আমার বাংলা ব্লগ। বাঁধাকপির পকোড়া। ১০% লাজুক খ্যাক এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
বাঁধাকপির পকোড়া।
বাঁধাকপির পকোড়া অনেকে অনেক ভাবে রেসিপিটি শেয়ার করেছে। বাঁধাকপির পকোড়া খেতে কি রকম স্বাদ হয় আমারও মন চাইলো আর একবার খেয়ে দেখার জন্য। তাই আমিও তৈরি করলাম বাঁধাকপির পকোড়া। তবে আমি আমার মতো করে তৈরি করেছি। আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে। চলুন তাহলে পর্যায়ক্রমে দেখে নেই আমার বাঁধাকপির পকোড়া রন্ধন প্রক্রিয়া।
বিকেলবেলায় ঝাল নাস্তা না হলে জমেই না। আবার বাহিরের খাবার গুলো স্বাস্থ্যসম্মত না। চিন্তায় পড়ে গেলাম কি খাব কি খাব। হঠাৎ মাথায় আসলো সবাই যেহেতু বাঁধাকপির পকোড়া রেসিপি অনেকে দিয়েছে আমার বাংলা ব্লগে, আমি একবার দেখি বাঁধাকপি রেসিপি পকোড়া তৈরি করে খেতে কেমন লাগে, যে চিন্তা সেই কাজ তখন আর দেরি না করে তৈরি করে ফেললাম জটপট বাঁধাকপির পকোড়া। খেতে বেশ ঝাল ঝাল মজাদার, তাই চিন্তা করলাম আমি আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি।
বাঁধাকপির পাকোড়া তৈরির উপকরণ।
- বাঁধাকপি ২৫০ গ্ৰাম।
- চালের গুড়া ১ কাপ।
- বেসন ১ কাপ।
- ডিম একটি।
*কাঁচামরিচ কুচি ৫/৬টি। - পেঁয়াজ কুচি ৪টি।
- ধনিয়া পাতা কুচি পরিমাণমতো।
- হলুদের গুঁড়া এক চা চামচ।
- জিরার গুড়া এক চা চামচ।
- লবণ পরিমাণমতো।
- বেকিং পাউডার হাফ চা চামচ।
- বেকিং সোডা হাফ চা চামচ।
- সয়াবিন তেল হাফ কেজি পরিমাণ।
ধাপ - ১
প্রথমে আমি ডিম টাকে ফাটিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২
বাঁধাকপি গুলো লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে ভালো করে চিবিয়ে নিলাম। এরপর প্রথমে আমি বাঁধাকপির উপরে ধনিয়া পাতা গুলো ছিটিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩
এখন আমি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪
এখানে আমি কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫
এখানে আমি হলুদের গুঁড়ো, জিরা গুড়া, মরিচের গুঁড়া, লবণ, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা সবগুলো মসলা একসাথে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬
এখন আমি ফাটিয়ে রাখা ডিম টা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭
এখানে আমি দিয়ে দিলাম এক কাপ পরিমান চাউলের গুড়া।
ধাপ - ৮
এখন আমি সব গুলো ভালো করে মিক্স করে নিচ্ছি।
ধাপ - ৯
এখন আমি দিয়ে দিচ্ছি বেসন। বেসনের পরিমাণটা অর্ধেক করে দিতে হবে, দুই ভাগে পরিমাণ বুঝে ইউজ করতে হবে। অথবা বেসন এর পরিবর্তে আপনি কনফ্লাওয়ার বেশি করে ব্যবহার করতে পারেন।
ধাপ - ১০
এখানে দেখতে পাচ্ছেন বেসনগুলো ভালো করে মিস করে নিলাম এবং আঠা আঠা ভাব টা হয়ে গেছে। আমার তৈরি হয়ে গেল বাঁধাকপির পকোড়া তৈরি করার খামির।
ধাপ - ১১
এখানে দেখতে পাচ্ছেন চুলায় কড়াই বসালাম এবং পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তেল গুলো ভালো করে গরম হলে আমি পোকাগুলো ছাড়বো।
ধাপ - ১২
তেল গরম হয়ে গেছে, আমি একটি পকোড়া ছাড়লাম। এভাবে আমি তিন চারটা করে ছাড়বো।
ধাপ - ১৩
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমি চারটা বাঁধাকপির পকোড়া ছাড়লাম।
ধাপ - ১৪
পকোড়া গুলোর ১ ফিঠ হয়ে গেছে, আর এক উল্টিয়ে নিলাম। আমি পকোড়া গুলো লাল লাল করে ভাজবো যাতে খেতে কুড়কুড়ে হয়।
ধাপ - ১৫
এখানে দেখতে পাচ্ছেন বাঁধাকপির পকোড়া গুলো হয়ে গেল। এখন আমি তেল থেকে ছেঁকে উঠিয়ে নেব।
ধাপ - ১৬
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল আমার বাঁধাকপির পকোড়া।
ধাপ - ১৭
বাঁধাকপির পকোড়া প্রস্তুত হওয়ার পর পরিবেশন করার আগে আমি একটা সেলফি নিলাম।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার বাঁধাকপির পকোড়া রেসিপিটি। আশা করি সকলের ভাল লাগবে। বাঁধাকপির পকোড়া খেতে বেশ সুস্বাদু এবং মজাদার। সকলে ভালো মন্দ কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় ভাই আমার জন্য কিছু পাঠিয়ে দিতেন। দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। ইচ্ছে করতেছে এখনই কয়েকটা খেয়ে ফেলি। খুব চমৎকারভাবে এটি তৈরি করেছেন। অনেক দক্ষতার সহিত আপনি এটি বানিয়েছেন। এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রিয় ভাই আপনাকে দাওয়াত দিয়ে রাখলাম, অবশ্যই সময় করে আমার কাছে চলে আসবে, যা খেতে ইচ্ছে করে সবকিছু তৈরি করে খাওয়াবো। আর এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল প্রাণঢালা অভিনন্দন।
অনেক উপকরণ দিয়ে তৈরি আপনার বাঁধাকপির পাকোড়া। খেতে মনে হয় ক্রিস্পি হবে। আসলে বাসায় বানানো পাকোড়া অনেক স্বাস্থ্যকর হয়।সস দিয়ে খেতে দারুন লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমরা যে কোন রেসিপি তৈরি করি না কেন যদি উপকরণ গুলো ঠিকঠাক ভাবে না দেই তাহলে এর মজা পাওয়া যাবেনা। তাই চেষ্টা করি সব সময় নিজের মতো করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দ অনুভব হচ্ছে। আর এত সুন্দর প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দেখে খুব ভালো মনে হচ্ছে আমি বাঁধাকপির পাকোড়া খেয়েছিলাম মসলাবিহীন। আপনি অনেকগুলো মসলা সাথে বেসন দিয়েছেন স্বাদটা অবশ্যই অন্যরকম হবে এভাবে খেয়ে দেখতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
আসলে সবকিছু একরকম হয়ে গেলে কেমন একটা দেখায় না। তাই সবসময় চেষ্টা করি নিজের মতো করে একটু ভিন্নভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আর আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। সত্যি এটা বেশ মজাদার এবং লোভনীয় ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।
ভাই আমি আসলে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। এসকল বুদ্ধি আপনাদের মাথায় কই থেকে আসে?? আমার মাথায় শুধু ফটোগ্রাফি ছাড়া আর কিছুই কাজ করে না। আমি শুধু ফটোগ্রাফি করতেই পারি।
তবে চেষ্টা করব আপনার এই অসাধারণ রেসিপি তৈরি করার। আমার বেশ ভাল লেগেছে আপনার রেসিপি টা
আপনার এই ভালোলাগা আপনার এই উৎসাহ সত্যি খুব আনন্দের। আর আপনি নিজেও চেষ্টা করুন অবশ্যই পারবেন। মানুষ পারে না এরকম কোন কিছু নেই। আর এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
বাঁধাকপির পকোড়া এটি একটি কমন রেসিপি। কেননা মাঝেমধ্যে বিকেল বেলা নাস্তা করার জন্য, আমাদের ফ্যামিলিতে এরকম বাঁধাকপির পকোড়া
বানানো হয় ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে বাঁধাকপির পাকোড়া রেসিপি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
আসলে ভাইয়া আমি আগে কখনো খাইনি। তবে খাওয়ার পরে বুঝলাম যে না সত্যিই বেশ মজাদার। আর আপনি সবসময় খান শুনে খুবই ভালো লাগছে। আর এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
বাঁধাকপির পাকোড়া গুলো আসলে ভালই লাগে। শীতের সময় বাঁধাকপির যে পাকোড়া তৈরি করা হয় সেটাই আসলে ভালো লাগে অন্য সময় খুব একটা ভালো লাগে না। আপনার তৈরি পাকোড়া দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে। খুব সুন্দর করে পাকড়াটি আপনি তৈরি করেছেন মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা ও মুচমুচে হয়েছে ভালো লাগলো দেখে।
বাঁধাকপির পাকোড়া গুলো আসলে ভালই লাগে। শীতের সময় বাঁধাকপির যে পাকোড়া তৈরি করা হয় সেটাই আসলে ভালো লাগে অন্য সময় খুব একটা ভালো লাগে না। আপনার তৈরি পাকোড়া দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে। খুব সুন্দর করে পাকড়াটি আপনি তৈরি করেছেন মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা ও মুচমুচে হয়েছে ভালো লাগলো দেখে।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এটা খেতে খুব মজাই লাগছিল। আর আপনি এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন যা সত্যিই ভালো লেগেছে। চেষ্টা করি নিজের থেকে ভালোটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীতকাল মানেই বাঁধাকপি এবং বিভিন্ন সবজির পাকোড়া ।আর বাঁধাকপির পকোড়া খুবই সুস্বাদু হয়। আমি মাঝেমধ্যে তৈরি করে থাকি। আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে ইচ্ছে করতেছে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলি। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনি ওখান থেকে নিয়ে কিছুই খেতে পারবেন না, তবে স্বাদ কি রকম হয়েছে মোটামুটি অনুমান করতে পারবেন। যাইহোক অসাধারণ মন্তব্য করেছেন যা সত্যিই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাঁধাকপির পকোড়া মুচমুচে হয় এটি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আমিও কিছুদিন আগে এটি তৈরি করে খেয়েছিলাম খুব ভালো লেগেছিল ।আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জ্বী ভাইয়া আপনি যেহেতু খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এর স্বাদ সম্পর্কে আপনি অবগত আছেন। আর আমি চেষ্টা করি আমি আমার নিজের মতো করে সুন্দর করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আর আপনার এত সুন্দর মন্তব্য আমাকে সত্যিই আনন্দিত করেছে। আপনার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন রইল।
আহ্ পাকোড়া😋। আপনার তৈরি বাঁধাকপির পকোড়া রেসিপিটি সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে পাকোড়া খেতে আমার খুব ভালো লাগে বাঁধাকপির পাকোড়া গরম গরম খুব টেস্ট এবং মজাদার লাগে ধন্যবাদ আপনাকে খুব লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন গরম গরম খেতে খুবই ভালো লাগে। আর যে কোন কিছুর মধ্যে নতুন কিছু যোগ করলে এবং এই ভিন্নতা নিয়ে আসতে সেটা আরো বেশী মজাদার হয়। আর এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল প্রাণঢালা অভিনন্দন।