এলোমেলোভাবে তোলা কয়েকটি ফটোগ্রাফি || ৭ জুলাই ২০২৩
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও মোটামুটি ভাল আছি। |
---|
প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এখন প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একটি করে ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট শেয়ার করার। যাই হোক এখন আর কথা না বাড়িয়ে এক এক করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।
ফটোগ্রাফি -০১
স্থান : শিয়ালদহ স্টেশন, কলকাতা।
ফটোগ্রাফিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি ক্লক টাওয়ার। এই ফটোগ্রাফিটি আমি শিয়ালদা স্টেশনের সামনের একটি জায়গা থেকে তুলেছিলাম। আমাদের কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় আমি এই ধরনের ক্লক টাওয়ার দেখেছি। বেশ সুন্দর লাগে এগুলো আমার কাছে। শহরবাসীরা চলাচলের পথে খুব সহজেই এই ক্লক টাওয়ারগুলো থেকে টাইম দেখতে পারে। কিছুদিন আগে চায়না টাউন নামক একটি জায়গা থেকে ফিরছিলাম। ফেরার পথে বাসে করে শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে নামার পরে সামনেই এই টাওয়ারটি আমি দেখতে পাই। শিয়ালদা স্টেশনে চলাচলের পথে অনেকবারই দেখেছি এই ক্লক টাওয়ার তবে আগে কখনো ফটোগ্রাফি করা হয়নি। তবে সেই দিন একটি ফটোগ্রাফি করে নিয়ে এসেছিলাম যা আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ফটোগ্রাফি -০২
বিকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে এই ফটোগ্রাফিটিতে। এই ফটোগ্রাফিটি আমি বাংলাদেশ ভ্রমণে গিয়ে তুলেছিলাম। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ ভ্রমণে গিয়ে আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। অনেকটা সময় আমি গ্রামেও ঘুরে ছিলাম। নড়াইল জেলার অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রামে আমার এক পরিচিত লোকের সাথে গেছিলাম ঘোরাঘুরি করার জন্য। সেই গ্রামে ঘুরতে গিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটি ছোট ব্রিজের উপরে এসে এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখে পড়ে। তখনই ফটোগ্রাফিটি তুলেছিলাম।
ফটোগ্রাফি -০৩
এই ফটোগ্রাফিটি আমি দমদম স্টেশনের ওভারব্রিজের উপর থেকে তুলেছিলাম। বেশ কিছুদিন আগে ব্যারাকপুর গেছিলাম দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে । ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে আমি দমদম হয়ে সেই দিন রাতে বাড়ি এসেছিলাম । ব্যারাকপুর থেকে দমদম স্টেশনে নামার পরে দমদম থেকে পুনরায় ট্রেন ধরে আমাকে বারাসাত আসতে হয়। দমদম স্টেশনে আমি বারাসাতগামী ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম ওভারব্রিজের উপর । তখন এই রাতের সৌন্দর্যটি ক্যাপচার করেছিলাম দমদম স্টেশন থেকে।
ফটোগ্রাফি -০৪
স্থান : বারাসাত, নর্থ ২৪ পরগনা।
ক্লক টাওয়ার টা দেখে আমি ভেবেছিলাম এটা কোন বাহিরের দেশের কোন স্থানের ফটোগ্রাফি। যাই হোক তারপর দেখলাম আপনাদের কলকাতায় এটি। ক্লক টাওয়ারের পাশের সাইনবোর্ডে দুজন অভিনেতা অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে মনে হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের অভিনেতা অভিনেত্রী।😄
আপু কোন বাইরের দেশের না। আমাদের কলকাতাতেই এরকম ক্লক টাওয়ার অনেক রয়েছে। কলকাতার রাস্তায় চলার পথে কিছু কিছু জায়গায় দেখেছি আমি।
ভাইয়া খুব ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।এমন ক্লক টাওয়ার দেখতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে।আর আপনিও কি বাংলাদেশে এসেছিলেন?? আমি জানি শুধু আপনার ভাইয়া এসেছিল।যাই হোক প্রকৃতি, ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো বেশ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ, আপু। আমার দাদার সাথে আমিও তখন গেছিলাম। যাই হোক আমার শেয়ার করা ফটোগুলোর প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার তোলা এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে ভাই। কোথাও গেলে আমিও ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি সবসময়। প্রথম ফটোগ্রাফি এবং নড়াইলে তোলা ফটোগ্রাফি দুটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। তবে ফটোগ্রাফি পোস্টে চেষ্টা করবেন ভাই সাতটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য।
প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে জংলি টগর এবং শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে ক্লক টাওয়ারের ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এত সুন্দর গুছিয়ে আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজ আপনি খুব দুর্দান্ত কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে যখনই ভালো লাগে তখনই মোবাইলে ফটোগ্রাফি ক্যামেরা বন্দী করে থাকি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। টগর ফুল ফটোগ্রাফি অনেক দুর্দান্ত হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনারও ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে সেটা তো বেশ ভালো ব্যাপার ভাই। যাই হোক আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।