দ্বীপ প্রাঙ্গণে "বাঁশের আর্তনাদ"
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও অনেক ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে আমি স্বাগতম জানাচ্ছি। আজকের ব্লগে আমি আমার ঘুরে দেখা কলকাতার বাইরের একটি পুজো প্যান্ডেল থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । আমি সোদপুর নামক একটি জায়গায় পুজো প্যান্ডেল দেখতে গিয়ে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।
শুভ নবমীর সন্ধ্যাবেলায় আমি গেছিলাম এই সোদপুরে। সোদপুর স্টেশন এর কাছে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে কিছুদূর হেঁটে প্রথমেই যে প্যান্ডেলটিতে গেছিলাম সেটি হল দ্বীপ প্রাঙ্গণের এই প্যান্ডেলটিতে। আমি ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিওতে এই প্যান্ডেলটি দেখেছিলাম । ইউটিউবে এই প্যান্ডেলের ভিডিও দেখে এত সুন্দর লেগেছিল যার ফলে নবমীর সন্ধ্যা বেলায় আমি ছুটে গেছিলাম সোদপুরে এই প্যান্ডেলটি দেখার জন্য। নিচে এই প্যান্ডেল থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি এবং এই প্যান্ডেল সম্পর্কে কিছু বর্ণনা শেয়ার করলাম।
⚜️ ⚜️ দ্বীপ প্রাঙ্গণের দুর্গোৎসব প্যান্ডেল ⚜️ ⚜️
দীপ প্রাঙ্গণে ক্লাবটি এই বছর দুর্গোৎসব উদযাপনের ৭৩ তম বছর পালন করল। এটি সোদপুরের ২নং দেশবন্ধু নগরে অবস্থিত। আমি প্রায় পাঁচ বছর পর এই স্থানটিতে পুনরায় পুজো প্যান্ডেল দেখার জন্য গেছিলাম। কলকাতা এবং বাড়ির আশেপাশে পুজো দেখতে দেখতে এতটা সময় চলে যায় অন্য কোথাও গিয়ে পুজো প্যান্ডেল গুলো দেখা হয় না অন্যান্য বছর কিন্তু এই বছর বাড়ির আশেপাশে এবং কলকাতার অনেক পুজো প্যান্ডেল দেখার পরেও সোদপুরের এই জায়গায় গেছিলাম।
এই বছর "দ্বীপ প্রাঙ্গণে" এই ক্লাবের থিম ছিল বাঁশের আর্তনাদ । তারা তাদের এই থিমের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছিল দিন দিন বাঁশের ব্যবহার কমে যাওয়ায় বাঁশের উপর নির্ভর করে যেসব মানুষেরা জীবিকা নির্বাহ করত তাদের জীবন যাপন করা দুষ্কর হয়ে পড়ছে দিনে দিনে। বাঁশের তৈরি জিনিসের বিকল্প বাজারে অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে এজন্য বাঁশের ব্যবহার কমে যাচ্ছে দিন দিন। এই জন্যই বাঁশ আর্তনাদ করছে তাদের ব্যবহারটাকে পুনরায় মানুষের মাঝে নিয়ে আসার জন্য এটিই ছিল এই প্যান্ডেলের থিমের মূল উদ্দেশ্য। প্যান্ডেলটিকে বাঁশ ,কাঠ এবং লাইটিং এর সাহায্যে এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল যা সবার নজর কেড়ে নিয়েছিল। আমার খুবই ভালো লেগেছিল এই প্যান্ডেলটিতে গিয়ে। অসাধারণ ভাবে প্যান্ডেলটি তৈরি করেছিল এই প্যান্ডেলের শিল্পীরা। বাঁশ দিয়ে এত সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায় এখানের শিল্পীরা তা বুঝিয়ে দিয়েছিল এবং আমাদের বাঁশের ব্যবহারে পুনরায় ফিরে আসা উচিত এমন একটি ইঙ্গিত প্রদান করেছিল তাদের এই প্যান্ডেল সাজানোর মাধ্যমে। আমার শেয়ার করা ফটোগুলো দেখলেই বুঝতে পারবে কত সুন্দর করে তারা এই প্যান্ডেলটি সাজিয়ে ছিল ।
স্থান: ২নং দেশবন্ধু রোড, সোদপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
থিম: বাঁশের আর্তনাদ
ফটো তোলার তারিখ: ০৪/১০/২০২২
সময়: সন্ধ্যা সাতটা
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: ২নং দেশবন্ধু রোড, সোদপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
ফটো তোলার তারিখ: ০৪/১০/২০২২
সময়: সন্ধ্যা সাতটা।
স্থান: ২নং দেশবন্ধু রোড, সোদপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
ফটো তোলার তারিখ: ০৪/১০/২০২২
সময়: সন্ধ্যা সাতটা।
বাঁশ এবং বাঁশের তৈরি জিনিস দিয়ে প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে। বাঁশের তৈরি জিনিসে লাইটিং এর ব্যাবহার দেখতে সত্যি অসাধারণ লাগছে।
আজকের শেয়ার করা দ্বীপ প্রাঙ্গণের পুজো প্যান্ডেল থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি তোমাদের কেমন লাগলো জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
এই পুজো কমিটি আসলেই ইউনিক এবং সুন্দর একটি বার্তাযুক্ত থিম শেয়ার করেছে।আমাদের কুটির শীল্প দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে,যা আমাদের ঐতিহ্য ও বটে।এই শীল্পের সাথে যুক্ত লোকজন বাধ্য হচ্ছে পেশা পরিবর্তন করতে।এভাবে চলতে থাকলে একদিন হারিয়ে যাবে এই শীল্প।লোকজন কে সচেতন করার এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাই।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি আইডিয়া ও থিম আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে।
খুবই গুছিয়ে কথাগুলো বলেছ ভাই পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমাদের কুটির শিল্প দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে । বিলুপ্তির হাত থেকে কুটির শিল্পকে রক্ষা করার জন্য মানুষকে সচেতন করা দরকার । এই পুজোর থিম এবার সেই কাজটি করেছিল।
দ্বীপ প্রাঙ্গণে "বাঁশের আর্তনাদ" থিম করেছিল। যদিও এই পূজা প্যান্ডেল আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং দাদা যে কম্পিটিশন এর আয়োজন করেছিল সেখানে আমি এই পূজা প্যান্ডেল তুলে ধরেছিলাম এবং তার স্বতঃস্ফূর্ত বর্ণনাও করেছিলাম। আমাদের সমাজ থেকে যে বাঁশের ব্যবহার দিন দিন প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে সেটা এই থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছিল। তোমার উপস্থাপনাও অনেক সুন্দর ছিল।
হ্যাঁ আমি আপনার সেই পোস্টটি দেখেছি। আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এই প্যান্ডেল থেকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন, সেই সাথে এই প্যান্ডেল নিয়ে দারুন বর্ণনা দিয়েছিলেন ।