তরুণের হাটের ঢাকাস্থ সদস্যদের নিয়ে পূর্ণমিলনী ।। 10% for shy-fox
◾️ ১৩ জুন
▪️ সোমবার
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সকলে খুব ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।
আজকে আমি আপনাদেরকে আমাদের একটি সংগঠনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। সংগঠনটির নাম তরুনের হাট। এটি একটি সৃষ্টিশীল সামাজিক সংগঠন। আমাদের ধনবাড়ি উপজেলার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। আমাদের ধনবাড়ি উপজেলার নানা রকম সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ যেমন- বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, প্রতিবন্ধিদের পাশে দাঁড়ানো, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পালন করে থাকে এই সংগঠন।
প্রতি বছর একটি করে বড় অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানে আমাদের টাংগাইল আসনের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সহ সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন। এছাড়া প্রতিবার কয়েকজন করে সেলিব্রেটিকে দাওয়াত দেওয়া হয় অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য। সংগঠনের আয়োজিত কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
যাইহোক এখন আমার মূল লেখার বিষয়বস্তুর দিকে আলোকপাত করা যাক। গত দুইদিন আগে তরুনের হাটের ঢাকাস্থ সদস্যদের নিয়ে একটি মিটিং ও পূর্ণমিলনীর আয়োজন করা হয়। ভেন্যু রাখা হয়েছিল ধানমন্ডিস্থ মুঘল কাবাব হাউজে। এটি ধানমন্ডি-২৭ এ অবস্থিত। আমার বাসা থেকে কাছেই। যানজট না থাকলে যেতে বড়জোর ১৫ মিনিট লাগে। যাইহোক আমি আর আমার বন্ধু রাব্বি সন্ধ্যার দিকে একটি রিকশায় করে বের হয়ে গেলাম।
রাতের বেলায় ঢাকাতে রিকশা করে ঘুরতে ভালই লাগে। কিন্তু জ্যাম এ পড়লে এই ভাল লাগা বেশিক্ষন টিকে থাকে না। যাইহোক রিকশায় দুই বন্ধু মিলে হাওয়া খেতে খেতে টুকটাক ছবি তুলছিলাম। রাতের বেলায় ঢাকার বড় বড় বিল্ডিংগুলোর লাইটিং দেখতে ভালই লাগে।
ঢাকার রাস্তায় বের হবো আর সিগন্যালে পড়বো না তা কি হয়!! শংকরের কাছে গিয়ে সিগন্যালে পড়ে প্রায় ১০ মিনিটের মতো বসে থাকতে হয়। এরপর আই হসপিটাল এর সামনে দিয়ে ২৭ নাম্বার এর রাস্তায় ঢুকে পড়ি আমরা।
এরপর অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের ডেস্টিনেশনে পৌঁছে যাই আমরা। কিছু ছবি শেয়ার করছি রেস্টুরেন্টটির ।
রেস্টুরেন্টটির ভিতরের পরিবেশ সুন্দর ছিল। ভিতরে ধানমন্ডি লেকের ছোট একটু অংশ পড়েছে। সেখানে চমৎকার একটি পানির ফোয়ারা ও একটি ডিঙ্গি নৌকা রাখা আছে। বেশ ভাল লেগেছে আমার কাছে।
এরপর রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের অংশে ঢুকলাম আমরা। আমাদের সংগঠনের প্রায় অনেক এসেছে যারা ঢাকাতে থাকে। সবার সাথে কুশল বিনময় হয়, অনেক কথাবার্তা হয়। সবারই অনেক ভাল লাগছিল।
মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন ধনবাড়ীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর সহকারী অধ্যাপক
ডাঃ মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তরুণের হাটের প্রধান উপদেষ্ঠা এ্যাডঃ সোলায়মান হোসেন, উপদেষ্টা জাহিদ হাসান সুমন, সভাপতি আল মামুন খান, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ হৃদয় , সুমন কর্মকার, রকিবুল শান্ত, রবিউল ইসলাম রবি, রাসেল আহমেদ, হাফিজুর রহমান ও আরো অনেকে। মিটিং এর মূল বিষয়বস্তু ছিল আমাদের উপজেলায় তরুনের হাটের আয়োজনে একটি বিশাল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে। ইনশাল্লাহ খুব বড় করে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে আমাদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে। ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে অন্য কোন ব্লগে হয়তো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
এরপর আমরা সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করি। প্রথমে চিকেন কাবাব, নান রুটি, কোক, পানি এইসব সারভ করা হয়। এরপর চা ও কফির পর্ব ছিল। এরপর কাচ্চি রিরিয়ানি সহ যে যা পছন্দ করে সেটির অপশন ছিল। কিন্তু চিকেন খাওয়ার পর সবার পেট প্রায় ফুল হয়ে গেছিল। তাই কাচ্চি বিরিয়ানি সবাই পার্সেল নিয়ে বাসায় এসেছে।
অনুষ্ঠান শেষে ধনবাড়ীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মাহবুবুর রহমানকে আমাদের তরুনের হাটের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্ঠা এ্যাডঃ সোলায়মান হোসেন কিছু উপহার দিয়ে সম্মানিত করেন।
আজ তবে এখানেই শেষ করছি। পোস্টটি অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। আশা করছি আপনারা ধৈর্য নিয়ে পড়বেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ তবে বিদায় নিচ্ছি। ভাল থাকবেন।
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ৭ প্রো |
লোকেশন | what3words Location |
আমি রকিবুল শান্ত। বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অনার্স ৩য় বর্ষে লেখাপড়া করছি । আমি পজেটিভ চিন্তাধারার একজন মানুষ । সব সময় সিম্পল থাকার চেষ্টা করি। কোডিং করতে, মিউজিক করতে , বিভিন্ন বিষয় এর উপরে আর্টিকেল লিখতে বেশি পছন্দ করি। নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করি। ভালোবাসা পেলে ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করি না ।
শুভেচ্ছান্তে
@rokibulsanto
তরুনের হাট নাম দারুন সেই সাথে এর কার্যসম্পাদন গুলো অসাধারন । সত্যি আমি মনে করি আপনি এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে অনেক ভালো করেছেন।আর সামাজিক কাজ গুলো করে থাকে এই তরুনের হাট যা জেনে আমার আরো বেশি ভালো লেগেছে আর এর সম্পর্কে জানার আগ্রহ জেগেছে। সব মিলে ছবি গুলো অনেক সুন্দর ছিল । শুভকামনা রইল
জি ভাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাই আপনাদের সংগঠনটির নামটি দারুন হয়েছে।তরুণের হাট নাম টি অত্যন্ত চমৎকার। যাইহোক ভাই আপনি এই তারুণ্যের হাটের ঢাকাস্থ সদস্যদের নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু সম্পর্কে খুবই সুন্দর বর্ণনা করেছেন। যা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আর সেই সাথে রাতের ঢাকায় ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে তা প্রকাশ করেছেন। আপনাদের ভেন্যু রাখা হয়েছিল ধানমন্ডিস্থ মুঘল কাবাব হাউজে। আর এই রেস্টুরেন্ট দেখেই বুঝতে পারছি খুবই মনমুগ্ধকর পরিবেশ এবং সেইসাথে খাওয়া-দাওয়া পর্ব নিয়ে আনন্দময় সময় টুকু ভীষণ সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খালি নাম সুন্দর তা নয় ভাই আমাদের সকল কার্যক্রম ও সুন্দর। অনেক ভাল লাগে আপনার সুন্দর সুন্দর কমেন্ট পেয়ে। ভালবাসা নিবেন জামাইবাবু।
ভাই পোস্টটা বড় হলেও পড়তে অনেক ভালো লেগেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা এই প্রথম তরুণের হাট সম্পর্কে আমি শুনলাম এবং জানলাম। অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির পদচারণা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। তরুণদের উৎসাহিত করতে এটা অনেক ভালো একটা প্রয়াস। আর ঢাকা শহরে রিকশা তে ঘুরতে আমারও বেশ ভালো লাগে কিন্তু ভাড়াটা অনেক বেশি গুনতে হয় ভাই আফসোস এখানেই। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন টাও দারুন দেখছি। সবকিছু মিলিয়ে চমৎকার উপভোগ করেছেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
জি ভাই। প্রতি বছর গন্যমান্য ব্যক্তিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধণ্যবাদ ভাই। ভালবাসা নিবেন।
ভাই ওটা কাদের ছবি দেখালেন মাথা ঘুরছে। আমার সব পছন্দের সেলিব্রেটি রা দেখি আছে। আমাদের সমাজের চিএ পরিবর্তনে প্রয়োজন এই ধরনের অরাজনৈতিক সংগঠন। আপনাদের সংগঠন এগিয়ে যাক। ঢাকা শহরে রিক্সায় জ্যামে বসে থাকলে বোঝা যায় ঢাকা শহরটা আসলে কী হা হা। দারুণ ছিল পোস্ট টা ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।।
হাহা। মাথা ঘুরাবে কেন ভাই। আমারও পছন্দের সেলিব্রেটি উনারা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ! সমাজের কিছু সামাজিক কাজ দেখছি আপনাদের সংগঠনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় । আমি মনে করি প্রত্যেকটি উপজেলায় এরকম কিছু অরাজনৈতিক সংগঠন থাকা দরকার। আপনাদের তারুণ্যের হাট সংগঠনে সম্মানিত কিছু ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মাশারফি আর আরেফিন শুভকে দেখতে পেলাম ছবিতে। ফুটবল ব্লগের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
জি ভাই ঠিক বলেছেন। এসব সংগঠনের খুব দরকার আমাদের সমাজে। ধন্যবাদ ভাই। ভাল লাগলো কমেন্ট পড়ে।