আমার বাংলা ব্লগ। নাড়ির টান যেন ছাড়ে না আমায়। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
নাড়ির টান যেন ছাড়ে না আমায়।
চিরচেনা সেই শৈশব আজও বারবার মনে পড়ে এই রূপময় গ্রামের হাজারো কথা হাজারো গল্প জড়িয়ে আছে শৈশব নিয়ে। বেড়ে ওঠা এই মাঠ ঘাট রাস্তায় আমার শৈশব।
আমার বাড়ির আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, এই পথই আমার বাংলা ব্লগের আমার বন্ধু এবং সহযোগীরা হয়তো দেখেছেন এর আগেও আমি শেয়ার করেছিলাম। তবে আমাদের দেশ ষড়ঋতুর দেশ, সেই অনুসারে প্রতি ঋতুতে আমাদের পরিবেশের রূপবৈচিত্র্য গুলো পরিবর্তন হয়। আর সবচেয়ে বড় কথা নাড়ির টান যেন পিছু ছাড়ে না। তার মানে বাড়িতে গেলে শহরে আসতে ইচ্ছে করে না। গ্রামে সবুজের সমাহার শুধু হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যখন আমি এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম, তখন আমার কাছে মনে হচ্ছে যে এই খানে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। আমার শৈশবের স্মৃতি যা বারবার মনের দরজায় কড়া নাড়ে।
এই রাস্তাটা যদিও একসময় মেঠো পথ ছিল, কিন্তু এখন আর মেঠো পথ নেই। এখন পিচডালা রোড হয়ে গিয়েছে, তবে গ্রামের ভিতরে হাঁটার মজাটাই আলাদা।
এটা হচ্ছে আমাদের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা মহাসড়ক। অর্থাৎ আমার যদি আমাদের জিরো পয়েন্ট থেকে যখন আমরা বাসে উঠি তখন আমাদের শেষ গন্তব্য যাত্রাবাড়ী অথবা সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড।
গ্রামের চির সবুজের দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে এখানে আসলে রূপবৈচিত্র্যে শেষ নেই, মনমুগ্ধকর বাতাস হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
কতইনা গ্রামের সৌন্দর্য মাঠের পর মাঠ ধানক্ষেত ফসল ফলিয়ে রেখেছে। হয়তো আর দুই মাস পরে ফসল উঠবে ঘরে। এরই মাঝে সবুজ আর সবুজ মাঠ ঘাট শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।
এখানে দেখা যাচ্ছে একটা মাছের প্রজেক্ট করেছে ছোটখাটো, সাথে একটা নতুন বাড়ি হয়েছে। বাড়ির সামনে থেকে ফটোগ্রাফি টা নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে এতো বেশি সুন্দর লাগছিল তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কোনো যানজট নেই খোলা পরিবেশ মনমাতানো হাওয়ায় সোনালী রোদ্দুর সব মিলিয়ে অসাধারণ।
এখানে একজন কৃষক তারপর ফসলের জমির পাশে নেট দিয়ে দিচ্ছে যাতে গরু কিনবা ছাগল ফসল নষ্ট করতে না পারে। তবে এই অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর এই ফসল যখন বাড়ি উঠে এবং বাড়ি থেকে ধানগুলো গোলায় উঠে তখন কৃষকের মুখে হাসি ফোটে।
এটা একটা নদী, নদী টা অনেকটা শুকিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে যেন একটা খাল। আর এই নদীটা আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। যখন আমি সিএনজিতে জার্নিং অবস্থায় ছিলাম তখন আমি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম।
এখন নদীটা প্রায় মরা অবস্থা, তবে যখন যৌবনে ফিরে আসে তখন এই নদীর রুপের শেষ থাকে না। শুধু চেয়ে থাকতে মন চায়, শত শত নৌকা চলাচল করে এই নদীতে। কত জেলে মাছ ধরে তার হিসাব করা যায় না।
এটাই হচ্ছে গ্রামগঞ্জের আসল রূপ বৈচিত্র। আর এই মনমুগ্ধকর পরিবেশ থেকে কেইবা আসতে চায় ইট-বালু শহরেই। তবুও বেঁচে থাকার লড়াই করার জন্য শহরে ছুটে চলে আসতে হয়। তবে নাড়ির ছাড়া জায় না সে কি কখনো ছেড়ে থাকা যায়। ছুটে যেতে হয় এক দিনের জন্য ছুটি পেলে দুই দিনের জন্য ছুটি পেলেও অথবা বছরে একবারের জন্য হলেও নাড়ির টান সেই টানে সারা জীবন থেকে যাবে। আর বাড়ি গেলে কষ্ট কিংবা অর্থহীনতায় ভুগছি সেটা মনে থাকে না। শুধু এই পরিবেশে মায়ের কোলে আগলে রেখে কখন যে দিন চলে যায় মাস চলে যায় খবর থাকেন। সত্যিই আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি গুনাগুন বলে শেষ করা যাবেনা।
বন্ধুরা আমার এলাকার আশেপাশের আমার বাড়ির আঙিনার কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এবং মনের ভাব কিছু প্রকাশ করার চেষ্টা করলাম। আশা করি সকলের কাছেই ভালো লাগবে, ভাল মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আপনার এলাকাটি খুব সুন্দর ভাইয়া।আর শৈশবের স্মৃতি কখনো ভুলে থাকা যায় না, যেটি কাজের সূত্রে ভুলে থাকলেও মন মানতে চায় না।ছবিগুলো ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য মনে প্রশান্তি এসেছে। আপনার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন রইল।
আসলে আমি আপনার গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফির গুরু দেখে খুব মুগ্ধ হলাম। সত্যি ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অনন্য ছিল। আমরা যেখানে থাকি না কেন নাড়ির টান সবসময় কাজ করে। এত অসাধারন পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সত্যি অসাধারণ মন্তব্য প্রকাশ করেছেন, আপনার এই মন্তব্যটি আমাকে আরো নতুন কিছু করার জন্য উৎসাহ দিয়েছে। এত সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
আমার কাছে মনে হয় কি ভাইয়া,গ্রামের চেয়ে সৌন্দর্য ভূমি কোথাও নেই। আর সে গ্রামটা হতে হবে নিজের জন্মভূমি গ্রাম। যেখান থেকে মন চায় না দুরে কোথাও যায়, আর দূরে কোথাও থাকলেও বার বার যেন ফিরে আসি।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিজের জন্মভূমি চেয়ে প্রিয় জায়গা আর কিছুই হতে পারে না। অসংখ্য ধন্যবাদ মতামত প্রকাশ করে সাথে থাকার জন্য।
আসলে গ্রামের এইরূপ বৈচিত্র্যময় সবুজের সমারোহ বরাবরই মনটাকে কেড়ে নেয়। এই দৃশ্য গুলো দেখলে মনে হয় এটা যেন আমার নিজের কোন পরিচিত, বেশ পুরোনো সখ্যতা দৃশ্যগুলোর সাথে। যাইহোক আপনার পিছনে মনে হয় বিয়ে বাড়ির মাইক্রো যাচ্ছে। 😁
ভাই গ্রামের দৃশ্য গুলো খুব পরিচিত মনে হয়। মনে হয় যেন এটা খুব আপন একটা জায়গা। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
বাপ আপনাদের এলাকা তো অনেক সুন্দর। প্রত্যেকটা অফ ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবুজ শ্যামলে ভরা এই রকম জায়গাগুলো দেখতে ভালই লাগে। আপনার বাড়ির আশেপাশে প্রত্যেকটা জায়গা আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমাদের মজার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার এলাকার প্রশংসা করার জন্য। হ্যাঁ আপনি সত্যি বলেছেন আমার এলাকাটি সত্যিই দারুন। খুবই সুন্দর পরিবেশ এবং পরিপাটি প্রত্যেকটা রাস্তাঘাট এবং প্রত্যেকটা বাড়ি। এত সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ গুলো আমাকে নস্টালজিক করে দেয়। আমি আসলে আগাগোড়াই গ্রামীণ সৌন্দর্যের ভক্ত। আপনার ছবিগুলো ভালোই হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার মন্তব্যটি পেয়ে আমি এতটা আনন্দিত হয়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। তবে ভাইয়া সত্যিই আমার গ্রামটা অনেক সুন্দর যদি নিয়ে দেখাতে পারতাম তাহলে হয়তো আরও বেশি ভালো লাগতো। আর আপনি ভ্রমণ রসিক সেটা আমি জানি। এত সুন্দর মন্তব্য করে ছোট ভাইকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
শুধু আপনাকে না ভাই আমাদের কাউকেই নারীর টান ছাড়ে না। গ্রামের সবুজ প্রকৃতি ফসলের ক্ষেত আকা বাকা রাস্তা যেন আমাদের টেনে নিয়ে যায়। অনেক সুন্দর ছিল আপনার গ্রামটা। এবং দারুণ সব ফটোগ্রাফি এবং কী সুন্দর সাবলীল লেখা। সবমিলিয়ে দারুণ উপস্থাপনা।
ঠিকই বলেছেন ভাই প্রত্যেকটা মানুষকে নাড়ির টান ছাড়ে না। উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
আসলেই ভাই গ্রামের সাথে কোনো কিছুর তুলনা হয় না।আমি ও যখন গ্রামে যাই আর ঢাকা আসতে মন চায় না। গ্রামের প্রকৃতির মায়ায় পড়ে যাই। এখনো অনেক মিস করি গ্রামকে। ইনশাআল্লাহ ঈদে যাওয়া হবে।
জি ভাইয়া ঠিকই বলেছেন গ্রাম ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করে না। তবে আমিও আশায় থাকি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাব, আনন্দ করবো সবার সাথে, আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাবো। আপনার মন্তব্যটি আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
গ্রামের এই আঁকাবাঁকা মেঠো পথ গুলো দেখতে আসলেই খুবই ভালো লাগে। আর এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি গ্রামের সৌন্দর্য তুলে ধরে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
বরাবরই মেঠোপথ গুলোকে খুব মিস করি এবং কি গ্রামে যাওয়ার অধীর আগ্রহে পড়ে থাকি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
আপনার পুরো এলাকাটি আমাদের ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ 💌
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ।
ভীষণ সুন্দর সবগুলো ছবি।
দারুন উপভোগ করলাম।
আর অসাধারণ লিখেছেন পুরো পোস্টটি।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌