আমার বাংলা ব্লগ। আর্তনাদ। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
 |
|---|
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
ছাব্বিশে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস হিসেবে পালিত হয়। তবুও কেন জানি মনে হয় আজও আমরা স্বাধীন না। বাঙালি এখন বাঙালিদেরকে শোষণ করছে, চলছে বাইরের মানুষের ইঙ্গিতে এবং কি নিজের দেশটাকে করে নিচ্ছে গ্রাস, মনের ক্ষত বিক্ষত হাজার প্রশ্ন কাকে বলবো কার কাছে বলব একমাত্র উপরওয়ালা ছাড়া আর কেউ নেই। তাই মনের ভাবটুকু কবিতার মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম, আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
বন্ধুরা যদিও আমি কোন পেশাদার কবি নয়, তবুও মাঝে মধ্যে কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। তবে এই কবিতা লেখার পুরো অবদান টাই হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগের এডমিন এবং আমার বাংলা ব্লগের মড এবং আমার বাংলা ব্লগের আমার সহকারি সকল বন্ধুদের। কারণ সবাই যখন কবিতা লিখে তখন উৎসাহ পেলাম যে আমিও চেষ্টা করি হয়তো আমিও পারব। তাই আমিও চেষ্টা করছি মাঝেমধ্যে আপনাদেরকে নিজের মনের ভাবনা কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। আশা করি সকলের ভাল লাগবে এখন এবং সকলেই সাপোর্ট করে যাবেন। চলুন উপভোগ করেনি আজকের কবিতাখানি "আর্তনাদ"।
স্বরচিত কবিতা।
আর্তনাদ।
গ্রাম বাংলার সহজ সরল নিরীহ মানুষ ভাই
এই গ্রামকে বুকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চাই
এই বাংলায় এসেছিল কত হাজার রূপের মানুষ
তাদের মাঝে ছিল কেউ মানুষরূপী অমানুষ।
বাঙালি কে শোষণ বাঙালিকে নিপীড়ন
বাঙালির ঘরে বসেই, বাঙালির দোষ কিসে
আমি দরিদ্র বাঙালি আমার পরিচয়
আমার রক্ত চুষে নেওয়া ছাড়া, আমার কাছে আর কিছু নাই।
অত্যাচার জুলুম জালিয়াতি সইবো আর কতকাল
সর্বদাই আশায় থাকি হবে কি মোদের মাথার মুকুট কেউ
শেখ মুজিব নামের রাজপুত্র এসেছিল বাংলার ঘরে
গরিবের জন্য কাঁদে সেই গর্জে উঠে আবার।
তার গর্জন এসব শোষিত বাঙালি হলো এক জায়গায়
বলেছিল শোষণ আর কত সইবে গর্জে উঠো এবার
যা কিছু আছে তোমার কাছে প্রস্তুত থাকো ভাই
বাংলা আমরা ছিনিয়ে নেব জালেমদের হাত থেকে।
একে বাগালি বাঘের গর্জনে ভীতু সারাবিশ্বে ময়
এক বাঙালির গর্জনে সারা বাংলার বাঙালি এক জায়গায় হয়
অস্ত্র ধরলাম শক্ত হাতে ছিনিয়ে নিলাম বিজয়
বিজয় আমাকে হারাতে হলো লক্ষ ভাই বোনের জীবন।
তবুও আমি গর্ববোধ করি বাঙালির পরিচয় পেয়ে
স্বাধীন আমি স্বাধীন রাষ্ট্র স্বাধীনতার বুকে চলে
এত হাসি কান্নার মাঝেও আমায় বার বার মনে করে দেয়
কত নিষ্ঠুর কত জালেম শাসক করেছিল আমাদের প্রতি অন্যায়।
বাঙালি আমরা এতটাই নির্বোধ
করেছিলাম সাধারন ক্ষমা
আজ সেই সাধারণ ক্ষমার মাশুল গুলো
গুনে গুনে দিতে হচ্ছে ওরে সোনা।
জালেমরা দিয়ে গেছে বিষ, রয়ে গেছে সেই বিষয়ে তীব্র আক্রোশ
ক্ষণে ক্ষণে শুষে নিচ্ছে সেই আক্রোশের নিরীহ বাঙালি কে
স্বাধীনতা পেয়েও কেন জানি এখন মনে হয় শুধু স্বাধীনতা তো নয়
এই যেন বাঙ্গালীদের মনুষ্যত্বের অপরাজয়।
স্বাধীনতার স্মৃতি বুকে নিয়ে বইছি নিরবধি
এখন আবার হৃদয়ে সেই আকাঙ্খাটুকু বাজে, কখন আবার আসবে সেই মুজিব
বাঙালির সোনার বাংলা, অত্যাচার-নিপীড়ন শোষণ করবে নিশ্বেস
আবার সেই সোনালী হাসি দিয়ে বুক ফুলিয়ে চলতে চাই এই বাংলার বুকে।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার কবিতাখানি "আর্তনাদ"। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন, ভালোমতো কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
কবিতাটি আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। কবিতার লাইনগুলো আমার হৃদয়ে লেগেছে। গ্রামের মানুষরূপী অমানুষ গুলোর কথা খুব সুন্দর ভাবে কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার থেকে সুন্দর সুন্দর কবিতা সব সময় আশা করি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই, যদিও আমি পেশাদার করি নায় তবুও আপনার অনুপ্রেরণায় কিছু কিছু লেখার চেষ্টা করি। আর আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে এতটাই আনন্দ পেয়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আপনার প্রতি রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা অবিরাম।
অসাধারণ ছিল ভাই আপনার কবিতাটি। স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে দারুন একটি কবিতা লিখেছেন। আর ইদানিং আপনি খুব সুন্দর কবিতা লিখছেন সেটা বলতেই হয়। চালিয়ে যান ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সত্যি ভাই আপনাদের অনুপ্রেরণা এবং ভালোবাসাই আমাকে নতুন কিছু লিখতে সহযোগিতা করে। আর এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মহান স্বাধীনতা দিবসে বাঙালির নিরীহ জাতির উপর পূর্ব পাকিস্তান কর্তৃক বিভিন্নভাবে যে নির্যাতন জুলুম নিপীড়ন চালানো হয়েছে সবগুলো বিষয় আপনি তুলে ধরে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ভাইয়া আপনি এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন আসলে কিভাবে ধন্যবাদ জানাবো সে ভাষা আমার জানা নেই। এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আপনার কবিতার নাম শুনে এতটা ভাল লাগল কি বলবো। আজকের দিনে আপনার কবিতার লাইনগুলো একদম যথার্থ বলেছেন। স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে পুরো কবিতাটি পড়তে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যিই আমরা বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি। স্বাধীনতার স্মৃতি নিয়ে কবিতার লাইনগুলো যথার্থ লিখেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার উৎসাহ এবং ভালোবাসা এবং এত সুন্দর মন্তব্য আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছে। এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম আপু।
ভাইয়া, আপনি ঠিক বলেছেন 26 শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস ঠিকই।আমারও মনে হয় কেন যেন আমরা এখনও স্বাধীন হতে পারেনি। প্রতিনিয়ত বাঙালির উপর শোষণ নিপীড়ন চলছে।যাই হোক
ভাইয়া, আপনি খুবই সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কবিতার প্রতিটি লাইন আমার খুবই ভালো লেগেছে।তবে কবিতার এই অংশটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার এই ভালোলাগা এবং উৎসাহ আমাকে নতুন করে আরও কিছু লিখার এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
ভাইয়া আপনার কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো হৃদয়ের মধ্যে গেঁথে গেল কেন জানি। প্রত্যেকটা লাইন যেন মধুর শব্দ দিয়ে ধরে তুলেছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার কবিতা পড়ে। ধন্যবাদ এত সুন্দর কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। পরবর্তীতে আরও শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
আপনারা এই ভালোলাগাটাকে আমার কবিতা লিখার স্বার্থকতা মনে করছি। আর এত সুন্দর উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন ভাইয়া মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে।আসলে বাইরে থেকে দেখতে মানুষ হলেও মন থেকে তারা অমানুষ।আর অমানুষিকতার কারনে বাঙালীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছিল।এইজন্য স্বাধীনতা বাঙালির জন্য গর্বের ও আনন্দের।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার প্রশংসা গুলো আমাকে খুবই আনন্দ দেয়। সত্যিই দিদি সব সময় পাশে থেকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন এবং গভীর ভালোবাসা।
আপনার তৈরি করা আর্তনাদ কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো । এই কবিতার মাধ্যমে আপনি আমাদের স্বাধীনতার অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি ধন্য, এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কবিতা লেখার প্রয়াস ভাল ছিল।করতে থাকেন পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের ভালোবাসা এভাবে সবসময় পাশে থাকলে অবশ্যই পারবো। গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।