আমার বাংলা ব্লগ। বাড়ি ফেরা ও যন্ত্রণাদায়ক। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
বাড়ি ফেরা ও যন্ত্রণাদায়ক।
ফটোগ্রাফি - ১
![]() |
---|
ঢাকা থেকে কুমিল্লা হাইওয়ে রোডে এত পরিমান জ্যাম ছিল তা আমি কল্পনাও করতে পারেনি। তবে আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। আমি ধারাবাহিকভাবে আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করব। আজকে আমার কিছু ফটোগ্রাফি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম। এই যন্ত্রণা দায়ক মূহুর্ত ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ দারুন লাগছিল। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। এবং আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে নেওয়া।
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুগন, আমরা যারা বাংলাদেশি আছি আমরা সকলেই জানি বুধবার থেকে আমাদের শনিবার পর্যন্ত লম্বা একটা ছুটি পড়েছে। এবং সেই সুখের স্বপ্ন ভর করে সবাই বাড়ি ফেরার জন্য উঠে পড়ে লেগেছি। বাড়ি ফেরা যে যন্ত্রণাদায়ক হবে কেইবা জানত, আমি যদিও বুধবারে ফ্যামিলি নিয়ে ডাক্তারের সাথে মেডিকেল দৌড়াদৌড়ি করার কারণে বুধবার রাতে যেতে পারেনি। আমি বৃহস্পতিবার সকালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
দীর্ঘসময় শনিআখরা দাঁড়িয়ে ছিলাম, প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর আমি গাড়ি পেলাম। কিন্তু গাড়ি উঠার পর গাড়ি জেনো আর চলছেই না। এত জ্যাম আমার মনে হয় বিগত ১০ বছরে দেখিনি। এত বেশি কষ্ট হচ্ছে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। গাড়িতে বসে থেকে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি, কি করব তাও বুঝতে পারছি না।
এত পরিমান কষ্ট হয়েছে যে বাড়ি ফেরার ইচ্ছা টুকু হারিয়ে ফেলেছিলাম। যদি আমি একেবারেই ফাঁকা ছিলাম, সাথে কোন ব্যাগ ছিল না, ফ্যামিলি কে নেই নাই একেবারে সিঙ্গেল ছিলাম। আমার এত পরিমান কষ্ট হয়েছে যদি সাথে পেমিলি থাকতো তাহলে কষ্টের সীমাহীন থাকতো না। গাড়িতে উঠেছিলাম সকাল আটটায় আর বাড়ি পৌঁছলাম সন্ধে আট টায়। যেখানে আমার তিন ঘন্টার বাড়ি পৌঁছে যেতাম সেখানে বারো ঘন্টা লেগেছে আমার শুধু বাড়ি যেতে। তাই আমার যন্ত্রণাদায়ক সময়টুকু আমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম।
ফটোগ্রাফি - ২
![]() |
---|
রাস্তার পাশে খুব সুন্দর ফুল গাছ দেখে তো ছুঁতে মন চাইছে। ধুলাবালিতে একেবারে আবরণে ঢেকে গেছে। কিন্তু গাছের মুকুল এবং ফুল গুলো দেখতে বেশ দারুন লাগছিল। সাদার মধ্যে বেগুনি রং কালার টা বেশ ধারুণ।
ফটোগ্রাফিক - ৩
![]() |
---|
এই চিত্রটা হচ্ছে দাউদকান্দি ব্রীজ এর উপর থেকে চতুর্দিকে শুধু শ্মশান কোথাও কোন লোকজন নেই। কোন দোকানপাট নাই এভাবে কতক্ষন বসে থাকা যায়। তাই বন্ধুদের সাথে চিত্র গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
ফটোগ্রাফি - ৪
![]() |
---|
রাস্তার পাশে সজনে পাতা গাছ, সজনে পাতার ডাটা গুলো দেখে আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় লাগছে চিকন চিকন এবং প্রচুর পরিমাণে ধরেছে।
ফটোগ্রাফি - ৫
![]() |
---|
সজনে পাতার ডাটা এত বেশি ভালো লাগ ছিল, রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় হয়েছে, দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি আকর্ষণীয়।
ফটোগ্রাফি - ৬
![]() |
---|
ওয়ান বাই ওয়ান রোড তবুও জ্যামের শেষ নেই, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এসে পৌঁছলাম। এত পরিমান রোদ পড়ছে মনে হয় শাসনের মত, মার্কেট রাস্তাঘাট সব ফাঁকা।
ফটোগ্রাফি - ৭
![]() |
---|
ক্যান্টনমেন্টের মার্কেটে দৃশ্য গুলো খুবই দারুন লাগছিল তাই ফটোগ্রাফি গুলো নেওয়া।
ফটোগ্রাফি - ৮
![]() |
---|
আমি যদিও কুমিল্লার ছেলে কিন্তু এই গুমতি টাওয়ার চালু হওয়ার পর কয়েক বছর হয়ে গেছে এ পর্যন্ত আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। বাইরে থেকে যেমন সুন্দর লাগে ভিতর হয়তো আরো বেশি সৌন্দর্য বিরাজ করছে।
ফটোগ্রাফি - ৯
![]() |
---|
রাস্তার পাশে বন্য নাম না জানা কত সুন্দর সুন্দর ফুল হয়, যা দূর থেকে দেখে খুব আকর্ষিত হই। তাই রাস্তার পাশের এই ফুল গাছের ফটোগ্রাফি গুলো বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম।
বাড়িতে গিয়ে ভালো করেছেন। ছুটির দিন গুলো পরিবারের সাথেই কাটানো ভালো। আর এটা ঠিক কোনো জায়গায় যাওয়ার সময় জ্যাম পড়লে খুবই বিরক্ত লাগে। তবে ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি জোশ ছিলো। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য। ❤️❤️❤️
ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা। তবে ভাইয়া এত বেশি জ্যাম ছিল বাড়িতে যাওয়ার অনীহা জেগে উঠেছে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই খুশি হলাম, আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অবিরাম।
মাঝে মাঝে রাস্তায় প্রচুর পরিমাণ জ্যাম থাকে। আমি নিজেও মাঝে মধ্যে ঢাকায় গেলে, প্রচুর কষ্ট করতে হয়। আমাদের দেশ থেকে জ্যাম কখন যাবে তার কোন ঠিক নেই।
ভাইয়া জ্যামতো যাচ্ছে না, আরো বাড়ছে। মাঝেমধ্যে মন চায় আর বাড়িতে যাব না, বাড়িতে গেলে মন চায় না যে আবার শহরে আসি। যাই হোক অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন প্রিয় ভাই।
আপনি খুব সত্যি কথাই বলেছেন ভাই
বাড়ি ফেরা সবার জন্যই আনন্দদায়ক কিন্তু তা যদি হয় এত কষ্টের তাহলে কি আর বাড়ি ফিরতে মনে চায়। বাংলাদেশে যে কি পরিমাণ জনসংখ্যা বিস্ফোরণ হয়েছে তা রাস্তায় বেরোলেই বোঝা যায়। বিশেষ করে ঢাকা শহর যেন একটি জ্যামের শহর। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার আদৌ কোনো সম্ভাবনা আছে বলে আমার মনে হয় না। ভালো থাকবেন
ভাইয়া আপনি ঠিকই ধরেছেন ঢাকা শহর থেকে জ্যাম কখনো যাবে না। হয়তো ঢাকা শহরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যিই ভাইয়া, খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার ৩ ঘন্টার রাস্তা যদি ১২ঘন্টায় পৌঁছাতে হয় তাহলে এর চেয়ে কষ্ট আর কিছুই হতে পারে না। এত কষ্ট করেও বাড়িতে যখন ফিরেছেন অবশ্যই তখন ভালো লেগেছে। আর এই ভালোলাগাটুকু আপনার সঙ্গী হয়ে থাকুক সবসময়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক ছিল। এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের দেশের যাতায়াতের প্রধান সমস্যা হলো যানজট। যেটা সবাইকে খুবই পীড়া দেয়। আমিও মাঝে মাঝে এই যানজটের সম্মুখীন হই। মনে হয় আর কখনো যাতায়াত করব না ।যাইহোক ভাই বাস্তবতাকে মেনে নিতেই হবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
অসাধারণ মন্তব্য করে উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।