আমার বাংলা ব্লগ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কার না ভালো লাগে। আর প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে বারে বার। এইতো গত শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে পুরবেলায় আবারো খেলতে গিয়েছিলাম কলেজের মাঠে। কিন্তু আমি সবার আগে গিয়েছিলাম। বাকি সবাই আসতে একটু লেট করে ফেলেছিল। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে নিলাম যা সত্যি আমার কাছে অনেক ভালোলাগার এবং কি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি ছিল।
আমি তেমন ভালো ফটোগ্রাফি করতে জানিনা। তবুও এত সুন্দর পরিবেশটা ছিল যে ফটোগ্রাফি গুলো না নিলেও থাকতে পারলাম না। মনের আনন্দে ইচ্ছে মত ফটোগ্রাফি গুলো নিলাম। তবে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি যেন নজর কাড়ার মত ছিল। আমাদের প্রিয় মডারেটর রূপক ভাইয়া একটা কথা বলেছিল। যে পরিবেশ সুন্দর থাকলে এমনিতে ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়। এর কিছুদিন পরে বাস্তব প্রমাণ টা নিজে হাতেই পেলাম। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
এ ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম মূলত কলেজের সাথে কৃষ্ণচূড়া গাছকে কেন্দ্র করে, বেশ দারুন লাগছে ঝলমল করছে যেন পরিবেশ।
বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ছোঁয়া পাব এটা কখনো আশা করিনি। গত শুক্রবারটা আমার কাছে সত্যিই স্পেশাল ছিল। কারণ এত সুন্দর সিনারি গুলো দেখতে পাবো এটা আমি কল্পনাও করি নাই।
আপনারা নৌকা বোঝাই মানুষ দেখতে পাচ্ছেন, আর এগুলো সবগুলাই হচ্ছে আমার সহকারী ফুটবলার। সবাই খেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসছে।
মাঠের অন্যপ্রান্তে কয়েকটা ছায়া করই গাছ, এতটাই সবুজ এবং কি সোনালী রৌদ্রের মধ্যে সবুজের একগুচ্ছ ফুলের তোড়ার মত লাগছে।
নদীর ওপার থেকে এপারে এসে মনে হচ্ছে যেন নদীর ওপারে সৌন্দর্যের সমাহার। কিন্তু এখানে যেই নদীর ওপারে দৃশ্য গুলো দেখতে পাচ্ছেন ওই জায়গাটাই হচ্ছে আমার বসবাসের কেন্দ্রস্থ।
আমি একই জায়গায় বসে বসে ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে এবং কি নিজের সেলফি গুলোও।
এখানে দাদা নাতির খেলা চলছে, যদিও ফটোগ্রাফির মধ্যে বোঝার কোন কায়দা নেই। নাতি বারবার রিকোয়েস্ট করছে নদীতে নামার জন্য। তার নানা নানান ধরনের তালবাহানা দেখিয়ে এক জায়গাতেই বসে রইল।
নীল আকাশের মাঝে ধোঁয়াশা মেঘের স্তূপ মনে হচ্ছে যেন শিমুলতলার পাহাড়। সেখানে সবুজের সাথে নদীর সাথে আকাশের অসাধারণ একটা মিলন মেলা।
নদীর ওপার থেকে এপারে যখন আসলাম তখন ওই পাড়ের প্রাসাদ গুলোকে এতটাই সৌন্দর্য লাগছে যা নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মত না। তবুও ফটোগ্রাফি গুলি থেকে মোটামুটি আন্দাজ করে নিতে পারবেন।
শেষ পর্যন্ত নিজের একটা সেলফি দিয়ে শেষ করলাম। তবে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তার মধ্যে আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আশা করি সকলের কাছেই মোটামুটি হলেও ভালো লাগবে।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে হারিয়ে যাওয়া দৃশ্যগুলো। আশা করি সকলে উপভোগ করবেন এবং ভালো মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
মাঠে খেলতে গিয়ে দেখি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশি দারুন হয়েছে। তাছাড়া সবার আগে চলে আসাতে একা একা অনেক সুন্দর প্রাকৃতির মাঝে সময় কাটিয়েছেন। নদীর ওপারের দৃশ্যগুলো সত্যি অসাধারণ লাগছিল। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে আপু নদীর পাড়ে মৃষ্টি বাতাসের মনটা যেন হেলে দুলেই চলে। দারুন ছিল তখনকার অনুভূতিটা। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতে আমারও খুব মন চায় সময় পেলে তাইতো কোথাও চলে যাই একটু ঘুরতে আপনি নদীর পাড় ঘুরে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সাথে আপনার অনুভূতি খুবই ভালো লাগলো
প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার আনন্দটা এই অন্যরকম, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
লীলায় আর মায়ায় ভরা এই সুন্দর পৃথিবী আমাদেরকে সব সময় কিছু না কিছু দিয়ে থাকে আপনার চোখে প্রকৃতির আরো সুন্দর সুন্দর ফটো গুলো অবলম্বন করতে পেরে ভালই লাগছে ।সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফির ধারণা।
আপনার কাঙ্খিত মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
গ্রাম বাংলার সবুজ শ্যামল প্রকৃতির খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কলেজের পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এবং বুড়িগঙ্গা নদীর খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটো গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
মুহূর্তটা দারুন ছিল, আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। মনে হয় যেন এখনো চোখের সামনে জলছবিগুলো ভাসছে। শুভেচ্ছা রইল মন্তব্য দিয়ে সাথে থাকার জন্য।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চমৎকার কিছু নীলাভূমি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। আসলে এই ধরনের পরিবেশের সাথে সময় পার করার মধ্যে অন্য রকমের একটি মজা রয়েছে।
এই ধরনের জাল আমাদের এলাকাতে আগে খুব বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যেত কিন্তু এখন তেমন আর দেখতে পাওয়া যায় না। আমাদের গ্রামীণ ভাষায় এই ধরনের জাল কে বলা হয় খরা জাল।
আপনার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ফটোগ্রাফার রা যে কখনো সুন্দর মুহূর্ত ক্যাপচার করার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হোন না তা আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারি। অসাধারণ হয়েছে আপনার তোলা আলোকচিত্র গুলো। প্রথম আলোকচিত্রটি ও নদীর এপার থেকে তোলা ওপারের প্রাসাদ গুলোর ছবিটি এক কথায় অসাধারণ। এমন ফটোগ্রাফির অপেক্ষায় থাকবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মানুষ সুন্দরের পূজারী, সৌন্দর্য উপভোগ করতে কে না চায়। তাই আমিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।