আবার বাংলা ব্লগ। বিষন্ন কর্মব্যস্ততা শুক্রবার। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্ব
ফটোগ্রাফি - ১
![]() |
---|
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক একসঙ্গে কিছু একটা করছে। ঠিকই বুঝতে পেরেছেন, তবে এরা মিলের নাট বল্টু জাম দিচ্ছে, একটা নাট-বোল্ট তিন-চারজন মিলে জাম দিতে হয়। তাহলে বুঝুন কত পরিমাণ লোড থাকে মিলে।
আমরা যারা বেসরকারি চাকরিজীবী তাদের পুরো মাস জুড়ে শুধু ব্যাস্ততা আর ব্যাস্ততা। ডিউটি আর ডিউটি, যেন শেষ নেই। অথচ মাস শেষে চলতেও খুব কষ্ট হয়। সবাই চায় সপ্তাহে একদিন ছুটি কাটানোর জন্য, ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে আনন্দে পুর্তিতে সময় কাটানোর জন্য। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, আমারা যারা বেসরকারিতে চাকরি করি তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না । সত্যিই আমরা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তরা ই দুর্ভাগা। এ পৃথিবীর বুকে যত দিনমজুর আছে তাদের জীবনটা এভাবেই কেটে যাচ্ছে।
খিদার জালায় জীবিকার তাগিদে আমরা ছুটে যাই কর্মস্থলে, কিন্তু যখন সপ্তাহে একদিন শুক্রবার "হলিডে" ছুটি কাটাতে না পারি, বরঞ্চ আরো বেশি পরিশ্রম করতে হয় তখন কারই বা ভালো লাগে। এভাবে যাচ্ছে দিন আমার কেটে গেল প্রায় বিশ বাইশ বছরের মত। আর যারা চল্লিশ পঞ্চাশ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে তাদের কথাই বা কি বলব সেই ভাষাটা আমার জানা নেই। তাই আপনাদের মাঝে শুক্রবারের আমার কর্মস্থলের কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরলাম এবং বিষন্ন মনের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে এমন দিন মজুর যারা আছে এবং কি যারা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে তাদের দম ছাড়তে খুব কষ্ট হচ্ছে। এতে সরকার এবং এদেশের কোনো মাথাব্যথা নেই। আর এর মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। মাঝখানে মরণ শুধু গরীবের আর মধ্যবিত্ত মানুষের। আসলে এগুলো বলে কোন লাভ নেই, আর না বল্লেও কেন জানি মনের ভিতর একটা বোবাকান্না করে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক আমার শুক্রবার এর কাজের আলোকচিত্রগুলো।
ফটোগ্রাফি - ২
![]() |
---|
ওর নাম হচ্ছে মুন্সিজি, ওনি একজন ডেলিকর্মী, নাট-বোল্ট খোলার কাজে ব্যস্ত। যদিও এ কাজটা ওনার না। আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট স্বল্পতার কারণে চার জন ডেলি কর্মী নিয়ে কাজ করাচ্ছি।
ফটোগ্রাফি - ৩
![]() |
---|
আপনারা এখানে তিনটি রোলার দেখতে পাচ্ছিন, এই রোলার গুলো খুলে নতুন লাগানো হচ্ছে।
ফটোগ্রাফি - ৪
![]() |
---|
এখানে আপনারা ক্যামেরাটা জুম করলে বুঝতে পারবেন ক্রেনের-সাহায্য মিলের একটা প্রাস্চ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ফটোগ্রাফি - ৫
![]() |
---|
ক্রেরেনের সাহায্য একটা রোলার উঠানো হচ্ছে।
ফটোগ্রাফি - ৬
![]() |
---|
ক্রেরেনের সাহায্য প্রায় বুক সমান হাইট ওঠানো হয়েছে রোলার টি।
ফটোগ্রাফি - ৭
![]() |
---|
রোলার টি এখন প্রায় মাথার উপর উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ধাপ - ৮
![]() |
---|
ক্রেন দিয়ে রোল টা এনে মিলে বসানো হচ্ছে।
ফটোগ্রাফি - ৯
![]() |
---|
রোল সেটিং করার পর জয়েন কাপলিং লাগানো হচ্ছে।
ফটোগ্রাফি - ১০
![]() |
---|
এখানে ক্রানে সাহায্য মেইলের বক্সগুলো সেটিং করা হচ্ছে।
ফটোগ্রাফি - ১১
![]() |
---|
সম্পূর্ণ সেটিং হয়ে গেল, আমার মিলটি পুনরায় নতুন হয়ে গেল।
এভাবেই প্রতিনিয়ত চলতে থাকে আমাদের কাজ। একটা খুলে আরেকটা, একটা খুলে আরেকটা লাগাতে হয়। এই গুলো পাস ডিজাইন,এ গুলো যখন পুরাতন হয়ে যায়, ক্ষয় হয়ে যায় তখন এগুলো চেঞ্জ করা লাগ। প্রতি সপ্তাহে, প্রতি ১৫ দিনে অথবা প্রতি মাসে একবার।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার ব্লগটি, আশা করি সকলের ভাল লাগবে। ভালো-মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
কর্মই জীবন ভাই । কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকতে হবে ভাই । ধন্যবাদ আপনার বাস্তবিক জীবনের কর্মের চিত্র আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া যত ঝড় তুফান আসুক কর্ম তো করতেই হবে, না হলে বর্তমান বাজারে বাঁচা বড় দায়। আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি এত বেশি আনন্দিত সত্যি ভাইয়া আপনার জন্য ভালোবাসা সীমাহীন।
কর্মব্যস্ততা, দুঃচিন্তার মহৌষধ। কাজে থাকেন চিন্তা মুক্ত হোন।সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আপনার মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সাথে থাকবেন, আমারও কামনা।
শুক্রবারের কর্মব্যস্ততা নিয়ে চমৎকার লিখেছেন।সেই সাথে মধ্যবিত্ত পরিবারের চাকুরির ক্ষেত্রে নিদারুণ কিছু বৈষম্য তুলে ধরেছেন। এটাই সমাজের চরম বাস্তবতা।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই আনন্দ অনুভব করছি। এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।