আমার বাংলা ব্লগ। নিজের চাষকৃত কালিজিরা চালের পোলাও। ১০% পে- আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
নিজের চাষকৃত কালিজিরা চাউল এর পোলাও।
![]() |
---|
পোলাও রেসিপিটি সম্পন্ন করে আমি একটা ছবি নিলাম।গ্ৰাম অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে সাদা পোলাও। আর কালিজিরার সাদা পোলাও ফ্লেভারটা অন্যরকম, খুব সুন্দর একটা মিষ্টি গন্ধ ছড়ায় এবং কি খেতে খুব মজাদার।
কিছু কথা না বললে কেন জানি মনের ভিতর কেমন জানি বাসা বেঁধে থাকে, একটু যন্ত্রণাদায়ক অনুভব হয়। আসল কথা হল আমরা যারা কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়েছি বা অযোগায়ে জন্ম নিয়েছে আমরা নিজের চাষকৃত ধানের ভাত খেয়ে অভ্যস্ত। অনেক সময় হঠাৎ করে শহরে আসলে আমরা বাজারজাতকৃত চাউল খেতে পারিনা। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। আর বিশেষ করে পোলাওর চাল কিনে শান্তি খুঁজে পাইনা। কারন বাজারকৃত পোলার চাউল বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে। এবং পোলাও চালের সেই ফ্লেভার টি পাওয়া যায় না। সেটা পাওয়া গেলেও আসল স্বাদ অনুভব হয় না। যাই হোক আজকে আমি আমার নিজের চাষকৃত কালি জিরা পোলাও চালের রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
আসলে এটি এখন গ্রামে অনেকেই করে না। কারণ এতে ফলন খুব কম হয় এবং খরচ অনেক বেশি হয়। যার কারণে এখন কেউ এই কালোজিরা ধানের চাষ তেমন একটা করে না বললে হয়তো ভুল হবে না। হাজারে দুই একজন করে, যাই হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে কালোজিরা চালের পোলাও রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি সকলের ভাল লাগবে, চলুন দেখে নেই এক পলক রন্ধন প্রক্রিয়া টি।
কালিজিরা চালের পোলাও
![]() |
---|
রেসিপিটি সম্পন্ন করে একটা সেলফি নিলাম।
কালিজিরা চালের পোলাও এর উপকরণ।
![]() |
---|
![]() |
---|
- কালোজিরা চাউল এক কেজি।
- পেঁয়াজ কুচি।
- আস্ত কাঁচামরিচ তিন চার পিচ।
- তেজপাতা দুই তিনটা।
- এলাচ তিন চারটা।
- দারুচিনি পরিমাণমতো।
- লং গোল মরিচ পরিমাণমতো।
- লবণ পরিমাণমতো।
- গাজর একটি।
- সয়াবিন তেল পরিমাণমতো।
ধাপ - ১
![]() |
---|
চুলায় পাতিল বসালাম, পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হওয়ার পর পেঁয়াজকুচি ছেড়ে দিলাম। পেজ গুলো ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ - ২
![]() |
---|
পেঁয়াজ কুচি গুলো আমি বাদামি কালার করে ভেজে নেব, পেঁয়াজ কুচি গুলো প্রায় ভাজা হয়ে গেছে।
ধাপ - ৩
![]() |
---|
এখন আমি পোলাও চাল গুলো দিয়ে দিলাম ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ - ৪
![]() |
---|
চাল গুলো এমন ভাবে বাঁচতে হবে যাতে না ফুটে যায়। আমার চালগুলো ভাজা হয়ে গেছে। এখন আমি পরিমাণমতো পানি দিয়ে দেবো।
ধাপ - ৫
![]() |
---|
পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম এবং দুই মিনিট পরপর ভালো করে আস্তে আস্তে নেড়ে নিতে হবে।
ধাপ - ৬
![]() |
---|
এখানে আমি গাজর টিকে কুচি করে নিলাম।
ধাপ - ৭
![]() |
---|
এখন আমি উপরে ছেড়ে দিলাম আস্ত কাঁচামরিচ এবং প্রয়োজনীয় মশলা।
ধাপ - ৮
![]() |
---|
পোলাও চাল অনেকটা ভলক এসে গেছে। এখন আস্তে আস্তে একটু করে নেড়ে চেড়ে আবার ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে।
ধাপ - ৯
![]() |
---|
পোলাও গুলো প্রায় হয়ে গেছে। এখন আমি উপরে গাজরকুচি গুলো দিয়ে দমে দিয়ে রাখব। যাতে গাজরকুচি গুলো ষিদ্ধ হয়ে যায় এবং চালগুলো ভাল করে সিদ্ধ হয়।
ধাপ - ১০
![]() |
---|
প্রস্তুত হয়ে গেল নিজের চাষকৃত কালিজিরা চালের পোলাও। এখন পরিবেশন এর পালা।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার জটপট পোলাও তৈরি রেসিপি। সাদা পোলাও খেতে অনেকেই খুব বেশি পছন্দ করে। আবার গ্রাম অঞ্চলে বেশিরভাগ সাদা পোলাও তৈরি হয়। আর সেই সাদা পোলাও রেসিপি আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। ভাল মন্দ কমেন্টে জানাবেন, সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
গ্রামে গেলে এইরকম পোলাও সহ অনেক পিঠা খাওয়া হয়।আসলে ঢাকা কেনা চাল দিয়ে ভালো লাগে না। এখানে চালের অনেক কোয়ালিটি আছে, মোটা চাল মেসিনের মাধ্যমে ছোট ও চিকন করে। তবে গ্রামের চালে এই রকম কোনো সন্দেহ থাকে না। আপনার পোলাও দেখতে অনেক আকর্ষনীয় লাগছে। ❣️🤟
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক ই বলেছেন ইট বালু শহরে আমরা সব সময় ভেজাল নিয়ে পড়ে থাকি। গ্ৰামে সব কিছু ফিওর পাওয়া যায়। আর আপনার এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
নিজের চাষকৃত কালিজিরা চালের পোলাও। দেখতে যেমন আকর্ষণীয় হয়েছে খেতেও তেমনি সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বোঝা যায় কারণ নিজের চাষকৃত চাল বলে কথা।পোলাও আমার অসম্ভব প্রিয় প্রতিদিনই খেতে ইচ্ছে করে।আপনার পোলাও দেখে সত্যিই লোভ হচ্ছে এবং বিষম খেতে ইচ্ছে করছে।বাড়ির চালের পোলাও পোলাও অতুলনীয় ঘ্রাণ ♥♥
হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন এই ঘ্রাণটা সাধারণত আমরা কেনা চাউলেও পাই না মিষ্টি একটি ঘ্রাণ খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। আপনার কে দাওয়াত দিয়ে রাখলাম যেকোনো সময় এসে পড়বেন। আর এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
"প্রিয় ভাইয়া ঘ্রাণ বানানটা ঠিক করে নাও"
♥♥
এটা সত্যিই ভালো লাগার একটা বেপার ভাই। নিজের চাষ করা চাল দিয়ে পোলাও রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি কখনোই এই অনুভূতিটি পাই নি তবুও আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পোলাও গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে। পোলাও আমার খুবই পছন্দের, তাই আপনার পোলাও গুলো দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার এই ভালোলাগাটা এই আমার এই রেসিপি করাটা সার্থক মনে করছি। আর আপনার যেহেতু খেতে মন চাইছে সময় করে চলে আসবেন দাওয়াত দিয়ে রাখলাম। আর এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
নিজের চাষকৃত কালিজিরা চালের পোলাও এর চেয়ে সুস্বাদু খাবার আর হতেই পারে না। নিজের চাষের যে কোনো জিনিসই উৎপাদন করতে পারলে এবং তা ভোগ করতে পারলে তার মত তৃপ্তি আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। খুবই লোভ লাগছে ভাইয়া আপনার খাবারটি দেখে। আপনার নিজের চাষকৃত কালিজিরা চালের পোলাও রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন নিজের চাষকৃত যে কোন কিছুতে যে পরিমাণ তৃপ্তি পাওয়া যায় সেটা আর কোথাও পাওয়া যায় না। আর এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন যা সত্যিই আমার রেসিপিটি সার্থক বলে মনে হচ্ছে। এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ভাইয়া আপনি তো বেশ সুন্দর পোলাও তৈরি করতে পারেন তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া আপনার কালাজিরার চালের পোলাও রেসিপিটি। দেখে খেতে ইচ্ছা ভাইয়া। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার খেতে ইচ্ছে করছে যেহেতু তাড়াতাড়ি চলে আসেন। আপনাকে দাওয়াত দিয়ে রাখলাম যখনই সময় পাবেন হুট করে চলে আসবেন । এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
নিজের চাষকৃত বলেই এই চাল খুব সুস্বাদু হবে।কারণ নিজের ক্ষেতের যেকোনো ফসলই খুব ভালো লাগে। আর আপনি তো আজকে আমাদের মাঝে পোলাওয়ের রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার মনে হচ্ছে এর ফ্লেভারটা অসাধারণ হয়েছে।আমাদের মাঝে এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু সত্যিই এই চাউলের ফ্লেভারটা অসাধারণ, মিষ্টি একটি গন্ধ, খেতে খুবই ভালো লাগে যা বলে বোঝানো কষ্টকর। আর আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে সত্যিই আমি আনন্দিত। আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
কালিজিরা চালের পোলাও খেতে আমি অনেক ভালবাসি এবং আপনার এই রেসিপিটা সত্যি অনেক প্রশংসনীয় ছিল। বিশেষ করে আপনার উপস্থাপনা টা আমার কাছে অনেক চমৎকার লেগেছে এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এটি আপনার নিজের চাষকৃত চালের পোলাও যাই হোক সব মিলিয়ে আপনি চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি এতো সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন যা সত্যিই অনেক আনন্দ পেয়েছি। আর আমার পোস্টটির সার্থকতা মনে করছি। আর এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
ভাইয়া আপনার নিজের চাষকৃত কালিজিরা চালের পোলাও রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না। খেতে ইচ্ছা করছে। কালিজিরা চালের পোলাও খেতে অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ভাই আপনার খেতে মন চাইছে নিয়ে তো যেতে পারবো না, দাওয়াত দিয়ে রাখলাম অবশ্যই একদিন আসবেন। আর এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। আসলে পোলাও খেতে এমনিতেই অনেক সুস্বাদু হয়, আর আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কিন্তু সেটা যদি নিজের ক্ষেতের চালের পোলাও হয় তাহলে তো কথাই নেই। আর আপনি একটা সত্যি কথা বলেছেন যে আমরা যারা নিজের ক্ষেত্রে চাল খেয়ে থাকি বাড়িতে বসে, কিন্তু হঠাৎ করে শহরে এসে সেই চালের ভাত খেতে আমাদের আসলেই খুবই কষ্ট হয়। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম এবং আপনার কমেন্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছি যে আপনি আমার লিখাগুলো পড়েছেন মনোযোগ সহকারে। আর এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
কালিজিরা ধান আমাদের দিকেও অনেক চাষ হয়। এই চালের পোলাও খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমার কাছে ।কালোজিরা চালের পোলাও রেসিপি আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া আপনার কালোজিরা ধানের চাল খেয়ে যেহেতু অভ্যস্ত তাহলে আপনাকে আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। আপনি এর স্বাদ সম্পর্কে অবগত আছেন। আর এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।