চিকি চিকি বুম নাটক রিভিও 🎥 || 10% for shy-fox 🦊
◾️ ২৬ জুন
▪️ রবিবার
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সকলে সুস্থ ও ভালো আছেন। গতকাল রাতে একটি নাটক দেখেছি। বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয় অভিনেতা মারজুক রাসেল, চাষি আলম ও তানজিম হাসান অনিকের অভিনীত চিকি চিকি বুম নাটকটি অনেক ভাল লেগেছে আমার কাছে। এটি কমেডি টাইপের একটি নাটক। কডেমি টাইপের নাটক দেখলে মনটা ভাল হয়ে যায়। তাই সময় পেলেই নাটক দেখার চেষ্টা করি। তো কথা আর বেশি না বাড়িয়ে নাটকের গল্পে চলে যাচ্ছি।
মূল-কাহিনী
নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে অনিক (এলেক্স), মারজুক রাসেল (তুগলক) ও চাষি আলম (রয়েল) এই তিন জন। নাটকে দেখা যায় এলেক্স, রয়েল ও তুগলক তিন ভাই। তারা তিন জন মিলে একটি রেস্টুরেন্ট চালায়। এলেক্স সবার ছোট ভাই, মেঝো ভাই রয়েল ও বড় ভাই তুগলক। তাদের রেস্টুরেন্ট এ এলেক্স শেফ হিসেবে কাজ করে। রয়েল ওয়েটার ও বড় ভাই তুগলক ক্যাশিয়ার।
নাটকের প্রথমে দেখা যায় রয়েল ও তুগলক দুই জনে রেস্টুরেন্ট এর বাজারের হিসাব করতে থাকে। এই সময় এলেক্স তার বড় ভাইকে চিজের বোতল খুজে দিতে বলে। চিজের বোতল দিয়ে এসে রয়েল আবার হিসাব করতে বসে। এলেক্স আবারও রয়েলকে সয়া সসের বোতল নিয়ে আসতে বলে। এই রকম করার কারন হচ্ছে এলেক্স কে দিয়ে তার বড় দুই ভাই শুধু কাজ করায়। তাই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সে এই রকম করে তাদের জালায়। তো এক পর্যায়ে তারা ডিসিশন নেয়, যে যার যার সাইট সামলাবে। এলেক্স রান্নাঘরের পার্ট দেখবে। রয়েল খাবারের অর্ডার নিবে আর সার্ব করবে। আর তুগলক ক্যাশ সামলাবে।
এর পরের সিনে দেখা যায় তাদের রেস্টুরেন্ট এ একজন সুন্দরী মেয়ে খেতে আসে। তার নাম সনিয়া। রয়েল তাকে অতি আপ্যায়ন করে একটি টেবিলে বসিয়ে তার থেকে অর্ডার নেয়। সনিয়া রয়েলের সাথে খুব আন্তরিক ভাষায় কথা বলে ও খাওয়া শেষে একটি কাগজে তার নাম্বার দেয়। খাবারের বিল দেয়ার জন্য ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে তুগলক এর সাথেও খুব আন্তরিক হয়ে কথা বলে ও তুগলক কেও নাম্বার দিয়ে যায়। তুগলক তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে তার থেকে খাবারের বিল আর নেয় না।
এর পরের সিনে দেখা যায়। বড় ভাই তার রোমে বসে রেস্টুরেন্ট এর হিসাব মেলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনভাবেই সে হিসাব মেলাতে পারে না। তার একটি অভ্যাস আছে। কাস্টমারকে ডাবল টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। আর তাছাড়া এলেক্স ও রয়েল তাকে বাজারের সঠিক হিসাব দেয় না এতে করে তার হিসেবে গড়মিল থেকেই যায়। এ নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক চলে এই সিনে।
পরের দিন সেই সুন্দরী মেয়েটি আবার আসে তাদের রেস্টুরেন্ট এ। ওই সময় রেস্টুরেন্ট এ এলেক্স ব্যতীত আর কেউ ছিল না। এলেক্স সনিয়ার সাথে কিছুক্ষন গল্প করে তার জন্য খাবার বানিয়ে নিয়ে এসে দুইজনে একসাথে বসে খেতে থাকে। ঠিক সেই সময় তার বড় ভাইরা এসে পড়ে। এরপর এলেক্স এর সাথে রয়েল এর কিছুক্ষন ঝগড়া হয়। বড় ভাই তুগলক তাদের মাঝে মিটমাট করে দেয়।
এই অংশে খুবই মজার একটি সিন দেখানো হয়েছে। রয়েল ফোনে সনিয়ার সাথে কথা বলতে থাকে। সেই সময় এলেক্স এসে তাকে জিজ্ঞেস করে সে সনিয়ার সাথে কথা বলছে কিনা? এবং সে এও জানায় সনিয়া এলেক্স কে ভালোবাসে সেও তাকে ভালোবাসে। এই সময় তাদের দুইজনের মধ্যে হাস্যরসাত্মক কথোপকথন চলতে থাকে। ঠিক তখনি তাদের দুইজনের বড় ভাই তুগলক এসে জানায় সনিয়া তাকে ভালোবাসে। হাহা। এ নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যেই কথা কাটাকাটি হয়।
তার পরের অংশে আমরা দেখতে পারি পুলিশ আসে তাদের বাসায়। পুলিশ তাদের জানায় সনিয়া গত রাতে খুন হয়েছে। সনিয়ার মোবাইল ফোনে লাস্ট তাদের তিন জনের ফোন রেকর্ড পাওয়া গেছে। পুলিশ তাদের বাসা থেকে বের হতে মানা করে চলে যায়। এই কথা শুনে তিন ভাই খুব ঘাবরিয়ে যায়। এবং সিদ্ধান্ত নেয় বাসা থেকে তারা পালিয়ে যাবে।
বাসা থেকে তারা খালি পকেটেই বের হয়ে পড়ে। তাদের সব টাকা পয়সা তারা তাদের রেস্টুরেন্ট এ ফেলে এসেছে। পুলিশ এর টহলের জন্য তারা সেখানেও যেতে পারছে না। এভাবে রাত হয়ে যায়। বড় ভাই তুগলক এলেক্স কে খাবারের জন্য পাঠায়। সে খাবার আনতে গিয়ে দেখে সেই খুন হয়ে যাওয়া সনিয়া একটি রেস্টুরেন্ট এ বসে বার্গার খাচ্ছে। সনিয়াকে দেখার পর এলেক্স ভূত মনে করে দৌড়ে চলে এসে তার ভাইদের জানায়। তাই ভাইরা তার কথায় বিশ্বাস না করে তাকে কাছে টেনে সান্তনা দেয়। তারা বলে ক্ষুধার পেটে সে উলটা পাল্টা দেখেছে।
এর পর দেখা যায়, একটি দোকানে গিয়ে তিন ভাই কলা পাউরুটি খেতে শুরু করে। দোকানদারের সাথে কথায় কথায় এলেক্স
ও রয়েল ভাব জমিয়ে নেয়। এবং একে একে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে এলেক্স ও রয়েল সেখান থেকে কেটে পড়ে। বড় ভাই তুগলক তাদের অবস্থা বুঝতে পেরে একটু পরে সেও দৌড়ে পালায়। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা আর পালিয়ে থাকবে না। তারা পুলিশ এর কাছে সারেন্ডার করবে। তার আগে তারা আনন্দ উল্লাস করে নিবে একদিন। সেই হিসেবে নাটকে দেখা যায় রাস্তায় এলেক্স এ তুগলক নাচতে থাকে আর রয়েল ভিডিও করতে থাকে। পাশ দিয়ে একটি গাড়িতে সেই সনিয়াকে আবারও যেতে দেখা যায়। তখন তারা কনফার্ম হয় সনিয়া মারা যায়নি। সে একটা চিটার। তারা তখন পুলিশ নিয়ে সনিয়ার বাসায় যায়। গিয়ে দেখে যে মেয়েটা এলেক্স, রয়েল ও তুগলককে ধরার জন্য পুলিশ সেজে গেছিলো সেই মেয়েটি সনিয়ার বান্ধবী। সনিয়াও সেখানে এসে উপস্থিত হয়। এরপর সনিয়ার পিছনে তারা তিন ভাই মিলে যত টাকা খরচ করেছে তাদের সব টাকা ফিরত চায় সেই সাথে পুলিশ তাদের দুই জনকে ধরে নিয়ে যায়। এর মাধ্যমেই নাটকটি শেষ হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
পরিচালনা | ৮ |
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৭ |
আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামিকাল। ধন্যবাদ সবাইকে
শুভেচ্ছান্তে
@rokibulsanto
ঈদের নাটক দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। এমনকি নাটক গুলো বেশ হাস্যকর হয়ে থাকে আজকের এই নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি কিন্তু আপনি রিভিউ দিয়েছেন বলে ভাবছি, অবশ্যই দেখে নিব। এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জি আপু। যখন সময় পাই টুকটাক নাটক দেখার চেষ্টা করি। সময় পেলে দেখে নিতে পারেন। ভাল আছেন নাটকটি
আমি এই নাটকটা দেখেছি এ্যালেক্সার চরিত্রটা বেশ চমৎকার ছিল, একটা মেয়ে কিভাবে তিন বন্ধুকে নাচিয়ে, টা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই নাটকের, বেশ মজা পেয়েছিলাম তিন বন্ধুর ক্যারেক্টারটি।
তিন বন্ধু না। তিন ভাই থাকে এরা। যাইহোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
যদি ওই নাটকটি এখন পর্যন্ত আমার দেখা হয় নাই। তবে এদের নাটক আমার ভীষণ ভালো লাগে। অনেক মজা পাই নাটক দেখে। খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ঈদ মানেই তো ধামাকে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। সময় পেলে নাটকটি দেখে নিতে পারেন।
এই নাটকটি আমি আগেই দেখেছি ৪৩ মিনিটের নাটকে একটুও মনোযোগ সরাতে পারি নাই। আপনি খুব সুন্দর ভাবে নাটকের খুটিনাটি বিষয় তুলে ধরেছেন। আপনার রিভিউ আমার খুবই ভালো লাগে। ❣️
বেশি বেশি নাটক দেখবেন। খালি কাজ করে গেলেই হবে না। রিলাক্স এর ও দরকার আছে। হাহা। ধন্যবাদ
খুবই সুন্দর একটি নাটক রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যদিও এই নাটক আমার এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি তবে আপনার এই সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম নাটকটি আসলেই অনেক ভালো এবং আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমার রিভিও পোস্টে ভিজিট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে ভাই। শুভ কামনা রইল
আমার কাছে বাংলাদেশের তৈরি করা কমেডি টাইপের নাটক গুলো খুবই ভালো লাগে।
ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের কারণে এই চরিত্র গুলো খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। খুবই চমৎকার ভাবে চিকি চিকি বম নাটকের রিভিউটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই নাটকের চরিত্র গুলোর মধ্যে থেকে আমার কাছে মারজুক রাসেলের অভিনয় গুলো খুবই ভালো লাগে।
হ্যা ভাই। ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের জন্যই এই চরিত্রগুলো উঠে এসেছে। তবে এরা সবাই ভাল মানের অভিনেতা। ধন্যবাদ আপনাকে