বন্ধুর নতুন ল্যাপটপ ।। 10% for shy-fox
◾️ ১৯ জুন
▪️ রবিবার
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সকলে খুব ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার খুব কাছের ও প্রিয় একজন বন্ধুর ল্যাপটপ কেনার গল্প শেয়ার করবো। তার আগে আমার বন্ধুর সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই। আমার বন্ধুর নাম শুভ সাহা। সেই স্কুল লেভেল এর বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই আমরা একসাথে বড় হয়েছি। কলেজে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত একসাথেই ছিলাম। আমাদের সব বন্ধুবান্ধব-ই ধনবাড়ি উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। সবার বাসা পৌরসভার ভিতরেই। এতে অনেক বড় রকমের একটি সুবিধা হয়েছে। ভার্সিটি বন্ধ থাকলে যখন এলাকায় যাই তখনই কারো না কারো সাথে দেখা হয়েই যায়। এছাড়া ঈদ ও পূজার সময় সকলের ছুটি থাকে। তখন সবাই একসাথে মিলে আড্ডা দেই। ঘুরাঘুরি করি। আমাদের মনেই হয় না আমরা অনেক বড় হয়ে গিয়েছি। যাইহোক যে কথা বলতেছিলাম সেই প্রসঙ্গে আসি। শুভ একজন মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট। বর্তমানে সে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় আছে।
উপরের ছবিতে যাকে সেলফি নিতে দেখছেন তার কথাই বলেছি এতক্ষন। সাথে আরবোভাইরাসের টিশার্ট পড়া যাকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম পারভেজ। সেও আমার খুব কাছের ও প্রিয় একজন বন্ধু। তাকে নিয়ে অন্যদিন লিখবো ইনশাল্লাহ।
বেশ কয়েকমাস আগে শুভর অফিসের ছুটি থাকার কারনে ঢাকায় আসে আমাদের সাথে দেখা করতে। তখন আমি স্টিমিটে আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত কাজ করছি। বাসার সব বন্ধুরা মিলে রাতে এক রোমে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। কিন্তু আমি তখন স্টিমিটে সবার পোস্ট পড়ে পড়ে কমেন্ট করতেছিলাম। আমাকে আড্ডায় না পেয়ে শুভ আমার রোমে এসে আমার পাশে বসে। জিজ্ঞেস করে আমি এসব কি করতেছি। এরপর স্টিমিট সম্পর্কে কিছু তথ্য তাকে দেই। আমার থেকে সব শুনার পর সে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠে এই প্লাটফরমে কাজ করার জন্য।
আমিও তাকে এই প্লাটফর্মে আসার জন্য ইনভাইট করি। তখনই সে কাজ করতে চেয়েছিল কিন্তু তার ফোনে একটু প্লব্লেম থাকার কারনে তখন শুরু করতে পারেনি। এরপর সে জানায় কিছুদিনের মধ্যে সে ল্যাপটপ কিনতে যাচ্ছে। ল্যাপটপ কিনে তার অফিসের পাশাপাশি স্টিমিটেও কাজ করবে। আমিও বেশ খুশি হই তার কথা শুনে।
গত শনিবার সে আবার আমাদের বাসায় আসে তার শখের ল্যাপটপ কেনার জন্য। আমরা সবাই মিলে তার জন্য একটি ল্যাপটপ বাছাই করে দেই। বাজেট বেশ ভালই ছিল তার। বাজেট অনুযায়ী Asus VivoBook 15 M513UA AMD Ryzen 5 5500U 15.6 Inch FHD WV Display Indie Black Laptop এই ল্যাপটপটি চয়েস করি আমরা। পরদিন সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে তিন বন্ধু মিলে বের হয়ে পড়ি ল্যাপটপ কেনার উদ্দেশ্যে। ল্যাপটপ কেনার জন্য এলিফেন্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যানে চলে আসি। কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের প্রায় সবখানেই বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বাসে উঠার পর পরই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। বাস থেকে নামার আগ মুহূর্তে কোন রকমে বৃষ্টি একটু কমেছিল। তাড়াহুড়া করে শপিং মলের ভিতরে ঢুকে পড়ি। কিছু ছবি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
শপিং মলে ঢুকার পর আমরা চার তলায় চলে যাই RYANS COMPUTERS এ। আমার ল্যাপটপ ও এখান থেকেই নিয়েছিলাম আমি। তাদের সার্ভিস ও প্রডাক্ট খুব ট্রাস্টেড। যাইহোক সবকিছু আমরা নেট থেকে দেখেই এসেছিলাম। এ এম ডি রাইজেম-৫, ৮ জিবি রেম এর আসুস ভিভোবুক। RYANS এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এর প্রাইস দেয়া ছিল ৬৭,৫০০ টাকা। আমরা একটু দরদাম করে ৬৫০০০ টাকায় ফিক্সড করি। এর সাথে একটি ওয়্যারলেস মাউস গিফট দেয়া হয়। A4TECH এর একটি মিনি কীবোর্ড ও নিয়ে নেই আমরা। পেমেন্ট কমপ্লিট করে শখের ল্যাপটপটি নিজের করে নেয় আমার বন্ধু।
শুভর ল্যাপটপ কেনার পর্ব শেষ করে আমার নিজের ল্যাপটপে এস এস ডি লাগানোর জন্য RYANS এর সারভিজ পয়েন্টে যাই। আমার ল্যাপটপ টি কিনেছি প্রায় চার বছর হতে চলল। এতদিন বেশ ভালই ফাস্ট ছিল। কিন্তু ইদানিং বেশ স্লো মনে হচ্ছে আমার কাছে। তাই একে আরেকটু যৌবন দেয়ার জন্য TRANSCEND এর 128 GB SATA SSD টি লাগিয়ে ফেলি। কিছু ছবি শেয়ার করছি।
আমার কাজ শেষ হওয়ার পরে শপিং মল থেকে আমরা বের হয়ে পড়ি। এরপর চলে ট্রিট নেয়ার পালা। হাহা। এত দামি একটা জিনিস খরিদ করেছে আমাদের বন্ধু , আর সামান্য কিছু টাকা খসাবো না তার , তাই কি হয়!! যদিও খাওয়ার সময় কোন ছবি তুলতে মনে ছিল না। সবারই অনেক ক্ষুধা লেগেছিল। তাই বিরিয়ানি সামনে আসার পরে ছবি তোলার কথা মনে ছিল না। হাহা।
ট্রিট নেয়ার পর রিকশা করে হাওয়া খেতে খেতে আমরা বাসায় চলে আসি। রাতের বেলায় বন্ধুর কিনে আনা নতুন ভালবাসার একটু রূপ আপনাদের দেখাই। হাহা।
আজ তবে এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামিকাল অন্য কোনো লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ৭ প্রো |
লোকেশন | what3words Location |
আমি রকিবুল শান্ত। বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অনার্স ৩য় বর্ষে লেখাপড়া করছি । আমি পজেটিভ চিন্তাধারার একজন মানুষ । সব সময় সিম্পল থাকার চেষ্টা করি। কোডিং করতে, মিউজিক করতে , বিভিন্ন বিষয় এর উপরে আর্টিকেল লিখতে বেশি পছন্দ করি। নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করি। ভালোবাসা পেলে ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করি না ।
শুভেচ্ছান্তে
@rokibulsanto
![blogPng.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmejDF8pcxNkApdukS6LGdRJnEy21vQRCVvV2u8FW39BkD/blogPng.gif)
শুভ ভাই নতুন ল্যাপটপ কিনে আজ অনেক খুশি হয়েছে দেখছি ।তার মুখে অনেক হাসি দেখা যাচ্ছে ।নতুন ল্যাপটপ কেনার অভিজ্ঞতা সত্যি সত্যি দারুন ।আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো
যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন এই সপ্তাহের মধ্যেই ইনশাল্লাহ একটিভ লিস্টে আসতে পারবেন। আপনার জন্য দোয়া রইল। তবে একটা কথা আবারও বলছি পড়াশোনার ক্ষতি করে স্টিমিট করার দরকার নেই। আগে পড়াশোনা পরে অন্যকিছু। অনেক সময় পাবেন পরে ব্লগিং করার জন্য ।
নতুন কিছু কেনার অনুভুতিটা একটু অন্যরকমের হয়। মনের ভিতরটাইয় যেন অনেক আনন্দের একটি মূহূর্ত বয় , যেটি আপনার বন্ধুর মুখ দেখে বুঝতে পারলাম। অনেক দিনে স্বপন আর শখ দুটোই আজ পুরোন হয়েছে উনার। অনেক ভালো মানের একটি লেপটপ কিনেছে আসা করি অনেক সুন্দর সার্ভিস দিবে। শুভকামনা
হ্যা ভাই। নতুন সব কিছু পাওয়ার ফিলিংস টাই অন্যরকম। শখের জিনিস কেনার অনুভূতি তো আসলে মুখে প্রকাশ করার মত না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
বেশ কিছুদিন যাবৎ একটা ল্যাপটপ এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে গেছে কিন্তু বাজেটে কম্পিউটার পণ্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দেয়ায় বাড়তি অনেক টাকা গুনতে হবে। এটা ভেবে আর কেনা হচ্ছে না। ভালো লাগলো আপনার বন্ধুর ল্যাপটপ কেনার গল্প শুনে। শুভকামনা আপনাদের জন্য
সব কিছুর দাম এখন অনেক বেশি ভাই। মানুষের জীবন যাপন করা এখন কষ্ট হয়ে গেছে। ১২৮ জিবি এস এস ডি আমার এক বন্ধু লাগিয়েছিল ২৫০০ টাকা দিয়ে । সেই একই জিনিস আমি ২৯০০ টাকা দিয়ে কাল লাগিয়ে নিয়ে এসেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য
নুতন কিছু যখন কেনা হয় তখন আসলে অনুভূতি থাকে অন্যরকম। মনের ভিতরে একটা আনন্দ হয়৷ আপনার বন্ধুর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে সে খুবই আনন্দিত হয়েছে ল্যাপটপ কিনে। ধন্যবাদ আপনাকে সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা ভাই। নতুন যে কোন জিনিসের প্রতি অন্যরকম ভাল লাগা কাজ করে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
এবার বন্ধুকে বলেন ভাল ভাবে কাজে লেগে যেতে। আসলে আমার বাংলা ব্লগ এমন একটি জায়গা যার নাম শুনলে নিজেরা উৎসাহিত হয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক হয়ে যায়।
হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন। কাজ শুরু করবে। তবে কিছুদিন টাইপিং এর জন্য সময় নিচ্ছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই