মজাদার আমের জুস ।। 10% for shy fox
◾️ ০৪ জুলাই
▪️ সোমবার
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সকলে খুব ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। ঈদের ছুটিতে বাসায় এসেছি গত দুইদিন আগে। বাসায় আসার পর থেকেই একটার পর একটা খাওয়া দাওয়া লেগেই আছে । আজকে কি নিয়ে পোস্ট করবো তা টাইটেল ও থাম্বনেইল দেখেই বুঝে গেছেন। হ্যা বন্ধুরা আমি আজকে আমের জুস বানিয়ে খাব। দুপুরের রোদে ঠান্ডা ঠান্ডা আমের জুস খেতে দারুন লাগে। এখন আমের সীজন চলছে। আমাদের সবার বাড়িতে এখন আম আছে। এই রেসিপিটি আমরা সকলেই বানাতে পারি। খুবই সিম্পল কিন্তু খেতে দারুন।
আম আমাদের সকলের প্রিয় একটি ফল। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তাছাড়া এতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। অতিরিক্ত আসলে কোন কিছুই ভাল না। অতিরিক্ত আম খেলে কারো কারো এলারজি বাড়তে পারে, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ,ওজন বৃদ্ধি ,পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা সবকিছু লিমিট এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করবো। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জুস বানানো শুরু করি।
প্রয়োজনীয় উপকরন
দ্রব্য | পরিমান |
---|---|
আম | ২টি |
চিনি | ৪ চামিচ |
গুড়া দুধ | ছোট এক প্যাকেট |
বরফ | ৩ পিস |
পানি | পরিমানমতো |
প্রয়োজনীয় উপকরনের কিছু ছবি
👉🏻 ধাপ-১
আমি জুস বানানোর জন্য মাঝারি সাইজের দুইটি আম নিয়ে নিয়েছি। আমগুলোকে খোসা ছাড়িয়ে সুন্দর করে পিস পিস করে কেটে নিয়েছি।
👉🏻 ধাপ-২
এবার ব্লন্ডার এর মধ্যে আমগুলোকে ঢেলে নিব।
👉🏻 ধাপ-৩
এবার এর মধ্যে আমি চার চামিচ চিনি দিয়ে দিব। মিষ্টি কম বেশি করার জন্য আপনারা আপনাদের ইচ্ছে মতো চিনির পরিমানটা দিতে পারেন।
👉🏻 ধাপ-৪
এবার আমি ছোট এক প্যাকেট গুড়া দুধ দিয়ে দিব। আপনারা চাইলে গরুর লিকুইড দুধও এতে ব্যবহার করতে পারেন।
👉🏻 ধাপ-৫
এবার আমরা এতে আইস দিয়ে দিব। সেই সাথে অল্প পরিমান পানি দিয়ে দিব যাতে জুসটি বেশি ঘন না হয়। আমি তিন পিস আইস দিয়েছি।
👉🏻 ধাপ-৬
এবার ব্লন্ডার এর সাহায্যে আমরা ৩/৪ মিনিট ভাল করে ব্লেড করে নেব।
👉🏻 লাস্ট স্টেপ
আমাদের আমের জুস রেডি। এবার গ্লাস এ ঢেলে পরিবেশন করবো।
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভাল লেগেছে। আজ তবে এখানেই রাখছি। দেখা হবে আগামিকাল। ভাল থাকবেন সবাই। আল্লাহ্ হাফেজ।
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ৭ প্রো |
আমি রকিবুল শান্ত। বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অনার্স ৩য় বর্ষে লেখাপড়া করছি । আমি পজেটিভ চিন্তাধারার একজন মানুষ । সব সময় সিম্পল থাকার চেষ্টা করি। কোডিং করতে, মিউজিক করতে , বিভিন্ন বিষয় এর উপরে আর্টিকেল লিখতে বেশি পছন্দ করি। নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করি। ভালোবাসা পেলে ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করি না ।
শুভেচ্ছান্তে
@rokibulsanto
আমের জুস খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আপনি অরজিনাল আম দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে ন্যাচারাল ভাবে আমের জুস তৈরি করেছেন এবং খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে ভাই ঠিক বলেছেন অনেক দিন পর বাড়িতে গেলে আর কি একটার পর একটা খাবার থাকে কোনটা রেখে কোনটা খাব তখন আসলে বুঝতেই পারিনা। আপনি আজকে খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই গরমে যদি ঠান্ডা ঠান্ডা মজাদার আমের জুস খাওয়া যায় তাহলে একেবারেই মনটা প্রশান্তি হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি ধন্যবাদ আপনাকে।
আমের জুস অনেক চমৎকার হয়েছে। গ্রীষ্মকালে খুব তাপে এক গ্লাস শরবত হলে মন্দ হয় না। আর সেটি যদি হয় আম দিয়ে তৈরি তাহলে পুষ্টি এবং তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। আপনার এই আমের জুস আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
Great, make some @fruitjuice, upvoted and resteemed
আমের জুস খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।এই গরমে এরকম এক গ্লাস ঠান্ডা জুস খেতে পারলে তো হয়েই যায়। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ।
আপনার আমের জুস ভীষণ ভালো হয়েছে খেতে মনে হয় 😋
দুপুরের এই গরমে এক গ্লাস পেলে মন্দ হতো না।
ধাপগুলো খুব সহজ করে দেখিয়েছেন।
ভালো উপস্থাপনা ছিল।
আসলেই অনেক গরম পরছে এই গরমের মধ্যে এক গ্লাস ঠান্ডা আমের জুস পেলে ভালোই লাগবে। আপনি দারুণভাবে আমের জুস তৈরি করেছেন। বিশেষ করে দুধ এবং বরফ ব্যবহার করাতে নিশ্চয়ই খেতে একটু বেশি ভালো লেগেছে। আপনার জুস দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করতেছে। এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমের জুস খেতে সত্যিই অনেক মজাদার হয়ে থাকে। এই গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা আমের জুস খেতে কার না ভালো লাগে। আমার খেতে তো ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এখনই সময় যথাযথভাবে আমার জুস বানিয়ে খাওয়ার। কেননা ফুল সিজন চলতেছে আমের তাই এই গরমে আমের জুস খাওয়ার মজাই আলাদা ধন্যবাদ আপনাকে।
আমের জুস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এই গরমে আমের জুস খেতে বেশ ভালো লাগে। আমার বাসায় মাঝে মাঝে আমের জুস তৈরি করা হয়। প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা আমের জুস খেতে বেশ ভালো লাগে রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।