আমার বাংলা ব্লগ। নিজের গাছের কামরাঙ্গা লেবু গাবের ভর্তা খাওয়ার আনন্দ। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্ব।
নিজের গাছের কামরাঙ্গা লেবু এবং গাবের ভর্তা খাওয়ার আনন্দ।
 |
|---|
বহু বছর পর হারানো চিত্র খুঁজে পেলাম। সেকি মুহূর্ত সেই আনন্দ যা ভাষায় প্রকাশ করাও প্রায় অসম্ভব।
তখন কৌতূহল বসতো চাচাতো ভাইকে বললাম আজকে কামরাঙ্গা দিয়ে ভর্তা বানাবো। সেও আর না করলো না, তারও মনে একটু বাড়তি আনন্দ দেখলাম। সেও শহর মুখি আমিও শহর মুখি অনেকদিন পরে বাড়িতে গিয়েছি আগের মত ভর্তা খাওয়া হয়না। আর শৈশব কৈশোরের সেই আনন্দটা মনে হয় যেন পুনরায় ভেসে উঠছে
যে চিন্তা সেই কাজ সুর সুর করে উঠে পড়লাম গাছে। গাছে যতগুলো কামরাঙ্গা ছিল সবগুলো পেড়ে ফেললাম। এখন ভর্তা তৈরি করতে গেলে অনেকগুলো আইটেম লাগে। তাই সংগ্রহে নেমে পড়লাম কি কি দেওয়া যায়। চাচাদের গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করলাম। দেখলাম যে গাব গাছে গাব ধরেছে। কামরাঙ্গা, লেবু ,গাভ, ঘর থেকে আচার এভাবে তিন-চারটা আইটেম এর ব্যবস্থা হয়ে গেল। আর মনে হচ্ছে এত বেশি আনন্দ লাগছে বলার বাহিরে। আস্তে আস্তে ছোট বড় সবাই এসে ভিড় জমাতে শুরু করলো। আর যেখানে কামরাঙ্গা পেড়েছি পুকুর পাড়ে সেখানে বসেই বানানির কাজ শুরু করলাম। কাউকে দিয়ে বল, কাউকে দিয়ে পানি, কাউকে দিয়ে দা, আস্তে আস্তে সব কিছু সংগ্রহ করলাম। মনে হয় যেন পুরনো শৈশবটা এসেই পড়লো। এতটা আনন্দ উপভোগ করেছি যা কল্পনার বাইরে।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমার বড় ভাই ও আস্তে আস্তে এসে পড়ল। এক পর্যায়ে দেখা গেল প্রায় আট দশ জনের একটা জমাট বেঁধে গেল। বড় ভাইয়াকে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি, চাচাতো ভাই চাচাতো ভাই ছেলে মেয়ে ভাতিজা ভাস্তি কিযে আনন্দ যা বাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর সে আনন্দের মাঝে দিয়েই নিজের গাছের কামরাঙ্গার ভর্তা তৈরির কার্যক্রম শুরু করলাম। চলুন দেখে আসি আমাদের ভর্তা খাওয়ার মুহূর্তগুলো।
 |
|---|
মজার বিষয় হল আমাদের গাছের কামরাঙ্গা টক না মৃষ্টি আমি নিজেও জানিনা। যখন পেড়ে একটা মুখে দিলাম তখন বুঝতে পারলাম যে না একাই মোটামুটি এক কেজির মত খেতে পারব, খুবই মিষ্টি কামরাঙ্গা। গাছে পাকা যা ছিল সবগুলো পেড়েছি।
 |
|---|
শুরু করে দিলাম কাটাকুটার কাজ।
 |
|---|
ভাতিজা বাচ্চিদের নিয়ে পুকুর পাড়ে কামরাঙ্গা গাছ তলায় কামরাঙ্গার ভর্তা খাওয়ার এই মুহূর্তটা সারা জীবন বেঁচে থাকুক আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে। আমার জীবনের একটা সেরা মুহূর্ত হিসেবে।
 |
|---|
গাছ থেকে পেড়ে আনা তাজা লেবু।
 |
|---|
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কাঁচা গাব, কাচা গাব খেতে ভারী মিষ্টি লাগে। এগুলোকে আমরা বিলেতি গাব বলি। আর এই গাব কাঁচা থাকলেও একটু মিষ্টি মিষ্টি একটা ভাব আছে।
 |
|---|
একে একে সব কিছু কেটে কুটে এক জায়গায় করছি।
 |
|---|
বড় ভাই চাচাতো ভাই এবং সবার গল্পগুজবের একটা মুহূর্ত।
 |
|---|
লবণ না হলে কি আর হয়, জাল তো লাগবেই, লবণ এবং মরিচের গুড়ার ব্যবস্থা।
 |
|---|
এখানে আরো যুক্ত করা হয়েছে আমসত্ত্বা,আমের মোরব্বা।
 |
|---|
এখন শুরু হচ্ছে মাখামাখি সবকিছুর মিশ্রণে তৈরি হয়ে গেল আমাদের কামরাঙ্গা লেবু এবং গাবের ভর্তা।
 |
|---|
খাওয়ার মুহূর্তগুলোর একটা চিত্র, তবে সবাই খাচ্ছে নাকি মেশিনে দিচ্ছে সেটা বুঝতে আর বাকি রইল না। পাঁচ মিনিটের মধ্যে এক বল ভর্তা হাওয়া হয়ে গেল। সে কি মজা সাথে সাথে আনন্দটা আরো বাড়িয়ে দিল।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে বহুদিন পর শৈশবের সেই ভর্তার বানানোর মুহূর্ত গুলোর মাঝে ফিরে যাওয়া। আশা করি সকলের কাছেই ভালো লাগবে। ভালো-মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। আবারো হাজির হবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আসলে নিজের গাছের ফল খাওয়ার স্বাদই আলাদা। নিজের গাছের কামরাঙ্গা, লেবু ও গাবের ভর্তা খেয়ে খুব মজা পেয়েছেন নিশ্চয়ই।তাছাড়া অনেককে নিয়ে চুুকা জাতীয় ফলের ভর্তা খেতে খুবই ভালো এবং এ জাতীয় ফলের ভর্তার কথা শুনলে জিবে জল এসে যায়। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ সুন্দরে খাওয়াদাওয়ার মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখছি দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে একদম সামনে খালি গায়ে বসা ওই লোকের খাওয়ার দৃশ্য দেখে আমি অনেকটা হেসেছি। সত্যিই খুবই ভালো ছিল আপনার এই পোস্টটা।
নিজের গাছের কামরাঙ্গা লেবু গাবের ভর্তা খাওয়ার আনন্দ খুবই মজাদায়ক মুহূর্ত ছিল। এই ধরনের খাবার অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না। বর্তমান গ্রামে কামরাঙ্গা খুব কম পাওয়া যায়। সত্যিই আপনাদের খাওয়ার মুহূর্তটা দেখে আর ঠিক থাকতে পারছি না।
কামরাঙ্গা নাম শুনলে একরকম জিভে জল চলে আসে, কাচা গাব দিয়ে কামরাঙ্গার এই রেসিপি ভর্তা খুবই সুন্দর আপনি বানিয়েছেন । বড় একটা বাসনে সবাই মিলে এভাবে খাওয়ার আনন্দই আলাদা।
সবাই মিলে এমন টক ঝাল মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম বাহ খুব মজা করে খেয়েছেন মনে হচ্ছে আপনারা।।।।
আসলে ভাইয়া আপনি তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। এমন চমৎকার ভাবে যদি কামরাঙ্গা এবং গাব ভর্তা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করে তাহলে লোভ না লেগে থাকার তো কোন উপায় আমি দেখতে পাচ্ছি না। সত্য কথা বলতে আপনার এই পোস্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো।
কি সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে সেয়ার করলেন। দেখে অনেক ভাল রাগলো। আমরাও বাড়িতে গেলে মাঝে মাঝে আম ও জাম্বুরা মাখা বর্তা খায় । খুব ভাল লাগে সেই মুহূর্ত গুলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।