হঠাৎ করেই রথের মেলায় ঘুরতে যাওয়া (পর্ব -০১)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
গতকাল রথযাত্রা ছিল। অন্যান্য বছর রথ আসলেই আলাদা একটা উৎসাহ কাজ করে রথে কোথায় ঘুরতে যাব, কি করবো, কি খাব এসব নিয়ে। অন্যান্য বছর কাছের বন্ধুরাও থাকে সেই জন্য তাদের সাথে প্ল্যান করে কিছু না কিছু করি। এই বছর কাছের এই বন্ধুগুলো বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে পড়াশোনা করার জন্য। সেজন্য এ বছর পূর্বে থেকে কোন প্রকার প্ল্যান করিনি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। গতকাল দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু রেস্ট করছিলাম ।সেই মুহূর্তে আমার এক বন্ধুর কল আসে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বন্ধু বলে তার সুপার শপে যাওয়ার জন্য। মাঝে মাঝেই তার সুপার শপে গিয়ে থাকি, সেজন্য সে বললে আর না করেনি। তাছাড়া রথ উপলক্ষে যেহেতু কোনো প্ল্যান ছিল না সেইজন্য তার সাথে আমি যেতে রাজি হই।
বিকালের কিছুটা পূর্বে আমরা দুই বন্ধু একসাথে বের হই বাইকে করে। তার সুপার শপটি বারাসাতের হেলার বটতলা নামক একটি স্থানে অবস্থিত। তার সুপার শপে যাওয়ার পরেই বন্ধুর এক সহকর্মী জানায় যে, পাশের একটি জায়গায় রথের মেলা হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে হেলার বটতলার এই রথের মেলায় আমি এসেছিলাম কিন্তু এই বছর কোনো প্ল্যান না থাকায় এ সম্পর্কে কোন কিছু মাথায় আসেনি। বন্ধুর এক সহকর্মী এখানের রথের মেলার কথা জানালে আমি আর আমার বন্ধু মিলে সেখানে যাই। সুপার শপ থেকে পায়ে হেঁটে এক মিনিটের দুরত্বে অবস্থিত ছিল এই রথের মেলার স্থানটি। হেলার বটতলার যে স্থানটিতে রথের মেলা হয় সেই জায়গাটি খুব একটা বড় ছিল না। মোটামুটি ছোট একটা মাঠের মতো জায়গা রয়েছে সেইখানেই মেলার সবকিছু বসে। যাইহোক প্রথমে মেলায় ঢুকেই দেখি বেশ ভিড় রয়েছে মেলাতে।
যে স্থান দিয়ে মেলায় প্রবেশ করেছিলাম সেই স্থানের পাশেই পাপড়ের দোকান বসেছিল। যেখানে গরম গরম পাপড় ভাজা হচ্ছিল। আমি এবং আমার বন্ধু সেখানে দাড়িয়ে পাপড় ভাজা দেখছিলাম । বন্ধুকে পাপড় খাওয়ার কথা বললে সে ভাজাপোড়া খেতে চায় না তখন। তারপর আমরা চলে যাই মেলার মধ্যের খাবারের স্টলগুলোতে। সেখানে গিয়ে দেখি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় পদার্থ তৈরি হচ্ছে এবং সাথে সাথে বিক্রিও হচ্ছে। যেখানে মিষ্টি তৈরি হচ্ছিল সেখান থেকে আমি এবং আমার বন্ধু দুজনে মিলে এক কেজির মতো জিলাপি কিনেছিলাম।
জিলাপির দোকানের বিপরীত দিকে বিভিন্ন রকম হরেক মালের দোকান ছিল। সেইসব দোকানগুলোতে বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলার জিনিস, তাছাড়া ঘরের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস বিক্রি করছিল । আমরা সেই দোকানগুলোর সামনে একটু হাঁটাহাঁটি করি এবং চারপাশে একটু টুকটাক ফটোগ্রাফি করে নি । বেশ গরম লাগছিল আমাদের এই মেলার মধ্যে ঢুকে।
চলবে...
পোস্ট বিবরণ
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | হেলার বটতলা ,বারাসাত। |
আসলে মেলায় ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি সত্যি খুব অন্যরকম। মেলায় অনেক রকমের জিনিসপত্র দেখা যায়। মেলার প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখতে খুবই ভালো লাগে। জিলাপির সন্দেশ দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে ভাই। মেলাতে কাটানো এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর করে কথাগুলো বলার জন্য।
ঢাকায় রথের সময় খুব ঘটা করে আয়োজন করা হয়। আজও দেখলাম রথের গাড়ি সাজাচ্ছে। আপনি রথের মেলায় গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন ছবি দেখে এবং পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি। খাবারের ছবি দেখে খুব লোভ লেগে গেল। ধন্যবাদ দাদা।
খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল ভাই ।সেই জন্য ফটোগ্রাফিগুলো দেখেও এত লোভ লেগে গেছে।
আমিও গতকাল এই জায়গায় গিয়েছিলাম তবে এত পরিমাণে ভিড় যে ১০ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে পারিনি এজন্য অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি। তবে একটা কথা বলতেই হয় আগের বছরের তুলনায় এই বছর দেখছি লোকের সমাগম অনেক বেশি।
সত্যিই অনেক ভিড় হয়েছিল এই জায়গাটিতে। গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লোক হয়েছিল এবার।