"জুই তোকে একটু ছুঁই" বাংলা নাটক রিভিউ 🎥 || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য 🦊
◾️ ৪ ফেব্রুয়ারি
▪️ শুক্রবার
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সকলে সুস্থ ও ভালো আছেন। আজকে আমি আফরান নিশো অভিনীত নতুন একটি নাটকের রিভিও পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন নাটকের কাহিনী শুরু করা যাক।
মূল-কাহিনী
নাটকটি পুরান ঢাকার আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত। নাটকের প্রথমেই আপনারা দেখতে পাবেন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিং এর ছাদ এবং সাদা সাদা কবুতরের ঝাক উড়ে যাচ্ছে।
নাটকের শুরুর গল্পটি হচ্ছে এমন- গল্পের নায়কের নাম সাফওয়ান। নায়িকা জুই। তাদের বাসা পাশাপাশি বিল্ডিং। এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে যাওয়া যায়। ছোটবেলা থেকেই তারা দুইজন একসাথে বড় হয়েছে। সাফওয়ান হাতে করে গরম গরম কাবাব এবং পেপসি নিয়ে জুইদের বাড়িতে ঢুকে। বাড়ির নিচে জুই এর দাদি লাঠি হাতে বসে শুকনা মরিচ, হলুদ শুকাচ্ছিল। সেই সময় সাফওয়ানকে দেখে সে ডাক দেয়। দাদি তাকে জিজ্ঞেস করে তার হাতে কি তখন কিছুক্ষন দাদির সঙ্গে হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা শেষ করে সাফওয়ান বাড়ির উপরে জুই এর কাছে যায়।
সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে সাফওয়ান দেখতে পায় জুই এর চাচা ব্যায়াম করছে। বিশাল দেহের অধিকারি জুই এর চাচার সাথে সাফওয়ানের ব্যায়াম করার কথা অনেক আগে থেকে। কিন্তু সেফু আসে না। তার সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর সেফু জুই এর রোমে যায়।
এতক্ষন ধরে জুঁই অপেক্ষা করতেছিলো কখন তার কাবাব আসবে আর কখন সে খাবে। যেই সেফু রোমে ঢুকেছে অমনি সেফুকে মাইর শুরু করে দেয় জুঁই কেন সে দেরি করে আসলো। সেফুর হাত থেকে কাবাব এর প্যাকেটটি টান দিয়ে নিয়ে জুঁই খাইতে শুরু করে। সেফু তখন রোমাঞ্চিতভাবে জুইকে দেখতে থাকে। একটু খাওয়ার পর জুঁই আর কাবাব খায় না । ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে বলে।
কাবাব খাওয়া বাদ দিয়ে তারা ছাদে আসে কারন জুঁই সেফুকে আরেকটি জিনিস আনতে বলছিলো তা হচ্ছে সিগারেট। ছাদে এসে দেখে জুঁই এর মা কাপড় নাড়ছে। সেফুকে দেখে জুঁই এর মা বলে তার পছন্দের বট রান্না করেছে খেয়ে যেতে। সেফু বলে তার আম্মাজানকে জানিয়ে সে খেয়ে যাবে। সেফু তার আম্মাজানকে খুব ভয় পায়। তার বাবাসহ ভয় পায়। তো যাইহোক তখন জুঁই এর মা বলে থাক তোর খেয়ে যেতে হবে না।
জুঁইয়ের মা চলে যাওয়ার পর সেফু পকেট থেকে ১ টা সিগারেট বের করে দেয় জুঁই কে। জুঁই খায় আর সেফু ছাদের দরজায় দাড়িয়ে পাহারা দেয় কেউ আসে কিনা। ছোটবেলা থেকেই তারা একসাথে বড় হয়েছে বন্ধুর মতো। তারা যে প্রেম করছে তা জুঁই এর দাদি ছাড়া কেউ জানে না।
সিগারেট খাওয়া শেষ করে সেফু জুঁই কে লেবু পাতা খাইতে বলে যাতে সিগারেটের গন্ধ যাতে না পাওয়া যায়। জুঁই লেবু পাতা ঘসে হাত সেফুকে শুকতে বলে। তখন সেফু একটি রোমাঞ্চিত হয়ে যায় ঠিক সেই মুহূর্তে জুঁই বলে উঠে ওই দেখ তোর মা দেখছে। এটা শুনে সেফু চমকে দেয়ালের সাথে বারি খায়। তার মাথায় একটু জখম হয়।
নাটকের এই সিনে আপনারা দেখতে পাবেন সেফুর মা সেফুকে মাথায় সেভলন দিয়ে দিচ্ছে আর বকাবকি করছে সেফুকে। সে সন্দেহের জোরে জুইকেও নানা রকম বকাঝকা করছে। সেফুর বাবাকেও কথা শুনাতে দ্বিধা করছে না। বাড়ি মাথায় নিয়ে ফেলেছে একদম। সে আসলে একটু রাগি টাইপের। জুঁই ছেলেদের মতো জিন্স, টিশার্ট পড়ে দেখে সে একদম সহ্য করতে পারে না।
তারপরের সিন এ আপনারা দেখতে পাবেন সেফু ছাদে জুঁই এর সাথে ফোন এ কথা বলার সময় তার মায়ের হাতে ধরা পড়ে। পরেরদিন তার মা বিচার নিয়ে জুইদের বাড়িতে যায় এবং নানান ধরনের কথা বলে অপমান করে আসে।
এতে জুঁই আর সেফুর মধ্যে কয়েকদিন বিরহ চলে। অবশেষে তারা সিদ্ধান্ত নেয় বাসা থেকে পালাবে। কিন্তু সেফু তার মা কে ভয় পায় । প্রথমে সে পালাতে চায় না পরে জুঁই এর ধমকে রাজি হয়ে যায়।
অবশেষে তারা বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এই সিনেও অনেক কমেডি আছে যা আপনারা নাটকটি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
জুঁই আর সেফু বাড়ি থেকে চলে যাওয়াতে তাদের দুই পরিবারই এক হয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। এই সময় তারা দুইজন ফিরে আসে। ফিরে এসেই সেফু বুকে সাহস নিয়ে তার মাকে বলে সে জুই কেই বিয়ে করবে। যদি উনি রাজি না হন তাহলে সে কোট ম্যারিজ করে ফেলবে। সেফুর এই সাহসিকতায় সবাই হাততালি দেয় এবং পরে তার মা ও তাদের মেনে নিয়ে বিয়ের আয়োজন করতে বলে।
ব্যক্তিগত মতামত
পরিচালনা | ৯ |
কাহিনী | ১০ |
অভিনয় | ৯ |
এই নাটকটি আমি দেখেছি। নাটকটি দেখে আমি খুব আনন্দ উপভোগ করেছি। এই নাটকে প্রতিটি দৃশ্যপট আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আবার নাটকটির কথা মনে পড়লো। এত সুন্দর নাটকের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আজিম ভাই। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনার জন্য ভালবাসা রইলো
এই নাটকটি মনে হচ্ছে আমি দেখেছি আগে, আপনি খুব চমৎকারভাবে বর্ণনাগুলো উপস্থাপন করেছেন। আশা করি এরকম আরো সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট আপনার কাছ থেকে পাব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাস সোহান ভাই। ভালোবাসা রইলো