আমার বাংলা ব্লগ। শোল মাছ দিয়ে সু-সাধু খেসারি রেসিপি। ১০% পে-আউ লাজুক খ্যাক এর জন্য।
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
শোল মাছ দিয়ে সুস্বাদু খেসারি রেসিপি।
![]() |
---|
নিত্যনতুন যেকোনো খাবার যেমন মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তেমনি আমরা সবাই চাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু ভিন্ন রকম স্বাদ নিয়ে আসার জন্য। তাই আমিও চেষ্টা করলা ভিন্ন রকম স্বাদ উপভোগ করার জন্য। আর ভাবলাম আমার আজকের এই নতুন রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আমরা কেউ বলি সিমের বিচি, কেউ বলি খাইসশা, আবার কেউ বলি খেসারি এগুলো মূলত আমাদের আঞ্চলিক ভাষা। তবে খেসারি যেকোনো বড় মাছ মাছের মাথা অথবা শোল মাছ দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু।
বসন্তের মৌসুমেই সিম প্রায় শেষ হয়ে যায় এবং সিম থেকে বীজ সংগ্রহ করে সেগুলো খেসারি হিসেবে আমরা খেয়ে থাকি। এবং কি এটা খুবই সুস্বাদু একটি খাবার, আদর্শ খাবার ও বলা যেতে পারে। তাই চিন্তা করলাম আমার বাংলা ব্লগার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি। যেই চিন্তা সেই কাজ রেসিপিটি সম্পন্ন করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে দেখে নেই আমার আজকে শোল মাছ দিয়ে সুস্বাদু খেসারি রন্ধন প্রক্রিয়া।
শোল মাছ দিয়ে সুস্বাদু খেসারি রেসিপি উপকরণ।
![]() |
---|
- খেসারি ৫০০ গ্ৰাম।
- শোল মাছ ৫০০ গ্রাম।
- টমেটো দুইটি।
- কাঁচামরিচ কুচি ৪/৫টি।
- পেঁয়াজ কুচি ২ টি।
- হলুদের গুঁড়া এক চা চামচ।
- মরিচের গুঁড়া এক চা-চামচ।
- ধনিয়ার গুড়া এক চা চামচ।
- রসুন বাটা দেড় চামচ।
- লবণ স্বাদমতো।
- সয়াবিন তেল পরিমাণমতো।
- ধনিয়া পাতা কুচি পরিমাণমতো।
ধাপ - ১
![]() |
---|
প্রথমে আমি এই সিমের বিচি গুলো চামড়া ছিলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।
ধাপ - ২
![]() |
---|
শোল মাছ নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩
![]() |
---|
ভাজি করার জন্য ৪ পিস শোল মাছ নিয়ে নিলাম এবং হলুদ লবণ মেখে নিলাম।
ধাপ - ৪
![]() |
---|
প্রথমে আমি চুলায় কড়াই বসালাম এবং কড়াই গরম হওয়ার পর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিলাম। তেল গরম হওয়ার পর আমি শোল মাছ গুলো ছেড়ে দিলাম ভাজি করার জন্য।
ধাপ - ৫
![]() |
---|
এখানে আমার শোল মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেল।
ধাপ - ৬
![]() |
---|
চুলায় পাতিল বসালাম এবং পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭
![]() |
---|
সয়াবিন তেল গরম হওয়ার পর কাঁচামরিচ কুচি এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৮
![]() |
---|
একে একে সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম এবং ভালো করে তেলের মধ্যে মসলাগুলো ভেজে নিবো।
ধাপ - ৯
![]() |
---|
মসলাগুলো বাজা হওয়ার পর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম কষানোর জন্য।
ধাপ - ১০
![]() |
---|
শোল মাছগুলো আবার মসলা গুলোর মধ্যে ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১১
![]() |
---|
শোল মাছ গুলো ভালো করে কষানো হয়ে গেছে। এখন অনায়াসে খাওয়া যাবে। ঝোল থেকে মাছগুলো উঠেয়ে আলাদা করে রাখবো।
ধাপ - ১২
![]() |
---|
এখন আমি খেসারি গুলো দিয়ে দিচ্ছি কষানোর জন্য।
ধাপ - ১৩
![]() |
---|
শিমের, খেসারির বিচিগুলো প্রায় ভালো করে কষানো হয়ে গেছে।
ধাপ - ১৪
![]() |
---|
এখন আমি বেশি করে জল দিয়ে দিলাম খেসারি গুলো সেদ্ধ করার জন্য।
ধাপ - ১৫
![]() |
---|
খেসারি গুলো অনেকটা সিদ্ধ হয়ে গেছে এখন আমি উপরে টমেটো ছেড়ে দিচ্ছি।
ধাপ - ১৬
![]() |
---|
জল গুলো ভাল করে সিদ্ধ হওয়ার পর আমি এখন ভাজা মাছ গুলো ছেড়ে দিচ্ছি।
ধাপ - ১৭
![]() |
---|
আমার খেসারি রেসিপি অনেকটা হয়ে এসেছে ঝোলটা আর একটু কমিয়ে নেব।
ধাপ - ১৮
![]() |
---|
এখন আমি ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৯
![]() |
---|
হয়ে গেল আমার শোল মাছ দিয়ে সুস্বাদু খেসারি রেসিপি। চুলা থেকে নামিয়ে ফেললাম এখন পরিবেশনের পালা।
ধাপ - ২০
![]() |
---|
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল আমার শোল মাছ দিয়ে সুস্বাদু খেসারি রেসিপি।
ধাপ - ২১
![]() |
---|
শোল মাছ দিয়ে সুস্বাদু খেসারি রেসিপিটি সম্পন্ন করে আমি একটা সেলফি নিলাম।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে শোল মাছ দিয়ে সুস্বাদু খেসারি রেসিপিটি। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে, ভাল মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন ভাইয়া। খেসারি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু আমি শোল মাছ খাই না। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এমনিতেই খেসারি রান্না করলে খুব ভালোই হয়। আপনার রানার কালার টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
স্বাদের কথা কি আর বলতে হয় ,তবে আপনি ঠিকই বুঝতে পেরেছেন এটা মজাদার হয়েছে। আর বড় শোল মাছ এমনিতেই এক্সট্রা একটা ফ্লেভার আছে খেতে অতুলনীয়। এত সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
শোল মাছ, আলু ও টমেটো দিয়ে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। তবে খেসারি ডাল দিয়ে এমন রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। খেসারি ডালের সাথে শোল মাছ রান্নার পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধনিয়াপাতা দেওয়ার কারনে হয়তো এটি আরো বেশি সুস্বাদু লেগেছে। ব্যতিক্রমী এমন রান্না শিখতে দারুন সহায়ক হবে।
অসাধারণ মন্তব্য ছিল এত সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমন্ত্রণ ও ভালবাসা রইলো শ্রদ্ধেয়।
বাহ দারুণ একটি ইউনিক রেসিপি ছিল। আমি কখনো শোল মাছ দিয়ে খেসারি এর রেসিপি খাই নাই। তবে আপনার রেসিপি টা দারুণ হয়েছে। এবং খেতেও সুস্বাদু হয়েছে এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। খুব ভালো উপস্থাপনা ছিল।।
আপনি যদি খেয়ে না থাকেন তাহলে মনে করবেন অনেক স্বাদের একটা জিনিস মিস করেছেন। চেষ্টা করবেন খাওয়ার জন্য, খেতে অতুলনীয় ছিল। আর এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শোল মাছ আমার খুবই পছন্দের একটা মাছ। শোল মাছ খেতে খুবই দারুণ লাগে। খেঁসারি দিয়ে রান্না করছেন মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এতো সুন্দর শোল মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ঠিকই বলেছেন শোল মাছ অনেক মজার একটি মাছ। এটা অনেকেই খায় না, কেন খায় না সেটা আমি জানি না। আর খেসারি দিয়ে অতুলনীয় একটি স্বাদ পাওয়া যায়। আর আপনার এত সুন্দর মন্তব্য শুনে খুবই ভালো লাগলো, আপনার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন রইল।
আসলেই একেক জায়গায় একেক নামে চেনে।কেউ শিমের বিচি,আমাদের এখানে খাসির দানা বলা হয়।আজকে আপনার কাছে জানতে পারলাম খেসারি।আমার মা ও শোল মাছ দিয়ে রান্না করে তবে একটু ভেজে নেই। ভালো ছিলো আপনার রেসিপি টা।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আমিও রেসিপিটি করার আগে ভেজে তারপরেই রান্না করেছি। আপনি একটু ভালো করে দেখুন হয়তো প্রতিটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করা হয়নি। তবে যেভাবে দিয়েছে বোঝার কথা। যাইহোক আপনার মা এভাবে রান্না করে সেটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
শিমের বিচি দিয়ে শোল মাছ রান্নার অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। শোল মাছ দিয়ে শিমের বিচি এখনো খাওয়া হয়নি। আমি অবশ্যই এই রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখব। মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই একবার হলেও ট্রাই করবেন। অসাধারণ টেস্টি যা না খেলে বলে বোঝানো যাবে না। আর এত সুন্দর করে উৎসাহ মূলক প্রশংসা করার জন্য এবং মন্তব্য প্রকাশ করে মনের প্রশান্তি দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
শোল মাছ দিয়ে চমৎকার একটি খেসারি রেসিপি বানিয়েছেন যেটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধনপ্রণালী দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপির পুরো প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে বুঝতে পেরেছি অন্তত আপনি একবার হলেও পুরোটি পোস্ট চোখ বুলিয়ে দেখেছেন। আর এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
শোল মাছ দিয়ে সু-সাধু খেসারি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। সত্যি আমার কাছে আপনার উপস্থাপন অনেক ভাল লেগেছে।
শোল মাছের খিচুড়ি কখনো খাওয়া হয়নি।
তবে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খাওয়া দরকার।
ভাইয়া মন্তব্যটা ভালোই করেছেন, তবে ছোট্ট একটা ভুল করে ফেলেছেন। ভালো করে খেয়াল করেননি, এটা কোন খিচুড়ি নয়, এটা ছিল শিমের বিচির একটা তরকারি অর্থাৎ আমরা খেসারি বলি। যাইহোক এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তবে যেকোনো বিষয়ে একটু দেখে শুনে মন্তব্য করা ভালো না হয় আপনি অন্যের কাছে ছোট হয়ে যাবেন বাই হিসেবে কথাটি বললাম মনে কিছু নেবেন না আপনার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন রইল।
শোল মাছ দিয়ে চমৎকার একটি খেসারি রেসিপি বানিয়েছেন যেটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধনপ্রণালী দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপির পুরো প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
শীতকালীন সবচাইতে খুব প্রিয় একটি খাবার শোল মাছ দিয়ে খেয়ে শিমের বিচি রান্না ।খুব কম সংখ্যক লোক রয়েছে যারা এভাবে রান্না করে খায়নি। কারণ এটি প্রতিনিয়ত গ্রাম অঞ্চল এবং শহরে এ রান্নাটি বরাবরই হয়ে থাকে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন, তবে গ্রামের মানুষ এইভাবে একটু বেশি খায়। আর আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে খুবই আনন্দ পেলাম। উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।