"Wedding Crush" বাংলা নাটক রিভিউ 🎥 || 10% for shy-fox 🦊
◾️ ০৩ জুন
▪️ শুক্রবার
আসসালামু-আলাইকুম বন্ধুগণ
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সকলে সুস্থ ও ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি নাটকের রিভিও দিবো । মুশফিক আর ফারহান ও তানজিন তিশা অভিনীত নাটকটি বেশ রোমান্টিক একটি ফিল দিবে আপনাদের। নাটকটির নাম Wedding Crush । নাটকটির সংক্ষিপ্ত রিভিও দেয়ার চেষ্টা করবো আজকের পোস্টে।
মূল-কাহিনী
নাটকের প্রথমে দেখা যায় সারার (তানজিন তিশা) গাড়ি খারাপ হয়ে রাস্তার মধ্যে পড়ে থাকে। ঠিক সেই সময় বন্ধুবান্ধব নিয়ে ইভান (মুশফিক আর ফারহান) সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সারাকে দেখে সে গাড়ি দাড় করিয়ে হিরো সেজে সে গাড়ি ঠিক করে দিতে যায়। ইভান সারাকে বলে সে একজন অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার। এ বিষয়ে তার ভাল ধারনা আছে। সারা তার কথায় বিশ্বাস করে ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে। এরপর ইভান ভুলভাল কাজ করে সারাকে গাড়ি স্টার্ট দিতে বলে। গাড়ি স্টার্ট দিতেই গাড়ি আরও খারাপ হয়ে ধোয়া বের হতে থাকে। এরপর ইভানকে অনেক বকাবকি করে সারা এবং এক পর্যায়ে ৯৯৯ এ কল করে তার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করতে যায়। ঠিক সেই সময় ইভান একটু ভাব মেরে তাদের গাড়িতে উঠে সেই জায়গা থেকে চলে যায়।
সারা মূলত তার ফ্রেন্ড এর বিয়েতে আসার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিল। তার ফ্রেন্ড এর বিয়েতে এসে সে আবার ইভানকে দেখতে পায়। ইভান সারাকে দেখে লুকিয়ে চলতে চাইলেও সে ধরা পড়ে। এরপরে সারা বলে তার জন্য ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে গাড়ি ঠিক করতে। সে আবার ৯৯৯ এ কল করতে গেলেও ইভান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সারা যে বিয়েতে এটেন্ড করতে এসেছে তা হচ্ছে ইভান এর কাজিন এর বিয়ে। এরপরের সিনে দেখানো হয়, ইভান সুইমিং পুল এর পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল ঠিক সেই সময় সারা পিছন থেকে এসে তাকে ধাক্কা মেরে পুলের পানিতে ফেলে দিয়ে দৌড়ে চলে যায়।
এর পরের সিনে দেখা যায়, সারা তার বান্ধবীদের সাথে নাচানাচি করতে থাকে। সেই সময় ইভান এর মাথায় আরেকটি বুদ্ধি বের হয়। সে একটি গ্লাস এ মিষ্টি শরবত ও আরেকটি গ্লাস এ মরিচের শরবত মিশিয়ে সারার কাছে গিয়ে ভাল সাজার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে দুষ্টু মিষ্টি অনেক রোমান্টিক ডায়লগ চলার পরে ইভান শরবতের একটি গ্লাস সারাকে দেয়। সারা চালাকি করে ইভান এর আরেক হাত থেকে শরবতের গ্লাস নিয়ে খেতে গেলে সে ঝাল এ অস্থির হয়ে উঠে। তখন ইভান মজা নিতে নিতে চলে যায়।
আবার ইভানকে শিক্ষা দেয়ার জন্য সারা ইভান এর রুমের সামনের ফ্লোর এ তেল জাতীয় জিনিস ফেলে রাখে। ইভান হেডফোন কানে দিয়ে রোমে আসার সময় পা পিছলে পড়ে যায়। তখন সারা রোমে দাঁড়িয়ে মজা নিতে থাকে। এরপর ইভান উঠে দাড়াতে গিয়ে না উঠতে পেরে বসেই থাকে। তখন সারা হেল্প করার জন্য ইভান এর কাছে যেতেই সেও পড়ে যায়। এরপর দুইজনের মধ্যে ফ্রেন্ডশীপ হয়ে যায়।
এরপর বিয়ে বাড়িতেই তাদের মধ্যে রোমান্টিক কিছু সিন দেখানো হয় গানের মধ্যে। বিয়ে শেষ হয়ে গেলে ইভান সারার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসে। তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের লক্ষন বেশ স্পষ্ট হয়ে যায়।
এরপর অনেকদিন পরে ইভান সারাকে কল করে দেখা করতে চায়। একসাথে কফি খেতে চায়। সারা প্রথমে একটু না করলেও পরে ঠিকই চলে আসে। এরপর আরেকদিন এভাবে কল করে বারবিকিউ পার্টি করা উপলক্ষ্যে সারাকে ইনভাইট করে। এভাবে তাদের মধ্যে বেশ ভাল সময় কাটতে থাকে।
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ইভান অনেক খুশি হয়ে যায়। ঠিক সেই সময় সারা ইভানকে কল করে দেখা করতে চায় এবং বলে তার সাথে সারার জরুরি কিছু কথা বলার আছে। ইভানও বলে সেও একটি ভাল নিউজ সারাকে দিতে চায়। এরপরে একটা প্লেস এ ইভান ও সারা দেখা করে। সারা মূলত আজকে প্রপোস করার জন্য এসেছে। প্রথমে ইভান এর নিউজ সে শুনতে চায়। ইভান বলে তার হায়ার এডুকেশন এর জন্য কানাডা যাওয়ার ভিসা সে পেয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সে ফ্লাই করতে যাচ্ছে। তার অনেক দিনের ইচ্ছে কানাডা যাবে, সেখানকার সিটিজেনশিপ নেবে, পুরো বিশ্ব ঘুরে ঘুরে দেখবে। এবার কেও তাকে আর আটকাতে পারবে না। কথাগুলো শুনে সারা আর কিছু বলতে পারে না। এমনকি ইভানকে তার মনের কথাগুলো আর বলে না ইভান জিজ্ঞেস করলে সারা আর কিছু বলে না। এড়িয়ে চলে আসে।
এভাবে পাচ বছর কেটে যায়। হঠাত করে একদিন সারার ফোনে ইভান কল দেয় এবং সে জানায় সে ঢাকা এসেছে। সারার সাথে সে দেখা করতে চায়। সারা প্রহমে ব্যস্ততার দোহাই দিলেও পরে ঠিকই ইভান এর দেয়া এড্রেস এ চলে আসে। দুইজনের মধ্যে ইমোশনাল কিছু কথাবার্তা হয় এখানে। কথা বলার সময় ইভান জানতে চায় পাচ বছর আগে সারা কি একটা যেনো বলতে চেয়েছিল। সেই কথা শুনার জন্যেই সে ঢাকা এসেছে। সারা ইভানকে বলে সে কি বলতে চেয়েছিল সেটি তার আর মনে নেই। এবং সে এও বুঝায় তার বিয়ে হয়ে গেছে। এরপরে সারা সেখান থেকে ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে চলে আসে।
সারা চলে যাওয়ার পর ইভান তার সেই কাজিন নিতু কে কল দেয় যার বিয়েতে সারা গিয়েছিল। নিতুর সাথে কথা বলে ইভান জানতে পারে সারার এখনও বিয়ে হয়নি। সে এও জানতে পারে পাচ বছর আগে সারা ইভানকে প্রপোজ করতে গিয়েছিল। এই কথা শুনে ইভান অনেক ইমোশনাল হয়ে পড়ে। সে সারার ফোনে টেক্সট পাঠায় লাস্ট বারের মতো সে আরেকবার তার সাথে দেখা করতে চায়।
সারা দেখা করতে আসে। ইভান হাতে করে দুইটি পুতুল আনে। সে হাত লুকিয়ে রেখে এসে বলে সে আজ আবার কানাডা চলে যাচ্ছে। লাস্ট বারের মতো সারাকে বাই বলতে এসেছে। এরপর হাত থেকে পুতুল গুলো বের করে সারাকে দিয়ে বলে একটা তার ছেলের জন্য একটা তার মেয়ের জন্য। এগুলো শুনে সারা রোমান্টিক ভাবে রেগে গিয়ে ইভানকে মারে। এক পর্যায়ে ইভান জানায় সে সব জেনে গেছে নিতুর কাছ থেকে। সারা কেন সেই পাচ বছর আগে ভালবাসার কথাটি বলেনি এটি শুনতে চাইলে সারা জানায়, তার এত পরিমান এক্সসাইটমেন্ট দেখে সে আর তার কথাটা বলতে পারেনি। এরপর রোমান্টিক কিছু কথা বলে দুই জন দুই জনকে জড়িয়ে ধরে। এর মধ্যে সিনকে আরও রোমান্টিক করার জন্য বৃষ্টি নেমে পড়ে। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
পরিচালনা | ৮ |
কাহিনী | ৮ |
অভিনয় | ৭ |
শুভেচ্ছান্তে
@rokibulsanto
খুবই চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই নাটক রিভিউ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। সত্যি বলতে ফারহানের নাটক আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে যদি এখনো দেখা হয়নি তবে খুব শীঘ্রই দেখব।
ভাল লেগেছে জানতে পেরা আমারও ভাল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
আপনার রিভিউগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি আমার প্রিয় দুইজন তারকার নাটকের রিভিউ করেছেন। আমার কাছে তানজিন তিশাকে খুব ভালো লাগে। আর ফারহান তো সেরা। আর Wedding crush নাটকটি রিভিউ দেখলাম এখন নাটক দেখবো। ধন্যবাদ ভাই।
আমার নাটক এর রিভিও আপনার কাছে ভাল লাগে শুনে খুশি হলাম। নাটকটী সময় পেলে দেখতে পারেন ভাই। আশা করি ভাল লাগবে আপানার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার রিভিউ দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর ভাবে আপনি নাটকের রিভিউ করেছেন। সময় নিয়ে নাটকটি দেখব। আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে রকি ভাই। ভালবাসা নিবেন। শুভ কামনা রইল
আসলে ইদানিং বাংলা নাটক বলুন মুভি বলুন কিছুই তেমন দেখা হয়ে ওঠে না আমার।তবে আপনার আজকের এই রোমান্টিক ইন্টারেস্টিং নাটক রিভিউ সত্যিই আমাকে অনেক মজা দিয়েছে।ভাবছি সময় করে নাটকটি দেখে নেব।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।♥♥
সময় আমিও পাই না তেমন আপু। তবে একটু সময় পেলে মুভি নাটোক দেখার চেষ্টা করি। মাইন্ড ফ্রেশ হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
Wedding Crush নাটকটি আপনি সুন্দরভাবে রিভিউ দিয়েছেন ভাইয়া।বাংলাদেশের নাটকগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি পরিবারের সঙ্গে দেখি,তবে মোশাররফ করিম, হাসান, চঞ্চল চৌধুরী,অপূর্ব ,আরেফিন নিশু এদের নাটক বেশি দেখা হয়।এই নাটকটিও দেখার চেষ্টা করবো অবশ্যই।,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি যে সব অভিনেতার নাম বললেন তারা আমাদের দেশের বস লেভেল এর অভিনেতা। আমিও উনাদের নাটোক দেখি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দিদি
আপনার চয়েস আছে বলতে হবে কারন নাটকটি সত্যিই খুব সুন্দর। আমি তো আপনার দেয়া লিংক থেকেই অর্ধেক দেখে ফেললাম এখন। আর বর্ননা দিয়েছেন চমৎকার।
হাহা। ভাল নাটক দেখলে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
বাহ বেশ চমৎকার নাটক রিভিউ করেছেন আপনি দেখে তো খুব ভালো লাগলো। আসলে নাটকটি আমি দেখেছি । নাটকটি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আজিম ভাই। ভাল থাকবেন। ভালবাসা রইল । মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বাংলা নাটক রিভিউ চমৎকার হয়েছে। এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ দেখে অনেক ভালো লাগলো। অবশ্যই নাটকটি দেখবো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
নাটকটি আপনি দেখতে পারেন ভাই। বেশ রোমান্টীক একটি নাটক এটি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবাদ মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য
এ নাটকটা আমি দেখেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছিল। শেষে আবার মিলন হয়েছে সারা আর ইভানের এটা আরও ভালো লেগেছিল। সুন্দর ছিল আপনার রিভিউ। ধন্যবাদ
হ্যা ভাই লাস্ট এর মিলন আমারও ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে
ভাইয়া ওয়েডিং ক্রাশ নাটকটি রিভিউ পড়ে মনে হল যে আমি নাটকটি দেখছি। এত সুন্দর ভাবে আপনি পুরো নাটকটি উপস্থাপন করেছেন। নাটকটি বেশ মজার ছিল মনে হচ্ছে। আপনার রিভিউটি পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল। নাটকটিতে সারা এবং ইভানের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি দিয়ে শুরু হয় এবং পরবর্তীতে ভালোবাসা দিয়ে শেষ হয় যা আসলেই ভাল লেগেছে আমার কাছে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু নাটোকটি অনেক ইন্টারেস্টীং একটি নাটক। যদি সময় পান তবে দেখতে পারেন। আশা করছি আপনার ভাল লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু