টুকটাক খাওয়া দাওয়ার উদ্দেশ্যে
বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। |
---|
বেশ কিছুদিন ধরে তো জ্বরের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি, দুই দিন হল জ্বর ঠিক হয়েছে। তারপর থেকেই একটু ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা হয়েছে আর কি। গতকাল সন্ধ্যার দিকে আমার এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা হচ্ছিল, সে মধ্যমগ্রামে থাকে। সে আমার জ্বর ঠিক হয়েছে জানার পর আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে বললো এবং বাইরে গিয়ে হালকা পাতলা কিছু খাবার খাবে এরকম কিছুই জানালো। আমিও বেশ কয়েকদিন বাড়ি থেকে বের না হওয়ার কারণে তার প্লানের সাথে সাথে রাজি হয়ে যায় । সন্ধ্যার দিকে তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ি আমি। মধ্যমগ্রামে যাওয়ার পর সেই বন্ধুর সাথে দেখা হয় ।দেখা হওয়ার পরে বন্ধু আমায় জানায় আমরা কোন রেস্টুরেন্টে থেকে হালকা পাতলা কিছু খাবার খাব । মধ্যমগ্রামের অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট থেকে আমরা খাবার কোন কোন সময় টেস্ট করেছি তাই সিদ্ধান্ত হয় অন্য কোথাও যাবো।
নতুন কিছু খাবার টেস্ট করা যাবে, আমার বন্ধুর কাছে এরকম জায়গার সন্ধান চাইলাম আমি। আমার বন্ধু জানায় নিউ ব্যারাকপুরে এরকম একটি জায়গা রয়েছে যেখানে আমি আগে কোনদিনও গিয়ে খাইনি সেখান থেকে খাবার টেস্ট করা যেতে পারে । সেখানে বেশ কম দামে ভালো খাবার পাওয়া যায় এমনটাও সে বলল আমায় । কুড়ি মিনিট পরে আমাদের ট্রেন চলে আসে। ট্রেন আসার পর আমরা ট্রেনে উঠে পড়ি। মধ্যমগ্রামের পরের স্টেশনে ছিল নিউ ব্যারাকপুর স্টেশন । সেখানে আমরা নেমে যাই । তারপর আমি বন্ধুকে জিজ্ঞেস করি, আর কতদূর যেতে হবে ? বন্ধু বলে, এখনও পায়ে হেঁটে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট গেলেই আমরা সেখানে পৌঁছে যাব। তারপর হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম আমাদের কাঙ্খিত সেই অর্পণ পিজ্জা পয়েন্টে। গিয়ে দেখি রেস্টুরেন্টের ভেতরের কোন ভিড় নাই। রেস্টুরেন্টটি একটু ভেতরের দিকে ছিল এই জন্যই ভিড় দেখা যাচ্ছিল না। তারপর আমি ও আমার বন্ধু বসে পড়লাম ভিতরে ঢুকেই । আমরা সেখানে গিয়ে খাবারের মেনু গুলো দেখলাম তারপর দুটি খাবারের আইটেম করলাম একটি ছিল ভেজ চিজ স্যান্ডউইচ এবং অন্যটি ছিল ফ্রাইড চিকেন ।
আমরা দুজন বন্ধু সেখানে বসে গল্প শুরু করলাম অর্ডার করার পরে। আমাদের খাবারের অর্ডার নেয়ার পর তারা জানালো তাদের খাবার দিতে একটু লেট হবে কারণ তাদের যে কারিগর ছিল রান্না করার সে তখনও সেখানে পৌঁছতে পারেনি। দুই বন্ধু মিলে গল্প করতে করতে বন্ধু আমাকে আমার কয়দিন আগে হওয়া জ্বর সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করে, কিভাবে হলো হঠাৎ করে জ্বর? তারপর আমি তাকে বললাম, কয়েকদিন আগে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে হয়েছে কিনা বলতে পারেনা। আমিও শিওর করে তাকে কিছু বলতে পারলাম না। তারপর আমিও বন্ধুকে সাবধান থাকার পরামর্শ জানাই। কিছু সময় পর রেস্টুরেন্টে সেই রান্নার কারিগর আসে এবং একটু বাদে আমাদের খাবার চলে আসে আমাদের টেবিলে। সেখানে খাবার খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল আমাদের। সেখানে ৩০ মিনিটের মতো সময় ছিলাম একসাথে। দুই বন্ধু আড্ডা গল্প শেষ করে তারপর সেখান থেকে আমরা পাশের একটি মাঠে হাটার জন্য যাই। বেশ কিছুদিন পর বন্ধুর সাথে সময় কাটিয়ে বেশ ভালই লেগেছিল আমার। আমার জ্বর ঠিক হয়ে গেল সামান্য কাশি ছিল । বাইরে সন্ধ্যার সময় হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা কাশির প্রভাব দেখা যায়। তখন আমার বন্ধু আমাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তারপর পুনরায় দুই বন্ধু হেঁটে নিউ ব্যারাকপুর স্টেশনে আসি। সেখান থেকে ট্রেনে উঠে আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।
আবার এখন ওয়েদার চেঞ্জ হবে এখন মানুষ আবার অসুস্থ হবে তাই আসলেই সাবধানে থাকা উচিত, নতুন খাবার টেস্ট করার জন্য ট্রেনে করে অন্য একটা এলাকায় গিয়েছেন বুঝা গেল আপনারা ভোজন রসিক মানুষ, চমৎকার ছিল বন্ধুর সাথে টুকটাক খাওয়া দাওয়ার এবং ঘুরে আসার গল্পটি।
হ্যাঁ ভাই তা বলতে পারেন আমরা একটু ভোজন রসিক । ওয়েদার চেঞ্জ এর কারণে সবাই অসুস্থ হচ্ছে । যারা সাবধান থাকছে তারাও অসুস্থ হচ্ছে ভাই। তারপরেও আমাদের সবাইকে সবসময় সাবধানে থাকতে হবে।
এখনকার জ্বরগুলো বেশ ভোগাচ্ছে সবাইকে। যাক এখন সুস্থ হয়েছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আমার ছেলে কদিন ধরেই ভীষণ অসুস্থ 😕 আজ একটু ভালোর দিকে রয়েছে।
বন্ধুর সাথে বেরিয়ে চমৎকার একটি জায়গায় খাওয়া দাওয়া করলেন, এতে সত্যিই আপনার মানসিক একটা প্রশান্তি এসেছে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম। যাক সামান্য কাশি রয়েছে আপনার বলছিলেন, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করছি।
বাইরে একটু বের হলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায় ।এতদিন পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেশ ভালই লেগেছিল। আমার সুস্থতা কামনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। টেনে করে খেতে যাওয়ার অনুভূতি সত্যি অন্যরকম। বন্ধুদের সাথে সময় খুব সুন্দর ভাবে পার করেছেন। অসুস্থতার কাটিয়ে অন্য পরিবেশে ঘুরতে যাওয়াটাই অনেক ভালো। পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শেয়ার করা পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম ।ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রদান করার জন্য।
এই সময়টাতে বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্বর ঠান্ডা লেগেই আছে। বেশিরভাগ বাচ্চারাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দুই বন্ধু মিলে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন, খাবার-দাবার করে খুব ইনজয় করেছেন। ভীষণ মজার এই মুহূর্ত টা।
হ্যাঁ আপু এই সময়টাতে সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চা, বুড়ো, যুবক সবাইকে সমানভাবে অসুস্থ হতে দেখা যাচ্ছে এখন।
আমাকে রেখে এই ভাবে খেয়ে বেড়াচ্ছো।😭 যাইহোক জ্বর ঠিক হওয়ার পর বন্ধুর সাথে পিজ্জা খেতে দেওয়ার প্লান টা একেবারে মন্দ না। তবে নিউ বারাকপুর যাওয়ার কি দরকার ছিল, আমাদের বারাসাতে ও তো সুন্দর সুন্দর রেস্টুরেন্ট আছে।
ভিন্ন স্বাদের জিনিস টেস্ট করার জন্য গেছিলাম নিউ ব্যারাকপুরে।