই । যাইহোক, আমার শেয়ার করা ভিডিওগ্রাফিতে হাতির দৃশ্য গুলো দেখে আপনার অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।
https://twitter.com/ronggin0/status/1757759969016058288?t=miq_2x6xQx9ZBN_JgKkU2A&s=19