এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি।

দমদম এয়ারপোর্ট আমাদের বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নয়। এই এয়ারপোর্টকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বলা হয়। এইবার দমদম এয়ারপোর্টে গেছিলাম ঠাকুমাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য। ঠাকুমার ভাই অর্থাৎ আমার এক দাদু উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে থাকে, সে আমাদের কলকাতাতে এসেছিল ঠাকুমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার সেই দাদু দুই দিনের ভ্রমণে এসেছিল । দাদুর প্লান এরকম ছিল দুই দিন শেষ হওয়ার পরে বিমানে করে ঠাকুমাকে নিয়ে যাবে উত্তরপ্রদেশে দাদুদের বাড়িতে। সেই জন্য দাদু বিমানের টিকিট আগে থেকেই কেটে রেখেছিল। যাই হোক যেদিন দমদম এয়ারপোর্টে গেছিলাম সেদিন অনেকটা সকালেই বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছিল। কাকুর গাড়িতে করে কাকু, আমি , ঠাকুমা আর দাদু এই চারজনে পৌঁছে যাই দমদম এয়ারপোর্টে সকাল সকালই ।

20230808_092659.jpg

20230808_092702.jpg

বিমান ছাড়ার কয়েক ঘন্টা আগে আমাদের এই বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হয়েছিল । বিমান ছাড়ার টাইম ছিল সকাল ১১ঃ৪৫ এ আর আমরা সেখানে পৌঁছে যাই আটটার দিকে। সেখানে গিয়ে প্রথমে আমাদের বোর্ডিং পাস নিতে হয়। ঠাকুমা এবং দাদু সাথে করে যা নিয়ে যাচ্ছিল তার ওজন মেপে নেওয়া হয় এয়ারপোর্ট এর মধ্যে প্রবেশ করার পূর্বে , প্রধান গেটের সামনে থেকে। বিমানে চলাচলের সময় অতিরিক্ত পরিমাণ ওয়েট ক্যারি করার কোন অনুমতি নেই। সেটা করতে হলে আলাদা টাকা পে করতে হয়। যাইহোক সেখানে আমরা তাড়াতাড়ি পৌঁছে গিয়ে ঠাকুমা এবং দাদুর ডকুমেন্টস গুলো ভেরিফাই করাই । সেইখানে যাওয়ার পর কেমন জানি ব্যস্ততা তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যায়। আমরা ভেবেছিলাম আগে আগে এয়ারপোর্টে গেলে কিছু সময় ঠাকুমা এবং দাদুর সাথে টাইম পাব কথা বলার জন্য কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর উল্টো ঘটনা ঘটে। ।

20230808_092654.jpg

20230808_092656.jpg

আমার ঠাকুমা আমাদের ছেড়ে যাচ্ছিল সেইজন্য তার মনও প্রচন্ড খারাপ ছিল । আমার এই দাদু সবসময় আমাদের এখানে আসেও না, মাঝে মাঝেই আসে। এই অনেকদিন পরেই দাদুর সাথে দেখা হয়েছিল। দু'জনকে একসাথে বিদায় দিতে অনেকটা কষ্ট হচ্ছিল আমার তারপরও বিদায় দিতে হয়েছিল । বিদায় দেওয়ার আগে এয়ারপোর্টের কয়েকটা অংশে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম তাদের। দাদু এবং ঠাকুমাকে বিদায় দিয়ে তাদের যতক্ষন দেখাচ্ছে যাচ্ছিল আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম । এয়ারপোর্ট গিয়ে ভেবেছিলাম আমরা বাইরে গাড়ি নিয়ে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর আমরা যে গাড়িতে করে গেছিলাম সেখানে বেশি সময় দাঁড়াতে দিচ্ছিল না । এই জন্য আমরা আমাদের গাড়ির ড্রাইভারকেও চলে যেতে বলি ।

20230808_092711.jpg

20230808_092718.jpg

অন্যদিকে ঠাকুরমা আর দাদু চলে যাওয়ার পরে আমাদের আর কোন কাজ ছিল না এয়ারপোর্টে । তাই আমাদের ওইখানে বেশি সময় আর দাঁড়িয়ে থাকার কারণ ছিল না। এইদিকে অলরেডি আমরা আমাদের গাড়ির ড্রাইভারকে বাড়ি চলে যেতে বলে দিয়েছিলাম সেই জন্য আমাদের সেখান থেকে বাড়ি ফেরার জন্য কোন গাড়ির ব্যবস্থা ছিল না। এয়ারপোর্টের এই এলাকা আমাদের হেঁটেই পার করতে হয়েছিল। তারপর আমি আর আমার কাকু নির্দিষ্ট গাড়ির স্ট্যান্ডে আসি এবং সেখান থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে পুনরায় বাড়িতে ফিরি সেদিন।

20230808_092805.jpg

20230808_091805.jpg



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: দমদম এয়ারপোর্ট , ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

নিজের প্রিয়জন দূরে চলে যাওয়ার মূহূর্তটা একটু বেশি বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। এই সময়ে মন খারাপ হওয়া টা স্বাভাবিক। আপনাদের দমদম এয়ারপোর্ট এর অন্য নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র এয়ারপোর্ট এটা আমার আগে জানা ছিল না। এয়ারপোর্ট প্রাঙ্গন টা বেশ সুন্দর দেখছি। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে আপনার পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। হ্যাঁ ভাই , এই এয়ারপোর্ট প্রাঙ্গণটা অনেক সুন্দর ছিল।

 11 months ago 

ভাই বিদায়ের মুহূর্তটা আসলেই খুব কষ্টের। তবুও উনারা দুইজন তো ভারতের এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যাচ্ছেন। এতে করে আপনাদের কতো কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু যারা নিজের পরিবার ছেড়ে বিদেশ চলে যায় বছরের পর বছর থাকার জন্য, তাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়। তারা বুকে পাথর চাপা দিয়ে প্রিয় জন্মভূমি এবং পরিবার পরিজন ছেড়ে চলে যায়। যাইহোক এয়ারপোর্টে গিয়ে বিদায় দেওয়ার মুহূর্তটা আমার মনে হয় অনেক বেশি কষ্টের। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

সেটা তো অবশ্যই ভাই, বিদায় এর মুহূর্তটা অনেক কষ্টেরই হয়। আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59493.68
ETH 2649.33
USDT 1.00
SBD 2.45