DAY. আমার বাংলা ব্লগ। বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়ার গাড়ি। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন জাওয়া যাক মূল পর্বে।
বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়ার গাড়ি।
 |
|---|
বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়ার গাড়িটি সম্পন্ন করে আমি একটা সেলফি নিলাম।
আমার মনের কিছু কথা।
আমরা কমবেশি সকলেই জানি বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়ার গাড়ি। যদিও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এ ঘোড়ার গাড়ি। এখন তেমন একটা কোথাও দেখা যায় না বললেই চলে। তবে বাংলাদেশের রাজধানী পুরাতন ঢাকাতে এখনো কিছু কিছু ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে। এ ঘোড়ার গাড়ির গুলোকে পুরনো ঢাকার মানুষরা টমটম বলে। এবং এই টমটম গাড়িতে ছুটির দিনে আমরাও মাঝের মধ্যে ঘুরতে খুব পছন্দ করি। এবং কি অনেক আনন্দ অনুভব করি, তবে আপনাদের সাথেও একদিন টমটমে গুরার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো।
আমরা আগে দেখতাম আমাদের গ্রাম অঞ্চলে যারা অর্থবিত্ত ভান মানুষ ছিল তারা ঘোড়ায় চড়তো। এবং কি আমি আমার দাদাকে ও দেখেছি ঘওড়ায় চড়তে।তখন আমি অনেক ছোট। আমার দাদার ঘোড়া না হলে ছলতোই না। এবং উনার প্রিয় শখ ছিল ঘোড়ায় চড়া।
আমি অনেকদিন ধরে চিন্তা করছি যে কি পোস্ট করা যায়। আমি ডাই পোস্ট করছি না বা সময়ের কারণে হচ্ছেও না। আর কি ডআই প্রজেক্ট করব সেটা নিয়েও অনেক ভাবনার শেষ ছিল না। অবশেষে চিন্তা করলাম যে ঘোড়ার গাড়ি টা তৈরি করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করি হয়তো আপনাদের ভালো লাগবে। যেই ভাবনা সেই কাজ শুরু করলাম আমার ডাই প্রজেক্ট এর কাজ বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়ার গাড়ি। চলুন দেখে নেই পর্যায়ক্রমে ঘোড়ার গাড়ি তৈরির ধাপ গুলো।
বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়ার গাড়ি বানানোর উপকরন।
 |
|---|
১/ রঙিন কাগজ।
২/ কেচি।
৩/ বাঁশের কাঠি।
৪/ ম্যাচের কাঠি।
৫/ গাম।
৬/ নাইম।
ধাপ - ১
 |
|---|
এখানে আমি প্রথমেই সাদা কাগজের উপর আঠা দিয়ে ম্যাচের কাঠি গুলো আটকে নিচ্ছি।
ধাপ - ২
 |
|---|
এখানে আমি ঘোড়ার গাড়ির চাকাগুলো বানিয়ে নিলাম এবং কলম দিয়ে কিছুটা একে নিচ্ছি।
ধাপ - ৩
 |
|---|
এখানে আমি ঘোড়ার গাড়ি বানানোর জন্য ঘোড়ার গাড়িরও প্রেমটা বাঁশের কাঠি দিয়ে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিচ্ছি।
ধাপ - ৪
 |
|---|
এখানে আমি ঘোড়ার গাড়ি টি বানানোর জন্য বসার জায়গাটার ঘর তৈরি করব। তাই চারটি খুটি লাগিয়ে নিলাম ঘাম দিয়ে।
ধাপ - ৫
 |
|---|
এখানে আমি চিকন চিকন করে রঙিন কাগজ কেটে নিচ্ছি। ঘোড়ার গাড়ির বসার ঘরের চতুর্পাশের প্রেম বানাবো রঙিন কাগজ দিয়ে।
ধাপ - ৬
 |
|---|
এখানে দেখতে পাচ্ছেন বসার ঘরের প্রেমটা রঙিন কাগজ দিয়ে বানিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭
 |
|---|
এখানে আমি রঙিন কাগজ দিয়ে উপরের ছাদ এবং কি ভিতরে ছিট বানিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮
 |
|---|
এখন আমি এই ম্যাচের কাঠি দিয়ে ডিজাইন বানালাম এবং দরজা বানিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৯
 |
|---|
এখানে আমি ঘোড়ার গাড়ির প্রেমের সাথে চাকাগুলো লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১০
 |
|---|
এখানে ঘোড়ার গাড়ির চালক এর সিট টা বানিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১১
 |
|---|
এখানে আমি রঙিন কাগজের মধ্যে একটা ঘোড়া আর্ট করলাম এবং সেটাকে আমি একটা ঘোড়া হিসেবে ব্যবহার করব।
ধাপ - ১২
 |
|---|
এখানে দেখতে পাচ্ছেন রঙিন কাগজ চিকন করে কেটে আমি ঘোড়ার লাগাম বানিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৩
 |
|---|
 |
|---|
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমি কাগজের মধ্যে একটা মানুষ অংকন করলাম এবং সে মানুষটাকে আমি আমার ঘোড়ার গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেবো।
ধাপ - ১৪
 |
|---|
 |
|---|
এখানে আমি আমার অংকনের মানুষটিকে ঘোড়ার গাড়ির চালকের আসনে বসিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৫
 |
|---|
এখানে আমি আমার অংকিত ঘোড়াটিকে গাড়ির সাথে লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৬
 |
|---|
এখানে আমি ঘোড়ার গাড়ির লাগামটা ডাইভারের হাতে ধরিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৭
 |
|---|
 |
|---|
 |
|---|
আমার ঘোড়ার গাড়ি তৈরি সম্পন্ন হয়ে গেল। এখন আবার এই ঘোড়ার গাড়িতে করে আমি কাউকে নিয়ে ঘুরতে বেরোবো। যদি দাদা বৌদি টিনটিন প্যাসেঞ্জার হয় তাহলে তো খুশির কোন সীমাই থাকবে না,হাহাহা।
আমার ঘোড়ার গাড়ি তৈরি আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। এবং আমি পার্ট বাই পার্ট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে গেলে সেটা অনেক সময়ের ব্যাপার ছিল। তবুও চেষ্টা করেছি সুন্দর করে আপনাদের কে বোঝানোর জন্য। জানিনা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে কি না। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। এবং কমেন্টে ভালো-মন্দ জানাবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি,ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
বাহ ভাইয়া এককথায় অনবদ্য পোস্ট। ভাইয়া আমার কাছে এটা অনেক ভালো লেগেছে। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর একটা অসম্ভব সুন্দর ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেছেন আপনি। প্রত্যেকটা ধাপ অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ভালো লাগাটাই কাজের অগ্রগতি বেড়ে যায়। এবং আপনাদের সুন্দর মন্তব্য গুলো অনুপ্রাণিত করে ।আপনার এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি খুশি হয়েছেন আপনার ভালো লেগেছে এটা জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দ অনুভব করছি। এবং আপনাদের আনন্দটাই কাজের অনুপ্রেরণা আমি মনে করি। আপনাদের এত সুন্দর প্রশংসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনার জন্য রাশি রাশি ভালোবাসা ভাইয়া।
জাস্ট অসাধারণ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ঘোড়া'র একটি গাড়ি তৈরি করেছেন ভাইয়া আসলে এরকম ঘোড়া গাড়ি পোস্ট কমিউনিটি তে আমি এই প্রথম দেখলাম এর আগে এরকম পোস্ট কেউই করেনি সুতরাং আপনি একটি ইউনিক পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার পোস্টটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো আপনি আপনার এই কাজের মাধ্যমে সৃজনশীলতার পরিচয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এত সুন্দর একটি ঘোড়াসহ ঘোড়ার গাড়ির ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ🎊🎊
আপনাদেরকে ভাল কিছু উপহার দিতে পেরেছি এটা জানতে পেরে খুবই আনন্দ অনুভব করছি। এবং আপনার এত সুন্দর মন্তব্য আমার কাজের অগ্রগতি বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনি অসম্ভব সুন্দর করে কমেন্টই করেছেন। যা প্রশংসায় ভাসিয়ে দেওয়ার মতো। দোয়া করবেন যাতে আপনাদের জন্য আরো ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারি। ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
ওয়াও ভাইয়া আপনার ঘোড়ার গাড়ি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর করে এটি তৈরি করেছেন খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। দেখে মনে হচ্ছে যে ঘোড়ার গাড়িতে করে কোথাও ঘুরে আসি। ঠিকই বলেছেন আপনি এখন ঘোড়ার গাড়ি প্রায় বিলুপ্তির পথে। মাঝেমধ্যে ঢাকা শহরের দু'-একটা দেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার ভালো লেগেছে এটা জানতে পেরে আমি নিজেই মুগ্ধ। এবং খুব আনন্দ অনুভব করছি। কালের বিবর্তনে আমরা আমাদের পুরনো ঐতিহ্য সব হারিয়ে যেতে বসেছি। আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানান দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ মনে করছি। আপনার এত সুন্দর কমেন্ট আমার কাজের অগ্রগতি বাড়াতে সাহায্য করবে। এবং এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ভালোবাসা অবিরাম আপু।
ঘোড়ার গাড়ি এ যেন বাংলার হারানো ঐতিহ্য। এখন তো ঘোরার গাড়ি দেখাই যায় না। কিন্তু একসময় এই ঘোরা গাড়ি ছিল প্রধান যান।
যাইহোক ঘোড়া গাড়ি টা দারুণ তৈরি করেছেন। এবং ঘোরা টাই আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগছে। এবং আপনার পোস্টের উপস্থাপনা টাও অনেক ভালো ছিল।।
ভাইয়া আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দ অনুভব করছি। এবং আপনাদেরকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য উপহার দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দ অনুভব করছি। এবং সেইসাথে আপনাদের খুব সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। দোয়া করবেন যাতে আপনাদেরকে আরও ভাল কিছু উপহার দিতে পারি।
বাহ বাহ অনেক সুন্দর একটি ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পুরনো বাংলার ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে। এখন তো এই ধরণের ঘোড়ার গাড়ি দেখাই যায়না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমাদের পুরনো বাংলার ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করে দেয়ার জন্য। আর আপনার পোষ্টের উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ঠিকই বলেছেন কালের বিবর্তনে আমাদের পুরনো ঐতিহ্য সবগুলোই হারিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সবারই উচিত আমাদের নতুন প্রজন্মের জানান দেওয়ার জন্য। আপনি খুব সুন্দর কমেন্ট করেছেন। আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো ভাইয়া।
আপনার বানানো ঘোড়ার গাড়ি টা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। এই গাড়িগুলো ছোটবেলায় মেলা থেকে কিনে নিয়ে ওগুলো দিয়ে খেলতাম। ঘোড়ার গাড়ি তৈরির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া এতো সুন্দর প্রশংসা করার জন্য এবং মূল্যবান সময় নষ্ট করে কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি সবসময় খুব অসাধারণ কিছু দেখান, আপনি যা দেখান তা রূপকথার ছবির মতো।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ্ অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার তৈরি ঘোড়ার গাড়ি। এক কথায় অসাধারণ ছিল। অনেক সময় ধরে ঘোড়ার গাড়িটি তৈরি করেছেন সেজন্যই এতো সুন্দর হয়েছে। আপনার উপস্থাপন গুলো চমৎকার ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। 😍😍
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন অনেক সময় লেগেছিল। কারন আমার জবের পাশাপাশি আমি আমার বাংলা ব্লগ চেইনে কাজ করি। এবং এই ঘোড়ার গাড়ি প্রস্তুত করতে আমার প্রায় চার দিন সময় লেগেছিল। এই ৪ দিন সময় আমার প্রায় 2 সপ্তাহর ভিতরে বের করতে হয়েছিল । আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং কি আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন থেকেই রিস্টিম করে দিলাম। এত টা সুন্দর কাজ মাশাল্লাহ। এই ঘোড়ার গাড়ি টা বানাতে আপনার অনেক সময় আর অনেক পরিশ্রম করেছেন ভাই। সত্যি কিছু বলার নাই। এই পোস্ট টা আপনার সেরা একটা পোস্টছিল ভাই আমার।
ভাই আপনি অসম্ভব সুন্দর একটা কমেন্ট করেছেন যা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছি। টাকাটা বড় প্রশ্ন নয় মানুষের ভালোবাসা এবং কি যে পরিশ্রম কে মূল্যায়ন করতে জানে সে সব সময় সবার কাছে হিরো। তাই আমি মনে করছি আপনি একজন হিরো। আপনি ঠিক বলেছেন এই কাজটি করতে আমার অনেক সময় লেগেছে এবং অনেকদিন লেগেছে। আপনার এই কথাগুলো আমার কাজের অগ্রগতি বাড়াতে সাহায্য করবে। ভালোবাসা অবিরাম ভাই।