আমার বাংলা ব্লগ। করুণ আর্তনাদ। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
করুণ আর্তনাদ।
আমি আজকে দুপুর বেলায় যখন ডিসকোডে ঢুকলাম তখন দেখতে পেলাম আমাদের এক সহকর্মী আমার প্রিয় ঋতু আপু কয়েকটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছে। সেই ফটোগ্রাফিতে ভেসে উঠেছে লেলিহান শিখা আর মানুষের আর্তনাদ। আপুর সাথে কুশল বিনিময় এর পরে জানতে পারলাম এতটাই তীব্র ছিল যেখানে আপুর বারান্দার গ্লাস পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে। তখন নিজের কলিজার ভিতর একটা মোচড় দিয়ে উঠলো। চট্টগ্রাম আমার হাজার বন্ধু থাকে তাঁর মধ্যে আমার বড় ভাই ও থাকে জব করে। ফোন দেওয়ার পর সান্তনা স্বস্তি পেলাম ভাইয়া ঠিকঠাক আছে।
প্রিয় @rme দাদাআমি আমার কবিতা লেখাকে দাদার অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছে। ঠিক তেমনি আজকে এই ডিসকোডে দাদাকে এক পলক দেখতে পেয়ে কয়েকটা লাইন লিখেছিলাম। দাদা আমাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিল। মুহূর্তেই যেন মনটা পরিবর্তন হয়ে গেল। মনটা এতোটাই খুশি হয়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আর দাদা তো শুধু দাদা নয়, আমাদের মাথার উপর একটা বটগাছ। এবং একই ছাদের নিচে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের একজন গার্ডিয়ান। এবং বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরার একমাত্র কর্ণধার @rme দাদা। তখনই বসে মনে মনে চিন্তা করলাম দাদার যেহেতু এ কয়টা লাইন ভালো লেগেছে আর এই কয়টা লাইন দিয়ে আমি একটা কবিতা সম্পূর্ণ করব। যদিও আমি সবসময় কবিতা লিখতে পারিনা তবুও চেষ্টা করি লেখার জন্য।
কিছুক্ষণ পর ফেসবুকের পাতা উল্টিয়ে দেখি হাজারো মানুষের আর্তচিৎকার হাহাকার বেঁচে থাকার লড়াই। এ যেন এক স্বপ্নের নরকের বিভীষিকা। মনে হয় যেন ক্ষণিকের মধ্যে স্তব্ধ হয়ে গেছে হৃদয়ের স্পন্দন। শুধু চোখ কান খোলা আছে দেখছি বলার মতো কোন ভাষা নেই। পুরো ভাষাটাই যেন হারিয়ে ফেলেছি, মানুষের আর্তচিৎকারের ভুলিতে।
করুণ আর্তনাদ।
রবিউল হোসাইন।
লেলিহান শিখায় জ্বলবে চোখের সামনেই
অবাক চোখে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে
কিছুই করার থাকবে না কারোর
আমিও নিরুপায় শুধু দেখছি।
আর যন্ত্রণায় ভুগছি
হয়তো কারো হৃদয়ের ভেঙ্গে চারখার হয়ে গেছে
হয়তো আবার কেউ হারিয়েছে তার পিতা
কি নিষ্ঠুর এই অগ্নি যোগ্য।
মাতা হারিয়েছে সন্তান মেয়ে হারিয়েছে বাবা-ছেলে হারিয়েছে বাবা
মুহূর্তেই যেন আঁতকে উঠে বেদনা
ঠুনকো কাচের মত চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল হৃদয়।
অজান্তে কেন জানি কলিজাটা মোচড় দিয়ে উঠলো
সেখানে তো আছে আমার প্রিয় জন ভাই বন্ধু
পাচ্ছিনা খোঁজখবর যেতে পারছি না অশ্রু ঝরে অঝোরে
হৃদয়ের কান্না গুলো ভেসে আসছে অতি সজোরে।
মানুষের আহাজারি আর্তচিৎকার বারবার দেখে বলছে
কে আছো বাঁচাও আমাকে অগ্নি যজ্ঞে শেষ হয়ে যাচ্ছি আমি
বাঁচার আকুতি মিনতি করে ও পায়নি দাবানলের আগুন এর থেকে মাফ।
জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেল পুরো দেহ খানি
ঝলসে গেছে পুরো শরীর তবুও রাস্তা খুঁজে বেড়ায়
বাঁচার আকুতি তে স্তব্ধ বোবাকান্না
অশ্রু ঝরে আঁখি জলে
কে আছো বাছা ওমোর সন্তান ঘরে
তীব্র আঘাতে বেরিয়েছে ভুরি হারিয়েছে হাত
তবুও যেন বাঁচার জন্য করছে শুধু আর্তনাদ
স্বপ্ন আমার দুলির সাথ হয়ে গেছে নিমেষেই
জীবন আমার রবে কি যাবে সেই আশাই তো নেই।
লেলিহান শিখা ধ্বংসযজ্ঞ দেয়ে আসছে সবার উপর
নিমিষে করছে ছাড়া এই পড়ে রয়েছে নিথর কঙ্কাল
তবুও যেন আগুনের হুংকার বেড়েই চলেছে
এত কান্নার গুন গুনানি শুনতে কি পাও তুমি।
উপরওয়ালা মাফ করো আমায় বাঁচাও আমার প্রাণ
এক এর উপরে দিয়েছো তুমি অজস্র মহাপ্রাণ
জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে গিয়ে হয়েছি আমি অপরাজিত
তুমি চাইলে এক নিমিষেই স্বপ্নে পাড়ি দিব।
কেমন লীলা খেলা তোমার ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করে হয়েছে সব ছারখার
চূর্ণ-বিচূর্ণ স্বপ্ন মাটিতে মিশিয়ে দিলে
তবুও যেন মনে হয় অগ্নিদগ্ধ মানুষগুলো শুধুই আপন ছিলে
আপন না হয় হইলে তুমি মনুষ্যত্ব তুমি একজন
তাইতো হৃদয়ের কান্না কেঁদে বুক ভাসায় ও হে প্রিয় মানুষ জন।
বন্ধুরা করুণ আর্তনাদ কবিতাটি কেমন লেগেছে আমি জানিনা। তবে চেয়েছি নিজের মনের আক্ষেপ গুলো কষ্ট গুলো প্রকাশ করে নিজের বুকটা কে একটু হালকা করার জন্য। যে ছবিগুলো যেই অগ্নিদগ্ধ দেখছি সহ্য করার মতো নয়। বুকটা মনে হয় যেন থর থর করে কাঁপছে। তবুও নিজের মতো করে লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। ভাল মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আসলে দাদা মানুষটাই অন্যরকম।অনেক যারা কাছ থেকে দেখতে পারবে তারাই কেবল বুঝবে উনি কিরকম মনের মানুষ।
তবে সত্যিই কাল চট্টগ্রাম এর এই অবস্থার কথা শুনে মনটা অনেক বিষণ্ণ হয়ে গিয়েছিল।আর আপনার কবিতা টা পড়ে বেশ ইমোশনাল হয়ে গেলাম
কাঙ্খিত মন্তব্য করে, সান্ত্বনা প্রদান করার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমি এখনো সেই করুণ দৃশ্য বারবার ফোনে দেখছি এবং ওই এলাকার মানুষের জন্য দোয়া করছি। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠে দেখলাম এই অবস্থা তখন নিজেকে এতটাই খারাপ লাগছিলো যা বলে বোঝাতে পারবো না। ওই এলাকার বাস্তবতাগুলো তুলে ধরি তাহলে এই লেখার মাধ্যমে কখনোই প্রকাশ করা যাবে না আপনি খুব সুন্দর ভাবে আর্তনাদ লেলিহান শিখা মানুষের কষ্ট বিষয়গুলো আমাদের মাঝে কবিতার মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। তো সুন্দর একটি কবিতা আপনি রচনা করবেন আমি কল্পনাও করিনি। আপনি দাদার অনুপ্রেরণা পেয়ে কবিতা লেখা শুরু করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন মানুষের আর্তনাদ হাহাকার তা কখনো লিখে বোঝানো যাবে না। তবে আপনার খারাপ লেগেছে যেমন, তেমনই আমার কাছেও। আপনি এত সুন্দর করে মন্তব্য করে প্রশংসা প্রকাশ করার জন্য, আপনার প্রতি ভালোবাসা অবিরাম।
গতকাল রাতে লাইভ টেলিকাস্ট যখন দেখছিলাম বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠছিল বার বার। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা জানা নেই। পুরোপুরি বাক রুদ্ধ। আপনার লেখার মাঝেও ব্যথার সেই চিৎকার খুব করুন ভাবে ফুটে উঠেছে ভাই। কি যে তীব্র যন্ত্রণা আপনার লেখা পড়লে সেটা অনেকেই অনুভব করতে পারবে। অনেক চমৎকার একটা কবিতা উপহার দিয়েছেন ভাই।
সত্যি ভাইয়া মানুষের আর্তনাদ চিৎকার শুনলে নিজের অজান্তে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। অসাধারণ ছিল আপনার মন্তব্য, খুবই ভালো লেগেছে। আপনাদের অনুপ্রেরণায় আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া এবং কবিতা লেখার স্বার্থকতা। ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
এ নিউজটা দেখার পর আমারও ভাই খুব খারাপ লাগছিল। আগুনে পুড়ে অনেক জন মারা গেল। ফায়ার সার্ভিস কর্মীও মারা গেল কয়েকজন। আপনি চমৎকার একটি কবিতা লিখছেন। কবিতার মাধ্যমে করুণ আর্তনাদের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার কাঙ্খিত মন্তব্যের জন্য ভালবাসা নিবেন।
কবিতার সারণি আর লেখার কাহিনী সব মিলে পোস্ট টিকে সকলের মনোপুত করে তুলেছেন ভালো ছিল।
আপনি অল্প কথায় অনেক বড় উৎসাহ দিয়ে গেছেন, ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
প্রাণ ভরা ভালবাসা আপনার জন্য পাঠিয়ে দিলাম।