কলকাতায় কিছু খাওয়া দাওয়ার উদ্দেশ্যে
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও খুব ভালো আছি। |
---|
প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই। অনেকদিন পর তোমাদের সামনে একটি জেনারেল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। এতদিন বাইরে ঘোরাঘুরি করতে যাওয়ার জন্য জেনারেল পোস্টগুলো লিখতে পারছিলাম না। বর্তমানে আমি আমার বাড়িতে চলে এসেছি এই জন্য জেনারেল পোস্ট লিখতে আর কোন কষ্ট হচ্ছে না। আজকের ব্লগে কলকাতায় খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে বন্ধুদের সাথে গেছিলাম তাই নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব। কয়েক মাস আগের কথা হবে আমরা বন্ধুরা মিলে প্ল্যান করি কলকাতায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার টেস্ট করে আসবো। এই কাজগুলো আমরা মাঝে মাঝেই করে থাকি সাধারণত। এই প্লান হওয়ার পর আমার এক বন্ধু আমাদের জানায় শিয়ালদহ স্টেশনে নামার পর সেখান থেকে কিছুদূর হেঁটে গেলে ভালো একটি চপের দোকান রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের চপ পাওয়া যায় যা খুবই ফেমাস। আমরা তার কথা শুনে এবং সেই ভাবে প্লান করেই সকালের দিকে বেরিয়ে পড়ি বাড়ি থেকে। আমাদের সেখানে পৌঁছাতে মোটামুটি সকাল ১১ টা বেজে গেছিল। সেখানে পৌঁছানোর পর দেখি তারা গরম গরম চপ ভাজা করছে এবং সেখান থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের চপ খেয়েছিলাম। বেশ ভালই লেগেছিল সব গুলো চপ। চপ খাওয়ার পরে আমরা কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় একটু ঘুরে দেখেছিলাম পায়ে হেঁটে বন্ধুরা মিলে।
এক দুই ঘন্টা একটু ঘোরাঘুরি করার পর আমরা একটি হোটেল থেকে কিছু ভাত খেয়ে নিয়েছিলাম সবাই মিলে। ভাতের হোটেলে গিয়ে আমাদের এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমরা সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম আমরা নিরামিষ থালি নিয়ে খাব যেটার দাম তুলনামূলক কম ছিল এবং সেই দোকান থেকে আমরা নিরামিষ খেয়ে অনেকটাই নিরামিষের ভক্ত হয়ে গেছিলাম। যাইহোক খাবারগুলো খুবই টেস্টি ছিল। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া কমপ্লিট করে আমরা কিছু সময় রেস্ট করি একটি বড় গাছের নিচে বসে। তারপর পুনরায় কিছু জায়গায় একটু ঘোরাঘুরি করে শিয়ালদহ স্টেশনের নিকটে একটি মিষ্টির দোকান থেকে বিকালের দিকে আমরা মিষ্টি খেয়ে বাড়িতে ফিরি। এভাবে সেদিন কলকাতায় খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের চপ, ভাত, মিষ্টি সবকিছু খেয়ে বেশি ইনজয় করেই বাড়ি ফিরেছিলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | শিয়ালদহ, রাজা বাজার, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল |
চপের আলাদা দোকান হয় তা আজকে দেখলাম। আপনারা বন্ধুরা মিলে কলকাতা গিয়ে ভাল কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভাতের হোটেলে গিয়ে নিরামিষ এর ভক্ত হয়ে গেলেন শুনে ভাল লাগল। চপ এবং ভাতের থালি দেখে ক্ষিধে লেগে গেল। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এইখানে চপের জন্য আলাদা আলাদা করেই দোকান হয় ভাই। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে আপনার মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বন্ধুরা মিলে কলকাতায় কিছু খাওয়ার টেস্ট করেছেন। তবে ভালো মানের চপের দোকান আছে শুনে আমারও খেতে অনেক ইচ্ছে করতেছে চপগুলো। তারপর হোটেলে গিয়ে নিরামিষ দুপুরের খাবার খেলেন। আসলে মাঝেমধ্যে সবাই এভাবে ঘুরতে গেলে অনেক ভালোই হয়। সবকিছুর পর একটা অভিজ্ঞতা হয়। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সাথে এমন ঘুরতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ ভালই লাগে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
কলকাতা বন্ধুদের নিয়ে খুব মজার মজার খাবার খেয়েছেন। যেহেতু এক জায়গায় গিয়ে অনেক ধরনের চপ খেয়েছেন। তবে চপ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এবং বন্ধুরা মিলে হোটেলে গিয়ে নিরামিষ খাবার খেয়েছেন। এভাবে সত্যি সবাই একসাথে কোথাও ঘুরতে গেলে এবং খেতে গেলে অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর করে নিজের অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
চপ খেতে আমাদের সবার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে আলাদা কোন দোকান নেই সবকিছু একসাথে তৈরি করা হয়। তবে যাই হোক কলকাতার এমন সুন্দর দৃশ্য আজ আপনি আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে উপস্থাপন করেছেন দেখি আমি মুগ্ধ হলাম। উপস্থাপনা ছিল সেই রকম অসাধারণ তাই বেশি ভালো লেগেছে আমার।
ভাই আমাদের এইখানে চপের জন্য আলাদা আলাদা এমন দোকান রয়েছে এবং কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এরকম দেখা যায়। আমার শেয়ার করা ব্লগ টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ।